অপ্রতিরোধ্য পারমাণবিক অস্ত্র আছে রাশিয়ার: পুতিন
রাশিয়ার
কাছে নতুন অপ্রতিরোধ্য পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে বলে দাবি করেছেন দেশটির
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার ভাষ্য, রাশিয়া নতুন ধরনের পারমাণবিক
অস্ত্র তৈরি করেছে। এই অস্ত্র দিয়ে পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় হামলা চালানো
সম্ভব। এমনকি সে হামলা নস্যাৎ হওয়ার সম্ভাবনাও কম। বৃহস্পতিবার তার বার্ষিক
স্টেট অব দ্য নেশন ভাষণে এমনটা দাবি করেন পুতিন। এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা।
পুতিন তার ভাষণে বলেছেন, রাশিয়া বা তার মিত্রদের ওপর কোনো রকম হামলা হলে মস্কো তার তাৎক্ষণিক জবাব দেবে।
ভাষণের সময় পুতিনের পেছনে প্রজেক্টরের মাধ্যমে তার দাবি করা নতুন অস্ত্রের ভিডিও ফুটেজ দেখানো হয়। রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, রাশিয়ার নতুন অত্যাধুনিক অস্ত্রভাণ্ডারের মধ্যে একটি নতুন আন্তর্মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করে হামলা চলানো যাবে এমন ছোট পারমাণবিক ওয়ারহেড, পানির নিচে চলাচলে সক্ষম এমন ড্রোন, সুপারসনিক (শব্দের চেয়ে দ্রুতগামী) অস্ত্র ও একটি লেজার অস্ত্র। পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে অনেক ইস্যুতে রাশিয়ার বিবাদ চলছে। তার মধ্যে রয়েছে, সিরিয়া- যেখানে রাশিয়া ক্ষমতাসীন বাশার আল আসাদ সরকারের সমর্থনে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে হামলা চালাচ্ছে; ইউক্রেন- রাশিয়া ২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপ অধিগ্রহণ করে। যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্ররা ক্রিমিয়া অধিগ্রহণের দায়ে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেশটির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। পুতিন তার বৃহস্পতিবারের ভাষণে পশ্চিমা দেশগুলোর দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, তারা রাশিয়াকে পেছনে ফেলতে পারেনি। এখন তাদের একটা নতুন বাস্তবতার সম্মুখীন হতে হবে ও বুঝতে হবে যে আমি আজ যা বলেছি, তা কোনো ধাপ্পাবাজি নয়। উল্লেখ্য, আগামী ১৮ই মার্চ রাশিয়ায় জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনের আগে এটাই ছিল দেশবাসীর উদ্দেশ্যে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শেষ ভাষণ। ধারণা করা হচ্ছে নির্বাচনে পুতিনই জয়ী হবেন।
পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর অবস্থান: প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্রও পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে বেশ কঠোর অবস্থান নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার আরো আধুনিক ও সমৃদ্ধ করে তুলতে ব্যয় বৃদ্ধি করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্র প্রোগ্রামের তত্ত্বাবধায়নে থাকা বিভাগ জাতীয় পারমাণবিক নিরাপত্তা প্রশাসন সম্প্রতি প্লুটোনিয়াম আরোহন পুনরায় চালু করার ঘোষণা দিয়েছে। প্রসঙ্গত, প্লুটোনিয়াম হচ্ছে পারমাণবিক অস্ত্রের একটি মূল উপাদান। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ছোট আকারের পারমাণবিক অস্ত্র নিয়েও কাজ করা শুরু করেছে। সমালোচকরা বলছেন, আকারে ছোট হওয়ায় এসব পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পারমাণবিক অস্ত্রের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নতুন অবস্থান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পুতিন। এসময় তিনি জানান, রুশ পারমাণবিক অস্ত্র প্রোগ্রামের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল প্রতিরক্ষা। তিনি বলেন, আমরা রাশিয়া বা এর মিত্রদের বিরুদ্ধে ছোট, মধ্যম বা যেকোনো আকারের যেকোনো প্রকার পারমাণবিক হামলাকে আমাদের দেশের ওপর হামলা হিসেবে বিবেচনা করবো।
অন্যদিকে, রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সইগো জানিয়েছেন, পোল্যান্ড, রোমানিয়া ও আলাস্কায় মোতায়েনরত ন্যাটো’র মিসাইলবিরোধী ব্যবস্থা ভেদ করে হামলা চালানো যাবে। তিনি বলেন, দেখা যাচ্ছে যে মিসাইলবিরোধী পদ্ধতিতে ত্রুটি আছে।
পুতিন তার ভাষণে বলেছেন, রাশিয়া বা তার মিত্রদের ওপর কোনো রকম হামলা হলে মস্কো তার তাৎক্ষণিক জবাব দেবে।
ভাষণের সময় পুতিনের পেছনে প্রজেক্টরের মাধ্যমে তার দাবি করা নতুন অস্ত্রের ভিডিও ফুটেজ দেখানো হয়। রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, রাশিয়ার নতুন অত্যাধুনিক অস্ত্রভাণ্ডারের মধ্যে একটি নতুন আন্তর্মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করে হামলা চলানো যাবে এমন ছোট পারমাণবিক ওয়ারহেড, পানির নিচে চলাচলে সক্ষম এমন ড্রোন, সুপারসনিক (শব্দের চেয়ে দ্রুতগামী) অস্ত্র ও একটি লেজার অস্ত্র। পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে অনেক ইস্যুতে রাশিয়ার বিবাদ চলছে। তার মধ্যে রয়েছে, সিরিয়া- যেখানে রাশিয়া ক্ষমতাসীন বাশার আল আসাদ সরকারের সমর্থনে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে হামলা চালাচ্ছে; ইউক্রেন- রাশিয়া ২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপ অধিগ্রহণ করে। যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্ররা ক্রিমিয়া অধিগ্রহণের দায়ে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেশটির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। পুতিন তার বৃহস্পতিবারের ভাষণে পশ্চিমা দেশগুলোর দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, তারা রাশিয়াকে পেছনে ফেলতে পারেনি। এখন তাদের একটা নতুন বাস্তবতার সম্মুখীন হতে হবে ও বুঝতে হবে যে আমি আজ যা বলেছি, তা কোনো ধাপ্পাবাজি নয়। উল্লেখ্য, আগামী ১৮ই মার্চ রাশিয়ায় জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনের আগে এটাই ছিল দেশবাসীর উদ্দেশ্যে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শেষ ভাষণ। ধারণা করা হচ্ছে নির্বাচনে পুতিনই জয়ী হবেন।
পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর অবস্থান: প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্রও পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে বেশ কঠোর অবস্থান নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার আরো আধুনিক ও সমৃদ্ধ করে তুলতে ব্যয় বৃদ্ধি করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্র প্রোগ্রামের তত্ত্বাবধায়নে থাকা বিভাগ জাতীয় পারমাণবিক নিরাপত্তা প্রশাসন সম্প্রতি প্লুটোনিয়াম আরোহন পুনরায় চালু করার ঘোষণা দিয়েছে। প্রসঙ্গত, প্লুটোনিয়াম হচ্ছে পারমাণবিক অস্ত্রের একটি মূল উপাদান। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ছোট আকারের পারমাণবিক অস্ত্র নিয়েও কাজ করা শুরু করেছে। সমালোচকরা বলছেন, আকারে ছোট হওয়ায় এসব পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পারমাণবিক অস্ত্রের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নতুন অবস্থান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পুতিন। এসময় তিনি জানান, রুশ পারমাণবিক অস্ত্র প্রোগ্রামের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল প্রতিরক্ষা। তিনি বলেন, আমরা রাশিয়া বা এর মিত্রদের বিরুদ্ধে ছোট, মধ্যম বা যেকোনো আকারের যেকোনো প্রকার পারমাণবিক হামলাকে আমাদের দেশের ওপর হামলা হিসেবে বিবেচনা করবো।
অন্যদিকে, রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সইগো জানিয়েছেন, পোল্যান্ড, রোমানিয়া ও আলাস্কায় মোতায়েনরত ন্যাটো’র মিসাইলবিরোধী ব্যবস্থা ভেদ করে হামলা চালানো যাবে। তিনি বলেন, দেখা যাচ্ছে যে মিসাইলবিরোধী পদ্ধতিতে ত্রুটি আছে।
No comments