দাবি না মানলে ১৮ই মার্চ বঙ্গভবন অভিমুখে গণমিছিল
আগামী
১৮ই মার্চ ইসলাম নিয়ে কটূক্তিকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির আইন পাসের দাবিতে
বঙ্গভবন অভিমুখে গণমিছিল এবং প্রেসিডেন্ট বরাবর স্মারকলিপি দেয়াসহ বিভিন্ন
কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন। গতকাল দুপুরে বায়তুল মোকাররম জাতীয়
মসজিদের উত্তর গেটে অনুষ্ঠিত সমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের আমীর মাওলানা সৈয়দ
মুহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর চরমোনাই) এ ঘোষণা দেন। সমাবেশে তিনি বলেন,
আল্লাহর রহমতে সব বাধা উপেক্ষা করে আমরা সমাবেশ করেছি। তাই আগামী রোববার
হরতাল হবে না। সমাবেশে আমীর ছাড়াও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহাসচিব অধ্যক্ষ
ইউনূস আহমদ ও সৈয়দ মোসাদ্দেক আল বিল্লাহ মাদানী প্রমুখ। এর আগে ২৭শে
নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের জন্য অনুমতি চেয়েছিল তারা। তবে
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অনুমোদন না দেয়ায় প্রেস ক্লাব চত্বরে
সমাবেশের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির
নেতারা জানিয়েছিল, সমাবেশে বাধা দিলে রোববার হরতাল ডাকা হবে। সমাবেশে
চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন,‘ লতিফ সিদ্দিকীর মতো
স্বঘোষিত নাস্তিক মুরতাদ বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার করে
নির্বিগ্নে দেশে ফিরে এসেছে। আমরা সরকারকে বলেছিলাম, তসলিমা নাসরিন ও দাউদ
হায়দারের স্থান বাংলাদেশের মাটিতে হয়নি। তাই লতিফ সিদ্দিকীকে যেন বাংলাদেশে
আসতে দেয়া না হয়। কিন্তু, সরকার তাকে দেশে এনে প্রমাণ করেছে যে, তারা
নাস্তিকদের শুধু পক্ষই অবলম্বন করেনি লালনকারীও বটে। তিনি বলেন,
প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকারের লোকজন দাবি করেন তারা মুসলমান। নামাজ পড়েন
রোজা রাখেন। কিন্তু, আপনারা লতিফ সিদ্দিকীর মতো একজন নাস্তিক ও মুরতাদকে
বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন রকম চেষ্টা ও তদবীর করে যাচ্ছেন। তার শাস্তির দাবিতে
ইসলামী আন্দোলন যে সমাবেশের আয়োজন করছে ওই সমাবেশের মাইক কেড়ে নিয়েছে। এতে
করে আপনাদের নামাজ রোজা কোন কাজে আসবে না।
No comments