র্যাবেরও নাম পরিবর্তন দরকার: শাহজাহান ওমর
বিডিআরের
মতো র্যা বেরও নাম পরিবর্তন করা দরকার বলে মনে করে বিএনপির চেয়ারপারসনের
উপদেষ্টা মুহাম্মদ শাহজাহান ওমর। তিনি বলেছেন, “সামরিক বাহিনীতে একটি নিয়ম
আছে, যখন কোনো সংগঠনের বদনাম হয় তখন তার পুনর্গঠন দরকার হয়।” শনিবার
সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলা একাডেমি মিলনায়তনে বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপে এসব
কথা বলেন তিনি। সংলাপের এ পর্বে প্যানেল আলোচক হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন
প্রধানমন্ত্রীর তথ্যবিষয়ক উপদেষ্টা ও ইংরেজি দৈনিক অবজারভারের সম্পাদক
ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বেসরকারি সংগঠন উবিনীগের নির্বাহী পরিচালক ফরিদা
আখতার এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য ফাওজিয়া করিম ফিরোজ। ১০ ডিসেম্বর
বিশ্ব মানবাধিকার দিবস সামনে রেখে বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপের এটি ছিল একটি
বিশেষ পর্ব। এ পর্বে দ্বিতীয় প্রশ্ন ছিল, র্যা বের অনেক কর্মকাণ্ডকে
মানবাধিকারবিরোধী হিসেবে চিহ্নিত করে এই বাহিনীর বিলুপ্তি দাবি করা হয়েছে
দেশে ও দেশের বাইরে থেকে। একটি বাহিনী ভেঙে দেয়ার দাবি কতটুকু যৌক্তিক বলে
আপনারা মনে করেন? জবাবে মুহাম্মদ শাহজাহান ওমর বলেন, “র্যা ব অনেক ভালো কাজ
করেছে এটা ঠিক। কিন্তু কিছু সদস্য পুরো র্যা বকে কলঙ্কিত করেছে। বিডিআরের
নাম বদলে যেমন বিজিবি রাখা হয়েছে, তেমনি র্যা্বেরও নাম পরিবর্তন করা
দরকার।” কিছু মানুষের জন্য পুরো বাহিনীকে কেন বিলুপ্ত করা হবে, এমন
প্রশ্নের জবাবে শাহজাহান ওমর বলেন, “বিডিআর বিদ্রোহে তো সবাই সম্পৃক্ত ছিল
না। তার পরও কিন্তু বিডিআরের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।” ফাওজিয়া করিম ফিরোজ
বলেন, “আমি যখন প্রথম র্যাওব দেখেছিলাম, তখনই আমার খারাপ লেগেছে। কোনো
ব্যক্তি যখন মাথায় কারো পট্টি আর চোখে কালো চশমা পরে থাকে, তখন তার ওপর
সাধারণ মানুষের কীভাবে শ্রদ্ধা আসবে! তাই আমার মনে হয় র্যা বের পুনর্গঠন
করা দরকার।” ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, “কিছুসংখ্যক লোকের অন্যায়ের দায়
কখনো পুরো একটি বাহিনীর ওপর পড়তে পারে না। আর্মি তো জাতির জনকসহ দেশের দুজন
রাষ্ট্রপতিকে খুন করেছিল, তাই বলে কি আমরা বলব আর্মির দরকার নেই?” এ সময়
তিনি অপরাধীদের শাস্তি দিতে হবে এবং র্যা বে শৃঙ্খলা আনতে হবে বলে মত দেন।
ফরিদা আখতার বলেন, “যখন কোনো বাহিনী শাসকশ্রেণীর পক্ষে খুনি বাহিনী হিসেবে
পরিচিত হয়, তখন তাকে বিলুপ্ত করার প্রয়োজন হয়।” বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশন ও
বিবিসি বাংলা যৌথভাবে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে। অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করেন
ওয়ালিউর রহমান মিরাজ এবং উপস্থাপনা করেন আকবর হোসেন।
No comments