ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ঢাকা আসছেন আজ
ভুটানের
প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকা আসছেন আজ। প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে তার থিম্পু সফরের ফিরতি সফরে ৩ দিনের জন্য আসছেন
তিনি। সফরকালে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ছাড়াও
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত এবং সফরসঙ্গী উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে
আনুষ্ঠানিক বৈঠকে মিলিত হবেন। সফরের বিভিন্ন পর্যায়ে তার সঙ্গে সরকারের
অর্থ, বাণিজ্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক
সম্পর্কবিষয়ক উপদেষ্টার বৈঠক হবে। বিরোধী দলের নেতা, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও
পেশাজীবী প্রতিনিধির সঙ্গেও তার সাক্ষাৎ হবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় প্রথম
স্বীকৃতিদানকারী দেশ ভুটানের সরকার প্রধানের সফরকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে
নিয়েছে ঢাকা। হাই প্রোফাইল ওই সফরকে দেশটির সঙ্গে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয়
বাণিজ্য ও বিদ্যুৎ সহযোগিতা বাড়ানোর বিস্তৃত আলোচনার সুযোগ হিসেবে নিচ্ছে
বাংলাদেশ। দেশটির বাণিজ্যবিষয়ক সমঝোতা চুক্তি রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এবারের
সফরে চুক্তি নবায়ন ছাড়াও ভারত ও নেপালকে নিয়ে প্রস্তাবিত ত্রিদেশীয়
ট্রানজিট নিয়ে আলোচনা হতে পারে। গত বছর জুলাই মাসে ভুটানে প্রধানমন্ত্রী
হিসেবে দায়িত্ব নেন শেরিং তোবগে। বাংলাদেশে এটি হবে তার প্রথম সফর। একাধিক
কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছেন, ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেশটির ২ জন
মন্ত্রী ছাড়াও সরকারের ১০ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি, ১৩ সদস্যের
বাণিজ্য প্রতিনিধি দল এবং ৩ জন গণমাধ্যম প্রতিনিধি ঢাকা আসছেন। সমপ্রতি এক
সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী জানিয়েছেন, ভুটান
প্রধানমন্ত্রীর সফর এবং এখানে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিভিন্ন
পর্যায়ের আলোচনায় বিদ্যুৎ উৎপাদন, কৃষি, কানেক্টিভিটি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা,
সংস্কৃতিসহ দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় গুরুত্ব পাবে। দু’ দেশের
মধ্যে যে বাণিজ্য চুক্তি রয়েছে তা নবায়নের সম্ভাবনা রয়েছে জানিয়ে
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উভয় দেশ এব্যাপারে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বাণিজ্য চুক্তিতে নতুন সংযোজন: ভুটানের সঙ্গে বিদ্যমান বাণিজ্য চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে গত নভেম্বরে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালের থিম্পু সফরে সর্বশেষ চুক্তিটি নবায়ন হয়। ৫ বছর মেয়াদি ওই চুক্তি নয়ায়নে এবার ব্যাপক সংযোজনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সমপ্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এক সভা সংযোজনের জন্য প্রস্তাবিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা হয়েছে। দুই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠেয় শীর্ষ বৈঠকে এটি অনুমোদন পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। নতুন বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে দেশ দুটির যুগ্ম সচিব পর্যায়ে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন, বাণিজ্যবিষয়ক তথ্য আদান-প্রদানের সুযোগ রাখা, উভয় দেশে বাণিজ্য মেলার আয়োজন, বাণিজ্য সংগঠনের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ভুটান বাংলাদেশকে ৯০টি পণ্যে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা দিচ্ছে। বিপরীতে বাংলাদেশও দেশটির ১৮টি পণ্যে এ সুবিধা দিচ্ছে। গত অর্থবছরে বাংলাদেশ ভুটানে ১৯ লাখ ১০ হাজার ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। একই সময়ে ভুটান থেকে দুই কোটি ২৫ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি করা হয়েছে। এ হিসাবে ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি অনেক বেশি। ভুটান থেকে তাজা ফল, নির্মাণসামগ্রী, সিমেন্টের কাঁচামাল, মসলাসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করা হয়। বাংলাদেশ থেকে তৈরী পোশাক, মেলামাইনসামগ্রী, ফলের রস (জুস), ওষুধ, প্রসাধনসামগ্রীসহ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি হয়। সমপ্রতি বাংলাদেশের উদ্বৃত্ত ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ কেনার বিষয়ে আগ্রহ জানিয়েছে ভুটান। এছাড়া, পদ্মা সেতু নির্মাণে প্রয়োজনীয় বড় পাথর বা বোল্ডার সাপ্লাইয়েও আগ্রহ রয়েছে দেশটির।
সফরসূচির বিস্তারিত: ঘোষিত সফরসূচি মতে, দ্রুক এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে আজ সকাল নয়টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছাবেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে। বিমানবন্দরে তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাকে নিয়ে যাওয়া হবে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও পুষ্পমাল্য অর্পণ করবেন তিনি। এরপর তাকে নিয়ে আসা হবে রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে। সফরকালে তিনি ওই হোটেলেই অবস্থান করবেন। দুপুর সাড়ে বারোটায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। বিকাল তিনটার পর তিনি যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে। সেখানে প্রথমে একান্ত বৈঠক এবং পরে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। রাতে তার সম্মানে প্রধানমন্ত্রী নৈশভোজের আয়োজন করেছেন। সেখানে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করবেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী। সফরের দ্বিতীয় দিন (আগামীকাল) সকাল ৯টায় তিনি শাহবাগস্থ জাতীয় জাদুঘর পরিদর্শনে যাবেন। সেখান থেকে তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর হয়ে হেলিকপ্টারযোগে কালিয়াকৈরের স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের কারখানা পরিদর্শনে যাবেন। গাজীপুর থেকে ফিরে দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবনে যাবেন তিনি। প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে হোটেলে ফিরবেন। বিকাল ৫টায় তার হোটেল স্যুটে গিয়ে সাক্ষাৎ করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এরপর বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ পৃথক সাক্ষাৎ করবেন। সফরের শেষদিন সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শনে যাবেন তিনি। সেখান থেকে ফেরার পর সকাল সাড়ে ১০টায় তার হোটেল স্যুটে প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী সাক্ষাৎ করবেন। সকাল ১১টায় এফবিসিসিআই’র প্রতিনিধি দল ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এরপর তার সাক্ষাৎ পাবেন বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)-এর উপাচার্য ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত। দুপুর আড়াইটায় তিনি ঢাকাস্থ ভুটান দূতাবাস পরিদর্শনে যাবেন। সেখান থেকে বিকাল সাড়ে তিনটায় একই এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে থিম্পুর উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যাবেন।
বাণিজ্য চুক্তিতে নতুন সংযোজন: ভুটানের সঙ্গে বিদ্যমান বাণিজ্য চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে গত নভেম্বরে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালের থিম্পু সফরে সর্বশেষ চুক্তিটি নবায়ন হয়। ৫ বছর মেয়াদি ওই চুক্তি নয়ায়নে এবার ব্যাপক সংযোজনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সমপ্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এক সভা সংযোজনের জন্য প্রস্তাবিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা হয়েছে। দুই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠেয় শীর্ষ বৈঠকে এটি অনুমোদন পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। নতুন বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে দেশ দুটির যুগ্ম সচিব পর্যায়ে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন, বাণিজ্যবিষয়ক তথ্য আদান-প্রদানের সুযোগ রাখা, উভয় দেশে বাণিজ্য মেলার আয়োজন, বাণিজ্য সংগঠনের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ভুটান বাংলাদেশকে ৯০টি পণ্যে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা দিচ্ছে। বিপরীতে বাংলাদেশও দেশটির ১৮টি পণ্যে এ সুবিধা দিচ্ছে। গত অর্থবছরে বাংলাদেশ ভুটানে ১৯ লাখ ১০ হাজার ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। একই সময়ে ভুটান থেকে দুই কোটি ২৫ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি করা হয়েছে। এ হিসাবে ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি অনেক বেশি। ভুটান থেকে তাজা ফল, নির্মাণসামগ্রী, সিমেন্টের কাঁচামাল, মসলাসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করা হয়। বাংলাদেশ থেকে তৈরী পোশাক, মেলামাইনসামগ্রী, ফলের রস (জুস), ওষুধ, প্রসাধনসামগ্রীসহ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি হয়। সমপ্রতি বাংলাদেশের উদ্বৃত্ত ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ কেনার বিষয়ে আগ্রহ জানিয়েছে ভুটান। এছাড়া, পদ্মা সেতু নির্মাণে প্রয়োজনীয় বড় পাথর বা বোল্ডার সাপ্লাইয়েও আগ্রহ রয়েছে দেশটির।
সফরসূচির বিস্তারিত: ঘোষিত সফরসূচি মতে, দ্রুক এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে আজ সকাল নয়টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছাবেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে। বিমানবন্দরে তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাকে নিয়ে যাওয়া হবে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও পুষ্পমাল্য অর্পণ করবেন তিনি। এরপর তাকে নিয়ে আসা হবে রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে। সফরকালে তিনি ওই হোটেলেই অবস্থান করবেন। দুপুর সাড়ে বারোটায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। বিকাল তিনটার পর তিনি যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে। সেখানে প্রথমে একান্ত বৈঠক এবং পরে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। রাতে তার সম্মানে প্রধানমন্ত্রী নৈশভোজের আয়োজন করেছেন। সেখানে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করবেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী। সফরের দ্বিতীয় দিন (আগামীকাল) সকাল ৯টায় তিনি শাহবাগস্থ জাতীয় জাদুঘর পরিদর্শনে যাবেন। সেখান থেকে তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর হয়ে হেলিকপ্টারযোগে কালিয়াকৈরের স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের কারখানা পরিদর্শনে যাবেন। গাজীপুর থেকে ফিরে দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবনে যাবেন তিনি। প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে হোটেলে ফিরবেন। বিকাল ৫টায় তার হোটেল স্যুটে গিয়ে সাক্ষাৎ করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এরপর বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ পৃথক সাক্ষাৎ করবেন। সফরের শেষদিন সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শনে যাবেন তিনি। সেখান থেকে ফেরার পর সকাল সাড়ে ১০টায় তার হোটেল স্যুটে প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী সাক্ষাৎ করবেন। সকাল ১১টায় এফবিসিসিআই’র প্রতিনিধি দল ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এরপর তার সাক্ষাৎ পাবেন বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)-এর উপাচার্য ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত। দুপুর আড়াইটায় তিনি ঢাকাস্থ ভুটান দূতাবাস পরিদর্শনে যাবেন। সেখান থেকে বিকাল সাড়ে তিনটায় একই এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে থিম্পুর উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যাবেন।
No comments