সুখেই আছেন ম্যান্ডেলা, হাসছেন
দক্ষিণ
আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী লড়াইয়ের অবিস্মরণীয় নেতা ও দেশটির প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ
প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী ছিল শুক্রবার। দেশের
স্বাধীনতার বীর সন্তানদের স্মরণে প্রিটোরিয়ার ফ্রিডম পার্ক ভবনে
আন্তঃধর্মীয় প্রার্থনা সভার মধ্য দিয়ে এই মহান নেতার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী
পালনের অনুষ্ঠানমালা শুরু হয়। দিনটি উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে
ম্যান্ডেলা ফাউন্ডেশন। তার ৬৭ বছরের মানবসেবাকে স্মরণ করে ৬৭ মিনিটব্যাপী
বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের ঝংকারের আয়োজন করে ম্যান্ডেলা ফাউন্ডেশন। প্রথমে
ঘণ্টি, সাইরেন, ভুভুজেলা, তারপর গলা ছেড়ে গান- সিডা সিডা পিরা টোস্টা
টোস্টা (আমরা শুরু করছি, এটাই আমাদের শুরু)। গোত্রপ্রধান রন মার্টিনের
কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে গান পরিবেশন করেন মাদিবা গোত্রের অন্য সদস্যরাও।
সেইসঙ্গে গোত্রীয় নৃত্য। পাঁচ মিটার উঁচু ম্যান্ডেলার হাস্যোজ্জ্বল
ভাস্কর্যের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ অনুষ্ঠানে বর্ণবাদবিরোধী লড়াইয়ের
বীরসেনানীরা অংশ নেন। এছাড়া দিনব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা তার জনগণের উদ্দেশে বলেন, আমরা মাদিবাকে স্মরণ করব। দেশের ঐক্য, বিশ্বশান্তি, উন্নয়ন ও সব দক্ষিণ আফ্রিকান নাগরিকের জন্য সমৃদ্ধ জীবনের স্বপ্ন দেখেছেন মাদিবা। আসুন আমরা পুনরায় প্রতিশ্র“তির মাধ্যমে তার স্বপ্ন পূরণের অঙ্গীকার ব্যক্ত করি। ম্যান্ডেলা পত্নী গ্রাসা ম্যাচেল বলেন, নেলসন ম্যান্ডেলা যেখানে আছেন সেখানে তিনি সুখেই আছেন এবং হাসছেন। ম্যাচেল আরও বলেন, ‘তার (ম্যান্ডেলা) মারা যাওয়ার দিন আমি চিন্তা করতে সক্ষম ছিলাম না, আমি স্তম্ভিত ছিলাম ... কিন্তু এখন পেছনে তাকিয়ে আমি তাকে কল্পনা করে গর্বিত হই, হাঁটি এবং সবাই তাকে অভিবাদন জানাচ্ছে ... আমি জানি মাদিবা ভালো আছেন।’
ম্যাচেল বলেন, ‘আমি এখানে আজও দুই পরিবারের মা হয়ে দাঁড়িয়ে আছি। তিনি (ম্যান্ডেলা) যখন মারা যান প্রশান্তি ছিল তার মুখে। সহায়তার জন্য তিনি দক্ষিণ আফ্রিকাবাসীকে ধন্যবাদ জানান। গত বছরের এই দিনে জোহানেসবার্গের বাড়িতে ৯৫ বছর বয়সে আজীবন সংগ্রামী ও শ্রদ্ধাভাজন এই মানুষটির জীবনপ্রদীপ নিভে যায়। ১০ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন শেষে গত বছর ১৫ ডিসেম্বর নিজ গ্রাম কুনুতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দক্ষিণ আফ্রিকা চিরবিদায় জানায় তাকে।
১৯১৮ সালের ১৮ জুলাই দক্ষিণ আফ্রিকার উমতাতু প্রদেশের এমভাজো গ্রামে জন্ম নেন নেলসন ম্যান্ডেলা। দক্ষিণ আফ্রিকানদের কাছে তিনি মাদিবা নামেই বেশি পরিচিত। মাদিবা তার গোত্রীয় নাম। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময়ই আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে ১৯৪৪ সালে প্রতিষ্ঠা করেন যুবলীগের। ১৯৪৮ সালে আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের নেতৃত্বের সামনের সারিতে আসেন নেলসন ম্যান্ডেলা। ১৯৬২ সালে অন্তর্ঘাতসহ নানা অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় তার। বোরেন দ্বীপের ২৭ বছর কারাগারে থেকে ১৯৯০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পান। ১৯৯১ থেকে ’৯৭ সাল পর্যন্ত ছিলেন আফ্রিকার ন্যাশনাল কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট। ১৯৯৪ সালে তার সুযোগ্য নেতৃত্বে নির্বাচনে জয়লাভ করে আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হন নেলসন ম্যান্ডেলা। ২০১০ সালে বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল খেলার সময় শেষবারের মতো জনসম্মুখে আসেন নেলসন ম্যান্ডেলা। দক্ষিণ আফ্রিকার সোয়েটোর সেই স্টেডিয়ামে ৯০ হাজার দর্শক দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়ে সেদিন তাকে স্বাগত জানায়। সোয়েটোতেই সংগ্রামী নেতা হিসেবে অভিষেক হয়েছিল তার।
বোরেন দ্বীপের নোংরা কারা প্রকোষ্ঠে থাকার সময় সেই ষাটের দশকেই ম্যান্ডেলার শরীরে বাসা বাঁধে মরণব্যাধি যক্ষ্মা। শেষ বয়সে ফুসফুসে সংক্রমণ দেখা দেয়। বছরজুড়ে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। অবশেষে গত বছরের এই দিনে রাত ৮টা ৫০ মিনিটে মারা যান তিনি। এএফপি।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা তার জনগণের উদ্দেশে বলেন, আমরা মাদিবাকে স্মরণ করব। দেশের ঐক্য, বিশ্বশান্তি, উন্নয়ন ও সব দক্ষিণ আফ্রিকান নাগরিকের জন্য সমৃদ্ধ জীবনের স্বপ্ন দেখেছেন মাদিবা। আসুন আমরা পুনরায় প্রতিশ্র“তির মাধ্যমে তার স্বপ্ন পূরণের অঙ্গীকার ব্যক্ত করি। ম্যান্ডেলা পত্নী গ্রাসা ম্যাচেল বলেন, নেলসন ম্যান্ডেলা যেখানে আছেন সেখানে তিনি সুখেই আছেন এবং হাসছেন। ম্যাচেল আরও বলেন, ‘তার (ম্যান্ডেলা) মারা যাওয়ার দিন আমি চিন্তা করতে সক্ষম ছিলাম না, আমি স্তম্ভিত ছিলাম ... কিন্তু এখন পেছনে তাকিয়ে আমি তাকে কল্পনা করে গর্বিত হই, হাঁটি এবং সবাই তাকে অভিবাদন জানাচ্ছে ... আমি জানি মাদিবা ভালো আছেন।’
ম্যাচেল বলেন, ‘আমি এখানে আজও দুই পরিবারের মা হয়ে দাঁড়িয়ে আছি। তিনি (ম্যান্ডেলা) যখন মারা যান প্রশান্তি ছিল তার মুখে। সহায়তার জন্য তিনি দক্ষিণ আফ্রিকাবাসীকে ধন্যবাদ জানান। গত বছরের এই দিনে জোহানেসবার্গের বাড়িতে ৯৫ বছর বয়সে আজীবন সংগ্রামী ও শ্রদ্ধাভাজন এই মানুষটির জীবনপ্রদীপ নিভে যায়। ১০ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন শেষে গত বছর ১৫ ডিসেম্বর নিজ গ্রাম কুনুতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দক্ষিণ আফ্রিকা চিরবিদায় জানায় তাকে।
১৯১৮ সালের ১৮ জুলাই দক্ষিণ আফ্রিকার উমতাতু প্রদেশের এমভাজো গ্রামে জন্ম নেন নেলসন ম্যান্ডেলা। দক্ষিণ আফ্রিকানদের কাছে তিনি মাদিবা নামেই বেশি পরিচিত। মাদিবা তার গোত্রীয় নাম। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময়ই আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে ১৯৪৪ সালে প্রতিষ্ঠা করেন যুবলীগের। ১৯৪৮ সালে আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের নেতৃত্বের সামনের সারিতে আসেন নেলসন ম্যান্ডেলা। ১৯৬২ সালে অন্তর্ঘাতসহ নানা অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় তার। বোরেন দ্বীপের ২৭ বছর কারাগারে থেকে ১৯৯০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পান। ১৯৯১ থেকে ’৯৭ সাল পর্যন্ত ছিলেন আফ্রিকার ন্যাশনাল কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট। ১৯৯৪ সালে তার সুযোগ্য নেতৃত্বে নির্বাচনে জয়লাভ করে আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হন নেলসন ম্যান্ডেলা। ২০১০ সালে বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল খেলার সময় শেষবারের মতো জনসম্মুখে আসেন নেলসন ম্যান্ডেলা। দক্ষিণ আফ্রিকার সোয়েটোর সেই স্টেডিয়ামে ৯০ হাজার দর্শক দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়ে সেদিন তাকে স্বাগত জানায়। সোয়েটোতেই সংগ্রামী নেতা হিসেবে অভিষেক হয়েছিল তার।
বোরেন দ্বীপের নোংরা কারা প্রকোষ্ঠে থাকার সময় সেই ষাটের দশকেই ম্যান্ডেলার শরীরে বাসা বাঁধে মরণব্যাধি যক্ষ্মা। শেষ বয়সে ফুসফুসে সংক্রমণ দেখা দেয়। বছরজুড়ে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। অবশেষে গত বছরের এই দিনে রাত ৮টা ৫০ মিনিটে মারা যান তিনি। এএফপি।
No comments