লতিফ সিদ্দিকীর ফাঁসি না হলে সরকারকে কড়া জবাব
পবিত্র
হজ ও মহানবী হজরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় সাবেক
মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীর ফাঁসি ও সংসদের আগামী অধিবেশনে নাস্তিকদের শাস্তির
বিধান রেখে আইন পাস করার দাবিতে ৯ ডিসেম্বর থেকে ১৮ মার্চ পর্যন্ত নানা
কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে ইসলামী বাংলাদেশ। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- গণমিছিল,
জনসংযোগ ও রোর্ড মার্চ। এরমধ্যে ৯ ডিসেম্বর দেশের প্রতিটি জেলায় বিক্ষোভ
মিছিল ও সমাবেশ করবে দলটি। শুক্রবার জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর
গেটে মহাসমাবেশ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন ইসলামী আন্দোলনের আমির ও
চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম। একই সঙ্গে রোববারের হরতাল
প্রত্যাহার করে নিয়েছে দলটি। রেজাউল করিম বলেন, লতিফ সিদ্দিকীর ফাঁসি দিতে
হবে। তার কঠোর শাস্তি না দেয়া হলে আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব। তিনি
বলেন, আমরা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামিনি। আমরা নাস্তিক-মুরতাদের
বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছি। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, বন্দুকের নলের মুখে
আমাদের আন্দোলন দমানো যাবে না। জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বরে মহাসমাবেশ করার
অনুমতি না পেয়ে জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটের
সামনের রাস্তায় ট্রাকে অস্থায়ী মঞ্চে সমাবেশে করে ইসলামী আন্দোলন। তবে
নামাজের আগে থেকেই সংগঠনটির নেতাকর্মীরা ভিড় করে মসজিদ এলাকায়। দৈনিক বাংলা
মোড়, পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেস ক্লাবসহ আশপাশ এলাকায় পুলিশ নিরাপত্তা বলয়
গড়ে তোলে। জুমার নামাজের আগে দৈনিক বাংলা মোড় ও পুরানা পল্টন মোড়ে লোহার
বেরিকেড দিয়ে দেয় পুলিশ। এ সময় পুরান পল্টন-দৈনিক বাংলা মোড় পর্যন্ত সড়কে
যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সমাবেশে দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, লতিফ সিদ্দিকী যে মন্তব্য করেছে তা কোনো নাস্তিক ছাড়া বলা সম্ভব না। সে একজন নাস্তিক। এই নাস্তিকের বিচার হতে হবে। দলটির মহাসচিব অধ্যাপক ইউনুস আহমাদ বলেন, আমরা ইসলামের পক্ষে আন্দোলনে নেমেছি- সরকার হটাতে নয়। সুতরাং সরকার যেন আমাদের প্রতিপক্ষ না ভাবে। সরকারের উচিত হবে আমাদের বাধা না দেয়া। ঢাকা মহানগর সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা হেমায়েত উদ্দিন বলেন, মুসলিম দেশে ওইসব নাস্তিকদের ঠাঁই হবে না। এই মাটিতে তাদের বিচার করতে হবে। অধ্যাপক মাহাবুবুর রহমান বলেন, কোনো মুসলিম ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারে না। ইসলামের বিরুদ্ধে যারা মন্তব্য করবে তাদের উচিত জবাব দেয়া হবে। তিনি বলেন, সমাজ ও মানবতা যখন পাপাচার হয়ে ওঠে তখনই যুগে যুগে আল্লাহ নবী রাসূলদের পাঠিয়ে আলোর পথ দেখিয়েছেন। আরও বক্তব্য রাখেন- ইসলামী আন্দোলনের নেতা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন্দ, আলতাফ হোসেন প্রমুখ। বক্তারা বলেন, নাস্তিকদের শাস্তির বিধান রেখে আইন পাস না করা হলে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। আল্লাহ ও তার রসুলের অবমাননা করে লতিফ সিদ্দিকী যে বক্তব্য দিয়েছেন সে অপরাধের একমাত্র শাস্তি ফাঁসি। তারা হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, প্রচলিত আইনের ফাঁকে লতিফ সিদ্দিকী ক্ষমা পেলে আগামী নির্বাচনে সরকারকে কড়া জবাব দেয়া হবে। এর আগে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, সমাবেশের অনুমতি না পেলে তারা রোববার হরতাল পালন করবে।
ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে আরও রয়েছে- ১২ ডিসেম্বর সিলেট বিভাগীয় মহাসমাবেশ, নিজেদের দাবির পক্ষে জনমত সৃষ্টির লক্ষ্যে ২৫ ডিসেম্বর থানায় থানায় বিক্ষোভ, ২৩ থেকে ২৫ ডিসেম্বর ঢাকা-কুড়িগ্রাম রোডমার্চ, ৫ থেকে ৭ জানুয়ারি ঢাকা-সিলেট রোডমার্চ, ৭ থেকে ৯ জানুয়ারি ঢাকা-খুলনা রোডমার্চ, ১০ থেকে ১১ জানুয়ারি খুলনা-বরিশাল রোডমার্চ, ২১ থেকে ২৩ জানুয়ারি ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডমার্চ, ১৫ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি গণস্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান, ১৮ মার্চ বঙ্গভবন অভিমুখে গণমিছিল ও রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হবে। এছাড়া আসন্ন সংসদ অধিবেশন চলাকালে সংসদ অভিমুখে গণমিছিল ও স্মারকলিপি পেশ করবে ইসলামী আন্দোলন। একই সঙ্গে সব ধর্ম নিয়ে কটূক্তিকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির আইন পাসের দাবিও জানিয়েছে দলটি।
সমাবেশে দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, লতিফ সিদ্দিকী যে মন্তব্য করেছে তা কোনো নাস্তিক ছাড়া বলা সম্ভব না। সে একজন নাস্তিক। এই নাস্তিকের বিচার হতে হবে। দলটির মহাসচিব অধ্যাপক ইউনুস আহমাদ বলেন, আমরা ইসলামের পক্ষে আন্দোলনে নেমেছি- সরকার হটাতে নয়। সুতরাং সরকার যেন আমাদের প্রতিপক্ষ না ভাবে। সরকারের উচিত হবে আমাদের বাধা না দেয়া। ঢাকা মহানগর সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা হেমায়েত উদ্দিন বলেন, মুসলিম দেশে ওইসব নাস্তিকদের ঠাঁই হবে না। এই মাটিতে তাদের বিচার করতে হবে। অধ্যাপক মাহাবুবুর রহমান বলেন, কোনো মুসলিম ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারে না। ইসলামের বিরুদ্ধে যারা মন্তব্য করবে তাদের উচিত জবাব দেয়া হবে। তিনি বলেন, সমাজ ও মানবতা যখন পাপাচার হয়ে ওঠে তখনই যুগে যুগে আল্লাহ নবী রাসূলদের পাঠিয়ে আলোর পথ দেখিয়েছেন। আরও বক্তব্য রাখেন- ইসলামী আন্দোলনের নেতা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন্দ, আলতাফ হোসেন প্রমুখ। বক্তারা বলেন, নাস্তিকদের শাস্তির বিধান রেখে আইন পাস না করা হলে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। আল্লাহ ও তার রসুলের অবমাননা করে লতিফ সিদ্দিকী যে বক্তব্য দিয়েছেন সে অপরাধের একমাত্র শাস্তি ফাঁসি। তারা হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, প্রচলিত আইনের ফাঁকে লতিফ সিদ্দিকী ক্ষমা পেলে আগামী নির্বাচনে সরকারকে কড়া জবাব দেয়া হবে। এর আগে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, সমাবেশের অনুমতি না পেলে তারা রোববার হরতাল পালন করবে।
ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে আরও রয়েছে- ১২ ডিসেম্বর সিলেট বিভাগীয় মহাসমাবেশ, নিজেদের দাবির পক্ষে জনমত সৃষ্টির লক্ষ্যে ২৫ ডিসেম্বর থানায় থানায় বিক্ষোভ, ২৩ থেকে ২৫ ডিসেম্বর ঢাকা-কুড়িগ্রাম রোডমার্চ, ৫ থেকে ৭ জানুয়ারি ঢাকা-সিলেট রোডমার্চ, ৭ থেকে ৯ জানুয়ারি ঢাকা-খুলনা রোডমার্চ, ১০ থেকে ১১ জানুয়ারি খুলনা-বরিশাল রোডমার্চ, ২১ থেকে ২৩ জানুয়ারি ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডমার্চ, ১৫ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি গণস্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান, ১৮ মার্চ বঙ্গভবন অভিমুখে গণমিছিল ও রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হবে। এছাড়া আসন্ন সংসদ অধিবেশন চলাকালে সংসদ অভিমুখে গণমিছিল ও স্মারকলিপি পেশ করবে ইসলামী আন্দোলন। একই সঙ্গে সব ধর্ম নিয়ে কটূক্তিকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির আইন পাসের দাবিও জানিয়েছে দলটি।
No comments