আজও হাসছেন মাদিবা
(প্রিটোরিয়ায়
ইউনিয়ন বিল্ডিং প্রাঙ্গণে নেলসন ম্যান্ডেলার স্মরণ অনুষ্ঠানে শিশুদের
উল্লাস। তাদের পেছনে ম্যান্ডেলার বিশাল প্রতিমূর্তি। এটি গোটা বিশ্বেই
প্রয়াত এ বর্ণবাদবিরোধী নেতার সবচেয়ে বড় মূর্তি l ছবি: এএফপি) পাঁচ
মিটার উঁচু বিশাল এক হাস্যোজ্জ্বল মূর্তি। দুই হাত প্রসারিত সেই মূর্তির
পায়ের কাছে বিশাল এক ফুলের তোড়া রাখার আগে গ্রাসা ম্যাশেল বললেন, ‘শরীরটা
ভেঙে পড়েছিল। কিন্তু শেষ দিন পর্যন্ত মাদিবার আদর্শ ছিল অটুট। আজও তা
তেমনই আছে। আমি জানি, তিনি আজও হাসছেন। তিনি সুখী, কেননা তিনি যে পরিবার
গড়ে তুলেছিলেন, তাদেরই মাঝে আছেন।’ দক্ষিণ আফ্রিকাবাসীর মাঝেই আছেন
তাঁদের জাতির পিতা নেলসন ম্যান্ডেলা। গতকাল ৫ ডিসেম্বর প্রথম
মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা-ভক্তি আর ভালোবাসায় তাঁকে স্মরণ করেছে তাঁর
দেশের মানুষ। বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের এই মহান নেতাকে একইভাবে স্মরণ করেছে
সারা বিশ্ব। খবর এএফপি ও রয়টার্সের।
দক্ষিণ আফ্রিকাবাসীর দিনটি শুরু হয় রাজধানী প্রিটোরিয়ার ফ্রিডম পার্কে ম্যান্ডেলার মূর্তিতে পুষ্পস্তবক দেওয়ার মাধ্যমে। ম্যান্ডেলার স্ত্রী গ্রাসা ম্যাশেল ও ম্যান্ডেলার লড়াই-সংগ্রামের সহযোদ্ধারা সেখানে সমবেত হন তাঁদের প্রিয় মাদিবার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। এরপর ম্যান্ডেলা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পালিত হয় অভিনব এক কর্মসূচি। প্রথমে তিন মিনিট সাত সেকেন্ড বিভিন্ন বাদ্য বাজিয়ে তুমুল কোলাহল। এর পরই তিন মিনিটের সুনসান নীরবতা। ছয় মিনিট সাত সেকেন্ডের এই কর্মসূচিতে প্রিটোরিয়ার সঙ্গে যোগ দেয় পুরো দক্ষিণ আফ্রিকা। ৯৫ বছরের জীবনে ৬৭ বছর মানবসেবায় ব্যয় করেন ম্যান্ডেলা—প্রতীকীভাবে সেই বিষয়টিকে উদ্যাপন করতেই এ কর্মসূচি।
ম্যান্ডেলার মূর্তিতে ফুল দেওয়ার পর তাঁর সহযোদ্ধা আহমেদ কাথরাডা বলেন, ‘আমি আজও তাঁর অভাব অনুভব করি। শুধু রাজনৈতিক নেতা হিসেবে নয়, একজন বড় ভাই হিসেবেও।’ রোবেন দ্বীপে ম্যান্ডেলার সঙ্গে কারাভোগ করেছিলেন কাথরাডাও। ১৯৯০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাওয়ার আগে দীর্ঘ ২৭ বছর কারাভোগ করেন ম্যান্ডেলা।
ম্যান্ডেলার মৃত্যুবার্ষিকীর দিনটিকে দক্ষিণ আফ্রিকার শোকের দিন হিসেবে অভিহিত করেছেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা। চীন সফররত জুমা গতকাল শুক্রবার বেইজিংয়ে এক ভাষণে বলেন, ‘ম্যান্ডেলার নেতৃত্বের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। তিনি দেশের ভিত তৈরি করে গেছেন।’ ১৯৯৪ সালে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত দেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট হন ম্যান্ডেলা।
দিনটি উপলক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার মানবতাবাদী নেতা আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটু বলেছেন, ‘ম্যান্ডেলা যে সমাজের স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা গড়াই হবে তাঁর প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা।’
আর ম্যান্ডেলাকে জেলে ঢুকিয়েছিলেন যে এফ ডি ক্লার্ক, তিনি দক্ষিণ আফ্রিকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ম্যান্ডেলার অবদানের প্রতি সম্মান জানাতে। এক বিবৃতিতে ক্লার্ক বলেছেন, ‘ম্যান্ডেলা যদিও আজ শারীরিকভাবে আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু তাঁর যে অবদান, তা রয়েছে আমাদের সঙ্গে, তা-ই আমাদের পথ দেখাবে।’
১৯৯৩ সালে ম্যান্ডেলার সঙ্গে শান্তিতে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পান এফ ডি ক্লার্ক। তিনিই ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার শেষ শ্বেতাঙ্গ প্রেসিডেন্ট।
দক্ষিণ আফ্রিকাজুড়ে গতকাল পালিত হয়েছে নানা অনুষ্ঠান। ইস্টার্ন কেপ প্রদেশের কুনুতে অবস্থিত তাঁর সমাধিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। ধর্মীয় প্রার্থনালয়গুলোতে আয়োজন করা হয় বিশেষ প্রার্থনার। এ ছাড়া দেশের জাতীয় ক্রিকেট ও রাগবি দলের মধ্যে আয়োজন করা হয় একটি প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের।
বিশ্ববাসীও গতকাল শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেছে ম্যান্ডেলাকে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এক বছর আগে বিশ্ব এমন এক নেতাকে হারিয়েছে, যাঁর সংগ্রাম ও ত্যাগ আমাদের অনুপ্রাণিত করে মৌলিক অধিকারের প্রশ্নে সোজা হয়ে দাঁড়াতে; যাঁর দৃষ্টান্ত আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় সমবেদনা ও সমঝোতার প্রয়োজনীয়তা এবং যাঁর দূরদৃষ্টি আমাদের পথ দেখায় একটি সুন্দর পৃথিবীর।’
দক্ষিণ আফ্রিকাবাসীর দিনটি শুরু হয় রাজধানী প্রিটোরিয়ার ফ্রিডম পার্কে ম্যান্ডেলার মূর্তিতে পুষ্পস্তবক দেওয়ার মাধ্যমে। ম্যান্ডেলার স্ত্রী গ্রাসা ম্যাশেল ও ম্যান্ডেলার লড়াই-সংগ্রামের সহযোদ্ধারা সেখানে সমবেত হন তাঁদের প্রিয় মাদিবার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। এরপর ম্যান্ডেলা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পালিত হয় অভিনব এক কর্মসূচি। প্রথমে তিন মিনিট সাত সেকেন্ড বিভিন্ন বাদ্য বাজিয়ে তুমুল কোলাহল। এর পরই তিন মিনিটের সুনসান নীরবতা। ছয় মিনিট সাত সেকেন্ডের এই কর্মসূচিতে প্রিটোরিয়ার সঙ্গে যোগ দেয় পুরো দক্ষিণ আফ্রিকা। ৯৫ বছরের জীবনে ৬৭ বছর মানবসেবায় ব্যয় করেন ম্যান্ডেলা—প্রতীকীভাবে সেই বিষয়টিকে উদ্যাপন করতেই এ কর্মসূচি।
ম্যান্ডেলার মূর্তিতে ফুল দেওয়ার পর তাঁর সহযোদ্ধা আহমেদ কাথরাডা বলেন, ‘আমি আজও তাঁর অভাব অনুভব করি। শুধু রাজনৈতিক নেতা হিসেবে নয়, একজন বড় ভাই হিসেবেও।’ রোবেন দ্বীপে ম্যান্ডেলার সঙ্গে কারাভোগ করেছিলেন কাথরাডাও। ১৯৯০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাওয়ার আগে দীর্ঘ ২৭ বছর কারাভোগ করেন ম্যান্ডেলা।
ম্যান্ডেলার মৃত্যুবার্ষিকীর দিনটিকে দক্ষিণ আফ্রিকার শোকের দিন হিসেবে অভিহিত করেছেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা। চীন সফররত জুমা গতকাল শুক্রবার বেইজিংয়ে এক ভাষণে বলেন, ‘ম্যান্ডেলার নেতৃত্বের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। তিনি দেশের ভিত তৈরি করে গেছেন।’ ১৯৯৪ সালে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত দেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট হন ম্যান্ডেলা।
দিনটি উপলক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার মানবতাবাদী নেতা আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটু বলেছেন, ‘ম্যান্ডেলা যে সমাজের স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা গড়াই হবে তাঁর প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা।’
আর ম্যান্ডেলাকে জেলে ঢুকিয়েছিলেন যে এফ ডি ক্লার্ক, তিনি দক্ষিণ আফ্রিকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ম্যান্ডেলার অবদানের প্রতি সম্মান জানাতে। এক বিবৃতিতে ক্লার্ক বলেছেন, ‘ম্যান্ডেলা যদিও আজ শারীরিকভাবে আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু তাঁর যে অবদান, তা রয়েছে আমাদের সঙ্গে, তা-ই আমাদের পথ দেখাবে।’
১৯৯৩ সালে ম্যান্ডেলার সঙ্গে শান্তিতে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পান এফ ডি ক্লার্ক। তিনিই ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার শেষ শ্বেতাঙ্গ প্রেসিডেন্ট।
দক্ষিণ আফ্রিকাজুড়ে গতকাল পালিত হয়েছে নানা অনুষ্ঠান। ইস্টার্ন কেপ প্রদেশের কুনুতে অবস্থিত তাঁর সমাধিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। ধর্মীয় প্রার্থনালয়গুলোতে আয়োজন করা হয় বিশেষ প্রার্থনার। এ ছাড়া দেশের জাতীয় ক্রিকেট ও রাগবি দলের মধ্যে আয়োজন করা হয় একটি প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের।
বিশ্ববাসীও গতকাল শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেছে ম্যান্ডেলাকে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এক বছর আগে বিশ্ব এমন এক নেতাকে হারিয়েছে, যাঁর সংগ্রাম ও ত্যাগ আমাদের অনুপ্রাণিত করে মৌলিক অধিকারের প্রশ্নে সোজা হয়ে দাঁড়াতে; যাঁর দৃষ্টান্ত আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় সমবেদনা ও সমঝোতার প্রয়োজনীয়তা এবং যাঁর দূরদৃষ্টি আমাদের পথ দেখায় একটি সুন্দর পৃথিবীর।’
No comments