পোশাক শিল্পে শ্রম ও পরিবেশগত মানের উন্নতি হয়নি
জার্মানির শ্রম ও সামাজিকবিষয়ক
প্রতিমন্ত্রী জর্জ আসমোসেন বাংলাদেশে পোশাক শিল্পের শ্রমমান ও কারখানার
নিরাপত্তার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত উন্নতি এখনও হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি
বলেন, জার্মানি এই খাতে অগ্রগতির বিষয়টি বিশেষ সতর্কতার সঙ্গে নজরে রাখবে।
রানা প্লাজায় ট্রাজেডির পর পোশাক শিল্পে বেশকিছু অগ্রগতি হলেও আরও অনেক
কিছু করার বাকি রয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী জর্জ আসমোসেন দুদিনের বাংলাদেশ সফর শেষে ঢাকা ত্যাগের আগে শুক্রবার গুলশানের একটি হোটেলে যুগান্তরসহ তিনটি পত্রিকার সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে ওই অভিমত ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশে পোশাক শিল্পের সামাজিক ও পরিবেশগত মানের অগ্রগতি দেখার লক্ষ্যে তিনি ওই সফর করেন। ভারত সফর শেষে বাংলাদেশে আসেন তিনি।
ঢাকায় জার্মানির দূতাবাসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ সাড়ে চার বিলিয়ন ইউরো। এর মধ্যে চার বিলিয়ন ইউরো পরিমাণের পণ্য জার্মানিতে রফতানি করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের রফতানি পণ্যের ৮৫ শতাংশই তৈরি পোশাক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর বাংলাদেশের পোশাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার জার্মানি।
জার্মানির প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরকালে তার দেশের তিন সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। সফরকালে প্রতিনিধি দল অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ, শ্রম সচিব মিকাইল শিপার, শ্রমিক নেতারা, পোশাক শিল্পের মালিক, আইএলও প্রতিনিধিসহ পোশাক খাতের বিভিন্ন অংশীদারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। প্রতিনিধি দলটি সাভারে রানা প্লাজা এলাকা এবং পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্র পরিদর্শন করে।
জার্মানির প্রতিমন্ত্রী জর্জ আসমোসেন বলেন, এটা তাদের দ্বিপক্ষীয় সফর। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকেই দীর্ঘ দিন ধরে এদেশের সঙ্গে জার্মানির সহযোগিতা রয়েছে। পোশাক শিল্পে শ্রমমান ও কারখানার পরিবেশ উন্নয়নে জার্মানি দুবছরের জন্য বাংলাদেশকে ২০০ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা দিয়েছে। শ্রমমান ও পরিবেশের ব্যাপারে জার্মানির বিশেষ আগ্রহের কারণ দেশটি জি-৭ এর পরবর্তী প্রেসিডেন্সি হতে যাচ্ছে। ফলে এই ইস্যু শুধু বাংলাদেশের জন্য নয় এবং পোশাক শিল্পের জন্যই নয়। বরং খাদ্য, মোবাইল ফোন প্রভৃতি ক্ষেত্রে ইস্যুটি জরুরি।
জার্মানির প্রতিমন্ত্রী পোশাক শিল্পের উন্নয়নে দুটি দিকের কথা উল্লেখ করেন। একটি হল এসংক্রান্ত উপযুক্ত আইন আছে কিনা সেই দিক। অপরটি হল, এই আইন বাস্তবায়ন কতটা হয়েছে। বাংলাদেশে পোশাক শিল্পে শ্রম ও পরিবেশগত মান নিশ্চিতের আইন আছে ঠিকই, কিন্তু তার বাস্তবায়নে এখনও অনেক কিছু করার বাকি আছে।
এক প্রশ্নের জবাবে জর্জ আসমোসেন বলেন, বাংলাদেশে পোশাক শিল্পের শ্রম ও কারখানার পরিবেশগত মানের পর্যাপ্ত অগ্রগতি হয়েছে বলে যে কথা বলা হয়, এটা ঠিক নয়। শ্রমমান ও কারখানা ভবনের নিরাপত্তার কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শ্রমিকদের ইউনিয়ন করতে গেলেই সহিংসতা ও হয়রানি হচ্ছে। এসব নিয়ন্ত্রণে সরকারের একটা ভূমিকা থাকতে হবে। শ্রমমানের উন্নতি করাটা ব্যবসা-বাণিজ্যের বিস্তৃতির ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধকতা নয়। বরং টেকসই উন্নয়ন বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি করবে।
পোশাক শিল্পের শ্রম ও কারখানার মানের ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে দেয়া বাণিজ্য সুবিধা জিএসপি স্থগিত করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই পদক্ষেপকে সমর্থন করে কিনা কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের মতো এমন কোনো পদক্ষেপ নিতে পারে কিনা জানতে চাইলে ইউরোপীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইইউ জিএসপি স্থগিত করেনি এবং জিএসপি স্থগিত করাকে সমর্থনও করেনি।
তিনি বলেন, জার্মানি খুবই সতর্কতার সঙ্গে পোশাক শিল্পের পরিস্থিতির প্রতি নজর রাখছে। কেননা জার্মানি টেকসই বাণিজ্য চায়। বাংলাদেশ পোশাক শিল্পে ২০২১ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন ডলারের রফতানি করতে চায়। এই ক্ষেত্রে শিল্পের উন্নয়নে তাকে টেকসই পথেই অগ্রসর হতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে জার্মানির প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই সফরকালে তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কোনো আলোচনা করেননি। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ব্যাপারে জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে বিবৃতি দিয়েছিল সেই অবস্থানই বহাল আছে।
প্রতিমন্ত্রী জর্জ আসমোসেন দুদিনের বাংলাদেশ সফর শেষে ঢাকা ত্যাগের আগে শুক্রবার গুলশানের একটি হোটেলে যুগান্তরসহ তিনটি পত্রিকার সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে ওই অভিমত ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশে পোশাক শিল্পের সামাজিক ও পরিবেশগত মানের অগ্রগতি দেখার লক্ষ্যে তিনি ওই সফর করেন। ভারত সফর শেষে বাংলাদেশে আসেন তিনি।
ঢাকায় জার্মানির দূতাবাসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ সাড়ে চার বিলিয়ন ইউরো। এর মধ্যে চার বিলিয়ন ইউরো পরিমাণের পণ্য জার্মানিতে রফতানি করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের রফতানি পণ্যের ৮৫ শতাংশই তৈরি পোশাক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর বাংলাদেশের পোশাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার জার্মানি।
জার্মানির প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরকালে তার দেশের তিন সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। সফরকালে প্রতিনিধি দল অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ, শ্রম সচিব মিকাইল শিপার, শ্রমিক নেতারা, পোশাক শিল্পের মালিক, আইএলও প্রতিনিধিসহ পোশাক খাতের বিভিন্ন অংশীদারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। প্রতিনিধি দলটি সাভারে রানা প্লাজা এলাকা এবং পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্র পরিদর্শন করে।
জার্মানির প্রতিমন্ত্রী জর্জ আসমোসেন বলেন, এটা তাদের দ্বিপক্ষীয় সফর। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকেই দীর্ঘ দিন ধরে এদেশের সঙ্গে জার্মানির সহযোগিতা রয়েছে। পোশাক শিল্পে শ্রমমান ও কারখানার পরিবেশ উন্নয়নে জার্মানি দুবছরের জন্য বাংলাদেশকে ২০০ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা দিয়েছে। শ্রমমান ও পরিবেশের ব্যাপারে জার্মানির বিশেষ আগ্রহের কারণ দেশটি জি-৭ এর পরবর্তী প্রেসিডেন্সি হতে যাচ্ছে। ফলে এই ইস্যু শুধু বাংলাদেশের জন্য নয় এবং পোশাক শিল্পের জন্যই নয়। বরং খাদ্য, মোবাইল ফোন প্রভৃতি ক্ষেত্রে ইস্যুটি জরুরি।
জার্মানির প্রতিমন্ত্রী পোশাক শিল্পের উন্নয়নে দুটি দিকের কথা উল্লেখ করেন। একটি হল এসংক্রান্ত উপযুক্ত আইন আছে কিনা সেই দিক। অপরটি হল, এই আইন বাস্তবায়ন কতটা হয়েছে। বাংলাদেশে পোশাক শিল্পে শ্রম ও পরিবেশগত মান নিশ্চিতের আইন আছে ঠিকই, কিন্তু তার বাস্তবায়নে এখনও অনেক কিছু করার বাকি আছে।
এক প্রশ্নের জবাবে জর্জ আসমোসেন বলেন, বাংলাদেশে পোশাক শিল্পের শ্রম ও কারখানার পরিবেশগত মানের পর্যাপ্ত অগ্রগতি হয়েছে বলে যে কথা বলা হয়, এটা ঠিক নয়। শ্রমমান ও কারখানা ভবনের নিরাপত্তার কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শ্রমিকদের ইউনিয়ন করতে গেলেই সহিংসতা ও হয়রানি হচ্ছে। এসব নিয়ন্ত্রণে সরকারের একটা ভূমিকা থাকতে হবে। শ্রমমানের উন্নতি করাটা ব্যবসা-বাণিজ্যের বিস্তৃতির ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধকতা নয়। বরং টেকসই উন্নয়ন বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি করবে।
পোশাক শিল্পের শ্রম ও কারখানার মানের ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে দেয়া বাণিজ্য সুবিধা জিএসপি স্থগিত করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই পদক্ষেপকে সমর্থন করে কিনা কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের মতো এমন কোনো পদক্ষেপ নিতে পারে কিনা জানতে চাইলে ইউরোপীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইইউ জিএসপি স্থগিত করেনি এবং জিএসপি স্থগিত করাকে সমর্থনও করেনি।
তিনি বলেন, জার্মানি খুবই সতর্কতার সঙ্গে পোশাক শিল্পের পরিস্থিতির প্রতি নজর রাখছে। কেননা জার্মানি টেকসই বাণিজ্য চায়। বাংলাদেশ পোশাক শিল্পে ২০২১ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন ডলারের রফতানি করতে চায়। এই ক্ষেত্রে শিল্পের উন্নয়নে তাকে টেকসই পথেই অগ্রসর হতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে জার্মানির প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই সফরকালে তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কোনো আলোচনা করেননি। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ব্যাপারে জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে বিবৃতি দিয়েছিল সেই অবস্থানই বহাল আছে।
No comments