ছিটমহলে খুশির জোয়ার
বাংলাদেশ
ও ভারতের মধ্যে স্থলসীমান্ত চুক্তির ব্যাপারে আপত্তি নেই—ভারতের
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এ ঘোষণায় দুই দেশের
মধ্যকার ছিটমহলগুলোর মানুষের মধ্যে বইছে খুশির জোয়ার। ওই চুক্তি কার্যকর
হলে দুই দেশের মধ্যে ১৬২টি ছিটমহল বিনিময় হবে। সেখানকার মানুষ পাবে
রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা। (ছিটমহল
বিনিময়ে আপত্তি নেই, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর পঞ্চগড়ের
বোদায় পুঁটিমারী ছিটমহলের বাসিন্দারা খুশি। চলছে মিষ্টি বিতরণও l ছবি:
প্রথম আলো) গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সীমান্তের ওপারে
পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার ডাকুরহাট এলাকায় সমাবেশে সীমান্ত চুক্তিতে
সমর্থন জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার চায়
এই চুক্তি হোক। ...আমরা চাই সীমান্তের মানুষ ফিরে পাক তাদের মৌলিক অধিকার।’
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মোট ১৬২টি ছিটমহল রয়েছে। এর মধ্যে ভারতের ভূখণ্ডে বাংলাদেশের ছিটমহল আছে ৫১টি এবং বাংলাদেশের ভূখণ্ডের মধ্যে ভারতের ১১১টি। এসব ছিটমহলে মোট ৫১ হাজার ৫৮৪ জন মানুষের বসবাস বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির সহসম্পাদক দীপ্তিমান সেনগুপ্ত।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার অভ্যন্তরে অবস্থিত ভারতের পুঁটিমারী ছিটমহলে গিয়ে দেখা যায় সেখানকার নারী-পুরুষ-শিশুদের মধ্যে আনন্দের জোয়ার। একে অপরকে মিষ্টিমুখ করাচ্ছেন। অনেকই বলেন, এবার স্বাধীনতা পেতে যাচ্ছেন।
ছিটমহলের কানাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা জমিলা (৯০) বলেন, ‘আমরা এত দিন শিক্ষা-স্বাস্থ্যসহ সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা পাইনি। আশা করছি, আমাদের নাতি-পুতিরা এসব সুবিধা পাবে।’
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা সদরের অভ্যন্তরে অবস্থিত ভারতের দাছিয়ারছড়ায় গিয়ে দেখা যায় ছিটবাসীদের চোখেমুখে আনন্দ। কেউ কেউ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ রেকর্ড করে নিয়ে এসে অন্যদের শোনাচ্ছেন। সেখানকার বাসিন্দা একটি বিমা কোম্পানির কর্মী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ছিটমহল বিনিময় হলে আমরা বিমার কাজ সুস্থভাবে করতে পারব। ব্যবসা-বাণিজ্যের কোনো সমস্যা হবে না। জীবনমান উন্নত হবে।’
অপরদিকে ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের ছিটমহলগুলোতেও গতকাল একই চিত্র ছিল বলে জানান দীপ্তিমান সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, সব ছিটমহলে বইছে খুশির হাওয়া। এবার সেখানকার বাসিন্দারা একটি দেশের নাগরিক হিসেবে আইনি স্বীকৃতি পাবেন। পাবেন ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড। হবে হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ, হাটবাজার। নতুনভাবে তাঁরা শুরু করতে পারবেন জীবন। এই স্বপ্নে এখন বিভোর ছিটমহলবাসী।
পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্রসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ছিটমহল বিনিময় ও সেখানকার বাসিন্দাদের পুনর্বাসন নিয়ে আলোচনার জন্য ১১ ডিসেম্বর রাজধানী নয়াদিল্লিতে বৈঠক বসবে। এতে রাজ্য সরকারের পক্ষে তিনি এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিব সঞ্জয় মিত্র যোগ দেবেন।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন অমর সাহা, কলকাতা; সফি খান, কুড়িগ্রাম; শহীদুল ইসলাম, পঞ্চগড়]
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মোট ১৬২টি ছিটমহল রয়েছে। এর মধ্যে ভারতের ভূখণ্ডে বাংলাদেশের ছিটমহল আছে ৫১টি এবং বাংলাদেশের ভূখণ্ডের মধ্যে ভারতের ১১১টি। এসব ছিটমহলে মোট ৫১ হাজার ৫৮৪ জন মানুষের বসবাস বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির সহসম্পাদক দীপ্তিমান সেনগুপ্ত।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার অভ্যন্তরে অবস্থিত ভারতের পুঁটিমারী ছিটমহলে গিয়ে দেখা যায় সেখানকার নারী-পুরুষ-শিশুদের মধ্যে আনন্দের জোয়ার। একে অপরকে মিষ্টিমুখ করাচ্ছেন। অনেকই বলেন, এবার স্বাধীনতা পেতে যাচ্ছেন।
ছিটমহলের কানাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা জমিলা (৯০) বলেন, ‘আমরা এত দিন শিক্ষা-স্বাস্থ্যসহ সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা পাইনি। আশা করছি, আমাদের নাতি-পুতিরা এসব সুবিধা পাবে।’
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা সদরের অভ্যন্তরে অবস্থিত ভারতের দাছিয়ারছড়ায় গিয়ে দেখা যায় ছিটবাসীদের চোখেমুখে আনন্দ। কেউ কেউ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ রেকর্ড করে নিয়ে এসে অন্যদের শোনাচ্ছেন। সেখানকার বাসিন্দা একটি বিমা কোম্পানির কর্মী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ছিটমহল বিনিময় হলে আমরা বিমার কাজ সুস্থভাবে করতে পারব। ব্যবসা-বাণিজ্যের কোনো সমস্যা হবে না। জীবনমান উন্নত হবে।’
অপরদিকে ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের ছিটমহলগুলোতেও গতকাল একই চিত্র ছিল বলে জানান দীপ্তিমান সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, সব ছিটমহলে বইছে খুশির হাওয়া। এবার সেখানকার বাসিন্দারা একটি দেশের নাগরিক হিসেবে আইনি স্বীকৃতি পাবেন। পাবেন ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড। হবে হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ, হাটবাজার। নতুনভাবে তাঁরা শুরু করতে পারবেন জীবন। এই স্বপ্নে এখন বিভোর ছিটমহলবাসী।
পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্রসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ছিটমহল বিনিময় ও সেখানকার বাসিন্দাদের পুনর্বাসন নিয়ে আলোচনার জন্য ১১ ডিসেম্বর রাজধানী নয়াদিল্লিতে বৈঠক বসবে। এতে রাজ্য সরকারের পক্ষে তিনি এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিব সঞ্জয় মিত্র যোগ দেবেন।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন অমর সাহা, কলকাতা; সফি খান, কুড়িগ্রাম; শহীদুল ইসলাম, পঞ্চগড়]
No comments