বাংলাদেশ সর্বনাশের আগেই জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলুন: ফরহাদ মজহার
বাংলাদেশ
সর্বনাশ হবার আগেই জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে ফ্যাসিবাদের বিদায় নিশ্চিত করতে
সকল দেশপ্রেমিক মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিশিষ্ট চিন্তক ও কবি ফরহাদ
মজহার। তিনি বলেন, আন্দোলনে উত্থান-পতন আছে। আমরা সফল হবোই। মুক্তিযুদ্ধের
তিন নীতি সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ইনসাফের ভিত্তিতে ঐক্য গড়ে তুলতে পারলে
ফ্যাসিবাদের পতন অবধারিত। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে লন্ডনে পেশাজীবীদের
এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। লন্ডন
স্কুল অব কমার্স এন্ড আইটি’র অডিটোরিয়ামে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ,
যুক্তরাজ্য শাখা আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে
মুক্ত করতে বিশ্বব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ কর্মসূচি
সমন্বয় ও ক্যাম্পেইনের জন্য আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ‘ফ্রি মাহমুদুর রহমান
ডটনেট’ ঠিকানায় একটি ওয়েবসাইট চালু করা হচ্ছে। একইসঙ্গে ফেসবুক ও টুইটারে
‘ফ্রি মাহমুদুর রহমান’ নামে একাউন্ট খোলা হয়েছে। এসব কার্যক্রম সম্মিলিত
পেশাজীবী পরিষদ, ইউকে শাখার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে। দেশ-বিদেশের যেকোনো
বাংলাদেশী নাগরিক এ কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন। এ বিষয়ে যে কোনো পরামর্শ
দিতে freemahmudurrahman@gmail.com ঠিকানায় ইমেইল করার জন্য অনুরোধ করা
হয়েছে। শিগগিরই ফ্রি মাহমুদুর রহমান ক্যাম্পেইনে সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু
হবে। এ কার্যক্রমের সমন্বয়কের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে আমার দেশের বিশেষ
প্রতিনিধি অলিউল্লাহ নোমান। পেশাজীবী মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন
বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ ইউকে’র আহ্বায়ক প্রফেসর ড. কে এম এ
মালিক। আলোচনায় অংশ নেন শিক্ষাবিদ সৈয়দ মামনুল মোরশেদ, সিটিজেন মুভমেন্টের
আহ্বায়ক এম এ মালিক, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ ইউকে’র সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক
শিক্ষাবিদ নসরুল্লাহ খান জুনায়েদ, সদস্য সচিব ব্যারিস্টার তারিক বিন আজিজ
প্রমুখ। আরো উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী নেতা ব্যারিস্টার তমিজ উদ্দীন, ইসলামী
ব্যক্তিত্ব মুফতি শাহ সদরুদ্দীন, সাংবাদিক ও রাজনীতিক শেখ মহিউদ্দীন, আমার
দেশ-এর বিশেষ প্রতিনিধি অলিউল্লাহ নোমান, বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার লিটন
আফিন্দি, আতিকুর রহমান চৌধুরী পাপ্পু, প্রকৌশলী একেএম রেজাউল করিম, ফেরদৌস
রহমান, মাজিব রহমান, ওবায়দুর রহমান টিপু, এম এ আক্কাস চৌধুরী, আবুল আলা
সিদ্দিক, মোসাম্মত কুমকুম আখতার, অ্যাডভোকেট আবুল হাসনাত, মো. আশরাফুল
চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আখতারুল হক, আনজান আলম, আল মামুন ভুইয়া, আবদুর রকিব,
কাজী বরকত উল্লাহ, এম গোলাম জাকারিয়া, মো. শাহজালাল, মেজবাহ উদ্দীন খান,
ব্যারিস্টার এ এম শাহজাহান, আশরাফ মাহমুদ উজ্জল, ব্যারিস্টার আলিমুল হক
লিটন, জাসের খান, মো. জাকির হোসাইন, মো. আলী আকবর কাদের, মো. হাফিজুর
রহমান, শাহরিয়ার ফেরদৌস, এমএ খালেদ পাভেল, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হোসেন,
মাওলানা শামীম, সৈয়দ আল আসাফুর আলী রাজা, মো. আরাফাত হোসাইন খান প্রমুখ।
মতবিনিময়ে ফরহাদ মজহার আরো বলেন, ক্রমশ নিপিড়িত মানুষের পক্ষে কথা বলার
মানুষ কমছে। এজন্য নতুন কোনো ভুল করলে চলবে না। দৈনিক আমার দেশ এর
কারাবন্দি সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে মানবাধিকারের প্রতীক হিসেবে ধরে
ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াই এগিয়ে নিতে হবে। তিনি প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে বলেন,
দেশের এই মহাসংকটকালে প্রবাসীদের অনেক কিছু করার আছে। প্রবাসীদের সহায়তা
ছাড়া পৃথিবীতে কোনো দেশ ও জাতি মুক্তি পায়নি। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের
মুক্তিযুদ্ধ ও ভিয়েতনাম যুদ্ধের উদাহরণ টেনে ফরহাদ মজহার বলেন, আমাদের অনেক
সীমাবদ্ধতা আছে। তাই সমালোচনা ছাডুন। ‘আমি কী করতে পারি?’ - প্রশ্নকে
সামনে রেখে জাতীয় মুক্তির লড়াইয়ে ভুমিকা রাখুন। প্রফেসর ড. কেএমএ মালিক
বলেন, মাহমুদুর রহমান দৈনিক আমার দেশ-এর মাধ্যমে নিপীড়িত মানুষের পক্ষে
লড়াই করেছেন। মানবাধিকারের সৈনিক হিসেবে তিনি বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। তিনি এখন
কারাগারে দুঃসহ জীবন কাটাচ্ছেন। তার মুক্তির জন্য পেশাজীবীদের নেতৃত্বে
বিশ্বজুড়ে আন্দোলন গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।
No comments