খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠককারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপির
চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে প্রশাসনের বর্তমান যেসব কর্মকর্তা
বৃহস্পতিবার রাতে বৈঠক করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, আইন তার আপন গতিতে চলবে। সরকারি
কর্মচারী-কর্মকর্তাদের ৬৫ শতাংশ বেতন-ভাতা বাড়ানো সত্ত্বেও তারা কেন
ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তা খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা।
সার্ক শীর্ষ সম্মেলন ও মালয়েশিয়া সফরের অভিজ্ঞতা জানাতে শুক্রবার গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। সংবাদ সম্মেলনে দুজন সাংবাদিক বৃহস্পতিবার গভীর রাতে গুলশানে বিএনপি নেত্রীর সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বৈঠকের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে জানতে চান। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের কোনো কর্মকর্তা খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করে থাকলে আইনানুযায়ী তাদের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খালেদা জিয়ার অভিসার : গুলশানে বৃহস্পতিবার রাতের বৈঠকের উল্লেখ করে বিস্ময় প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, স্বাভাবিকভাবেই মানুষের মনে প্রশ্ন জাগে, এত রাতে বৈঠক কেন। এ প্রসঙ্গে ২০০৬ সালে উত্তরায় মাহমুদুর রহমানের অফিসে আমলাদের গোপন বৈঠকের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি নেত্রীর এই যে গভীর রাতে চুপকে চুপকে দেখা করা... এটা কেন? ভারতীয় হিন্দি একটি সিনেমার কথা মনে করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা সিনেমা আছে না... চুপকে চুপকে? তিনি বলেন, মানুষের মনে যখন শান্তি থাকে, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার তাতে অশান্তি হয়। বিএনপি নেত্রীকে বলব, তিনি যদি এই রাতের অভিসারটা বাদ দেন, যা করার দিনের আলোতে করেন, তা সবার জন্যই ভালো হয়।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকের তদন্ত হবে -জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার গুলশানের কার্যালয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের বৈঠকের বিষয়টি তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ প্রসঙ্গে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক যুগান্তরকে বলেন, খালেদা জিয়ার সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তাদের বৈঠকের যে খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে তা এখনও যাচাই-বাছাই করা হয়নি। রোববার অফিস খোলার আগে তা সম্ভব হবে না। অফিস খুললে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে। তদন্ত কমিটি করবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্ত কমিটি করা হোক বা না হোক, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী। বৃহস্পতিবার রাতে গুলশান কার্যালয়ে সরকারি কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে খালেদা জিয়া বৈঠক করেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। বৈঠকের বিষয়টি অস্বীকার করে দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বৈঠকের খবরটি আদৌ সত্য নয়। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করতে এমন সংবাদ প্রচার বা প্রকাশ করা হয়েছে।
গুলশানে ষড়যন্ত্র হয়েছে -সুরঞ্জিত ও কামরুল : প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে খালেদা জিয়ার বৈঠককে গুলশান ষড়যন্ত্র বলে অভিহিত করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দুই নেতা। দলটির উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বৈঠকে অংশ নেয়া প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের আগামী রোববারের মধ্যেই গ্রেফতার করতে আহ্বান জানিয়েছেন। আর ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, এ ষড়যন্ত্র সফল হবে না। জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত প্রয়াত মেয়র মোহাম্মদ হানিফের স্মরণ সভায় সুরঞ্জিত এবং শিল্পকলা একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫১তম মৃত্যুবার্ষিকীর উপলক্ষে স্মরণ সভায় কামরুল এসব কথা বলেন। খালেদা জিয়াকে এ ষড়যন্ত্রের প্রধান উসকানিদাতা হিসেবে আসামি করার পরামর্শ দিয়ে সুরঞ্জিত বলেন, প্রশাসনিক কর্মকর্তারা খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতেই পারেন। তবে গোপন বৈঠক, এটা সরাসরি ষড়যন্ত্রের অংশ। খালেদা জিয়া দলের প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা হারিয়ে হতাশ কিছু আমলাদের নিয়ে একটি বৈধ্য সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলন করলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে ষড়যন্ত্র করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সুরঞ্জিত বলেন, টিআইর দুর্নীতিবিষয়ক কথা বললে সরকার পক্ষ বেমালুম অস্বীকার করে। যেন কিছুই হয়নি। এতে দুর্নীতিগ্রস্তরা প্রশ্রয় পায়। আর বিএনপি এতে উচ্ছ্বসিত হয়। তাদের আচরণে মনে হয় তারা গঙ্গার জলে ধোয়া তুলসি পাতা। তিনি বলেন, একদিকে অর্থমন্ত্রী বলছেন দুর্নীতি হচ্ছে না, অন্যদিকে এই অর্থকে স্পিড মানি বলছেন। এভাবে দুর্নীতিকে তিনি উৎসাহিত করছে। অর্থমন্ত্রীর এ ধরনের স্ববিরোধী বক্তব্য কাম্য নয়। আয়োজক সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, সংগঠনের মহাসচিব হুমায়ুন কবির মিজি প্রমুখ।
এদিকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে খালেদা জিয়ার বৈঠককে গুলশান ষড়যন্ত্র অভিহিত করে বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও খালেদা জিয়ার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেলের বক্তব্য পরস্পরবিরোধী। কিছুই যদি না হয় তবে তাদের বক্তব্য পরস্পরবিরোধী হবে কেন? তিনি বলেন, ২০০৬ সালে নভেম্বর মাসে উত্তরায় সরকারি আমলাদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই ষড়ষন্ত্রের ফসল হিসেবে আমরা পরবর্তী দুই বছর কিম্ভূত একটি সরকার দেখেছিলাম। গতরাতেও গুলশানে খালেদা জিয়ার বাড়িতে একটি বৈঠক হয়েছে। গুলশান ষড়যন্ত্রের একটা পর্ব আমরা দেখলাম।
গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধির প্রসঙ্গে বিএনপির উদ্দেশে কামরুল বলেন, আপনারা যদি ভেবে থাকেন যে আমাদের গোয়েন্দারা অথর্ব, তাহলে আপনারা বোকার স্বর্গে বসবাস করছেন। আমাদের গোয়েন্দারা এ ষড়যন্ত্রের হোতাদের ঠিকই বের করবেন এবং তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। গুলশানের গভীর রাতের ষড়যন্ত্র সফল হবে না। স্মরণ সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহসভাপতি সৈয়দ হাসান ইমাম, চলচ্চিত্র অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।
সার্ক শীর্ষ সম্মেলন ও মালয়েশিয়া সফরের অভিজ্ঞতা জানাতে শুক্রবার গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। সংবাদ সম্মেলনে দুজন সাংবাদিক বৃহস্পতিবার গভীর রাতে গুলশানে বিএনপি নেত্রীর সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বৈঠকের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে জানতে চান। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের কোনো কর্মকর্তা খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করে থাকলে আইনানুযায়ী তাদের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খালেদা জিয়ার অভিসার : গুলশানে বৃহস্পতিবার রাতের বৈঠকের উল্লেখ করে বিস্ময় প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, স্বাভাবিকভাবেই মানুষের মনে প্রশ্ন জাগে, এত রাতে বৈঠক কেন। এ প্রসঙ্গে ২০০৬ সালে উত্তরায় মাহমুদুর রহমানের অফিসে আমলাদের গোপন বৈঠকের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি নেত্রীর এই যে গভীর রাতে চুপকে চুপকে দেখা করা... এটা কেন? ভারতীয় হিন্দি একটি সিনেমার কথা মনে করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা সিনেমা আছে না... চুপকে চুপকে? তিনি বলেন, মানুষের মনে যখন শান্তি থাকে, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার তাতে অশান্তি হয়। বিএনপি নেত্রীকে বলব, তিনি যদি এই রাতের অভিসারটা বাদ দেন, যা করার দিনের আলোতে করেন, তা সবার জন্যই ভালো হয়।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকের তদন্ত হবে -জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার গুলশানের কার্যালয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের বৈঠকের বিষয়টি তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ প্রসঙ্গে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক যুগান্তরকে বলেন, খালেদা জিয়ার সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তাদের বৈঠকের যে খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে তা এখনও যাচাই-বাছাই করা হয়নি। রোববার অফিস খোলার আগে তা সম্ভব হবে না। অফিস খুললে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে। তদন্ত কমিটি করবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্ত কমিটি করা হোক বা না হোক, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী। বৃহস্পতিবার রাতে গুলশান কার্যালয়ে সরকারি কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে খালেদা জিয়া বৈঠক করেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। বৈঠকের বিষয়টি অস্বীকার করে দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বৈঠকের খবরটি আদৌ সত্য নয়। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করতে এমন সংবাদ প্রচার বা প্রকাশ করা হয়েছে।
গুলশানে ষড়যন্ত্র হয়েছে -সুরঞ্জিত ও কামরুল : প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে খালেদা জিয়ার বৈঠককে গুলশান ষড়যন্ত্র বলে অভিহিত করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দুই নেতা। দলটির উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বৈঠকে অংশ নেয়া প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের আগামী রোববারের মধ্যেই গ্রেফতার করতে আহ্বান জানিয়েছেন। আর ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, এ ষড়যন্ত্র সফল হবে না। জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত প্রয়াত মেয়র মোহাম্মদ হানিফের স্মরণ সভায় সুরঞ্জিত এবং শিল্পকলা একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫১তম মৃত্যুবার্ষিকীর উপলক্ষে স্মরণ সভায় কামরুল এসব কথা বলেন। খালেদা জিয়াকে এ ষড়যন্ত্রের প্রধান উসকানিদাতা হিসেবে আসামি করার পরামর্শ দিয়ে সুরঞ্জিত বলেন, প্রশাসনিক কর্মকর্তারা খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতেই পারেন। তবে গোপন বৈঠক, এটা সরাসরি ষড়যন্ত্রের অংশ। খালেদা জিয়া দলের প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা হারিয়ে হতাশ কিছু আমলাদের নিয়ে একটি বৈধ্য সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলন করলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে ষড়যন্ত্র করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সুরঞ্জিত বলেন, টিআইর দুর্নীতিবিষয়ক কথা বললে সরকার পক্ষ বেমালুম অস্বীকার করে। যেন কিছুই হয়নি। এতে দুর্নীতিগ্রস্তরা প্রশ্রয় পায়। আর বিএনপি এতে উচ্ছ্বসিত হয়। তাদের আচরণে মনে হয় তারা গঙ্গার জলে ধোয়া তুলসি পাতা। তিনি বলেন, একদিকে অর্থমন্ত্রী বলছেন দুর্নীতি হচ্ছে না, অন্যদিকে এই অর্থকে স্পিড মানি বলছেন। এভাবে দুর্নীতিকে তিনি উৎসাহিত করছে। অর্থমন্ত্রীর এ ধরনের স্ববিরোধী বক্তব্য কাম্য নয়। আয়োজক সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, সংগঠনের মহাসচিব হুমায়ুন কবির মিজি প্রমুখ।
এদিকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে খালেদা জিয়ার বৈঠককে গুলশান ষড়যন্ত্র অভিহিত করে বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও খালেদা জিয়ার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেলের বক্তব্য পরস্পরবিরোধী। কিছুই যদি না হয় তবে তাদের বক্তব্য পরস্পরবিরোধী হবে কেন? তিনি বলেন, ২০০৬ সালে নভেম্বর মাসে উত্তরায় সরকারি আমলাদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই ষড়ষন্ত্রের ফসল হিসেবে আমরা পরবর্তী দুই বছর কিম্ভূত একটি সরকার দেখেছিলাম। গতরাতেও গুলশানে খালেদা জিয়ার বাড়িতে একটি বৈঠক হয়েছে। গুলশান ষড়যন্ত্রের একটা পর্ব আমরা দেখলাম।
গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধির প্রসঙ্গে বিএনপির উদ্দেশে কামরুল বলেন, আপনারা যদি ভেবে থাকেন যে আমাদের গোয়েন্দারা অথর্ব, তাহলে আপনারা বোকার স্বর্গে বসবাস করছেন। আমাদের গোয়েন্দারা এ ষড়যন্ত্রের হোতাদের ঠিকই বের করবেন এবং তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। গুলশানের গভীর রাতের ষড়যন্ত্র সফল হবে না। স্মরণ সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহসভাপতি সৈয়দ হাসান ইমাম, চলচ্চিত্র অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।
No comments