ইকামা পরিবর্তনে চার বাধা-ব্যবস্থা নিতে সৌদি কর্তৃপক্ষকে ঢাকার অনুরোধ by মেহেদী হাসান
বৈধকরণ উপলক্ষে সৌদি আরবে বাংলাদেশি
পাসপোর্ট-প্রত্যাশীদের চাপ কমেছে। ইতিমধ্যে প্রায় দুই লাখ বাংলাদেশি
কনস্যুলার সেবা (নতুন পাসপোর্ট, পাসপোর্ট নবায়ন, আউট পাস প্রভৃতি) নিয়েছেন।
সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ বাড়াতে বাংলাদেশ সৌদি কর্তৃপক্ষকে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ
জানালেও বর্তমান মেয়াদের (৩ জুলাই) মধ্যেই প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীদের
প্রয়োজনীয় সেবা দেওয়ার জন্য দিন-রাত কাজ চলছে। পাসপোর্ট পাওয়া বাংলাদেশিদের
লক্ষ্য এখন ইকামা পরিবর্তনের মাধ্যমে বৈধ হওয়া।
জানা গেছে, ইকামা পরিবর্তন (কর্মস্থল পরিবর্তন) করতে গিয়ে চার ধরনের বাধার সম্মুখীন হয়েছেন অনেক বাংলাদেশি। প্রথমত,
পুরনো পাসপোর্ট, ইকামা ও সৌদি আরবে প্রবেশের সময় নেওয়া আঙুলের ছাপ- এ তিনটির কোনো একটি বা কোনোটিই না থাকা। দ্বিতীয়ত, ওই তিন 'প্রমাণ' না থাকলে বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সৌদি অভিবাসন বিভাগে গিয়ে আঙুলের ছাপ দেওয়া। কিন্তু এ প্রক্রিয়া বেশ ধীর। তৃতীয়ত, পুরনো স্পনসরদের কাছ থেকে পাসপোর্ট ফেরত না পাওয়া এবং ইকামা পরিবর্তনের জন্য অনাপত্তিপত্র বা ছাড়পত্র না পাওয়া। চতুর্থ সমস্যা হলো, বাংলাদেশি কর্মীরা কাজ করতেন এমন কিছু প্রতিষ্ঠানের বন্ধ বা দেউলিয়া হয়ে পড়া। ফলে সেসব প্রতিষ্ঠান থেকে কর্মীদের ব্যাপারে কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রে স্পনসরের মৃত্যুর কারণে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশ দূতাবাস এ সমস্যাগুলোর ব্যাপারে অবহিত আছে। তারা এ ব্যাপারে সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে এবং সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। বাংলাদেশ এ জন্য সৌদি কর্তৃপক্ষের পরবর্তী নির্দেশনার অপেক্ষায় আছে। সৌদি আরব সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি কালের কণ্ঠকে বলেছেন, সমস্যাগুলোর সমাধানে প্রয়োজনীয় সব কিছু করা হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সমস্যাগুলোর ব্যাপারে সৌদি-প্রবাসী বাংলাদেশিদের ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, পুরনো পাসপোর্ট, ইকামা, অভিবাসন বিভাগে আঙুলের ছাপ- এ তিনটির কোনো একটি বা কোনোটিই যাঁদের নেই, তাঁদের সৌদি শ্রম বিভাগে যোগাযোগের পরামর্শ দিচ্ছে দূতাবাস।
আঙুলের ছাপ নেওয়ায় ধীরতার বিষয়ে দীপু মনি বলেন, এ বিষয়ও সৌদি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তিনি আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত হয়ে সৌদি আরব গমনেচ্ছু বাংলাদেশিদের বিমানবন্দরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। না হলে অযথা হয়রান হতে হবে বলে তিনি সতর্ক করে দেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পুরনো স্পনসরদের কেউ কেউ কর্মীদের পাসপোর্ট ফেরত দিচ্ছেন না। আবার কেউ কেউ এর জন্য অর্থ দাবি করছেন। তিনি বলেন, এ বিষয় নিয়েও সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বাংলাদেশের আলোচনা হয়েছে। এ ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে বাংলাদেশিদের সৌদি শ্রম বিভাগে অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ দূতাবাস বা কনস্যুলেটের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।
দীপু মনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রে স্পনসরের মৃত্যুর কারণে ইকামা পরিবর্তন বা অনাপত্তি গ্রহণে সমস্যা হচ্ছে। এ ব্যাপারেও বাংলাদেশিদের সৌদি শ্রম বিভাগে যোগাযোগ করে ইকামা পরিবর্তনের সুযোগ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ দূতাবাসকে জানালেও সহযোগিতা দেওয়া হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ কাজগুলো করতে সৌদি শ্রম মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সহযোগিতায় পাঁচটি শহর রিয়াদ, জেদ্দা, দাম্মাম, মক্কা ও মদিনায় বাংলা ও আরবি ভাষায় পারদর্শী পাঁচজন গাইড নিয়োগ করা হয়েছে। এ ছাড়া রিয়াদে ৩০ জন কর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। জেদ্দায় আরো ৩০ জনের প্রশিক্ষণ দু-এক দিনের মধ্যে শুরু হবে। প্রশিক্ষিত এই কর্মীরাও বাংলাদেশিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে পারবেন।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। দূতাবাসের পক্ষ থেকে নাগরিকদের কনস্যুলার সেবা দেওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। ইকামা পরিবর্তনেও সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। বেশ কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশিদের ইকামা পরিবর্তন বন্ধ থাকায় বিপুলসংখ্যক কর্মীকে বৈধ হতে হবে। এ জন্য বৈধকরণ প্রক্রিয়ার মেয়াদ বাড়াতে বাংলাদেশ সরকার সৌদি সরকারের কাছে আবেদন করেছে। বাংলাদেশের এ আবেদন জানানোর খবর গতকাল বৃহস্পতিবার সৌদি সংবাদমাধ্যমে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশিত হয়েছে।
জানা গেছে, ইকামা পরিবর্তন (কর্মস্থল পরিবর্তন) করতে গিয়ে চার ধরনের বাধার সম্মুখীন হয়েছেন অনেক বাংলাদেশি। প্রথমত,
পুরনো পাসপোর্ট, ইকামা ও সৌদি আরবে প্রবেশের সময় নেওয়া আঙুলের ছাপ- এ তিনটির কোনো একটি বা কোনোটিই না থাকা। দ্বিতীয়ত, ওই তিন 'প্রমাণ' না থাকলে বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সৌদি অভিবাসন বিভাগে গিয়ে আঙুলের ছাপ দেওয়া। কিন্তু এ প্রক্রিয়া বেশ ধীর। তৃতীয়ত, পুরনো স্পনসরদের কাছ থেকে পাসপোর্ট ফেরত না পাওয়া এবং ইকামা পরিবর্তনের জন্য অনাপত্তিপত্র বা ছাড়পত্র না পাওয়া। চতুর্থ সমস্যা হলো, বাংলাদেশি কর্মীরা কাজ করতেন এমন কিছু প্রতিষ্ঠানের বন্ধ বা দেউলিয়া হয়ে পড়া। ফলে সেসব প্রতিষ্ঠান থেকে কর্মীদের ব্যাপারে কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রে স্পনসরের মৃত্যুর কারণে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশ দূতাবাস এ সমস্যাগুলোর ব্যাপারে অবহিত আছে। তারা এ ব্যাপারে সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে এবং সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। বাংলাদেশ এ জন্য সৌদি কর্তৃপক্ষের পরবর্তী নির্দেশনার অপেক্ষায় আছে। সৌদি আরব সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি কালের কণ্ঠকে বলেছেন, সমস্যাগুলোর সমাধানে প্রয়োজনীয় সব কিছু করা হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সমস্যাগুলোর ব্যাপারে সৌদি-প্রবাসী বাংলাদেশিদের ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, পুরনো পাসপোর্ট, ইকামা, অভিবাসন বিভাগে আঙুলের ছাপ- এ তিনটির কোনো একটি বা কোনোটিই যাঁদের নেই, তাঁদের সৌদি শ্রম বিভাগে যোগাযোগের পরামর্শ দিচ্ছে দূতাবাস।
আঙুলের ছাপ নেওয়ায় ধীরতার বিষয়ে দীপু মনি বলেন, এ বিষয়ও সৌদি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তিনি আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত হয়ে সৌদি আরব গমনেচ্ছু বাংলাদেশিদের বিমানবন্দরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। না হলে অযথা হয়রান হতে হবে বলে তিনি সতর্ক করে দেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পুরনো স্পনসরদের কেউ কেউ কর্মীদের পাসপোর্ট ফেরত দিচ্ছেন না। আবার কেউ কেউ এর জন্য অর্থ দাবি করছেন। তিনি বলেন, এ বিষয় নিয়েও সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বাংলাদেশের আলোচনা হয়েছে। এ ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে বাংলাদেশিদের সৌদি শ্রম বিভাগে অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ দূতাবাস বা কনস্যুলেটের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।
দীপু মনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রে স্পনসরের মৃত্যুর কারণে ইকামা পরিবর্তন বা অনাপত্তি গ্রহণে সমস্যা হচ্ছে। এ ব্যাপারেও বাংলাদেশিদের সৌদি শ্রম বিভাগে যোগাযোগ করে ইকামা পরিবর্তনের সুযোগ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ দূতাবাসকে জানালেও সহযোগিতা দেওয়া হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ কাজগুলো করতে সৌদি শ্রম মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সহযোগিতায় পাঁচটি শহর রিয়াদ, জেদ্দা, দাম্মাম, মক্কা ও মদিনায় বাংলা ও আরবি ভাষায় পারদর্শী পাঁচজন গাইড নিয়োগ করা হয়েছে। এ ছাড়া রিয়াদে ৩০ জন কর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। জেদ্দায় আরো ৩০ জনের প্রশিক্ষণ দু-এক দিনের মধ্যে শুরু হবে। প্রশিক্ষিত এই কর্মীরাও বাংলাদেশিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে পারবেন।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। দূতাবাসের পক্ষ থেকে নাগরিকদের কনস্যুলার সেবা দেওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। ইকামা পরিবর্তনেও সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। বেশ কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশিদের ইকামা পরিবর্তন বন্ধ থাকায় বিপুলসংখ্যক কর্মীকে বৈধ হতে হবে। এ জন্য বৈধকরণ প্রক্রিয়ার মেয়াদ বাড়াতে বাংলাদেশ সরকার সৌদি সরকারের কাছে আবেদন করেছে। বাংলাদেশের এ আবেদন জানানোর খবর গতকাল বৃহস্পতিবার সৌদি সংবাদমাধ্যমে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশিত হয়েছে।
No comments