সপ্তাহের নায়ক জসিম উদ্দিন, কৃষক
ফুলকপি সাধারণত শীত মৌসুমের সবজি। আর এই
শীতকালীন সবজি গ্রীষ্মকালে চাষ করে রীতিমতো সাড়া ফেলেছেন নীলফামারী জেলা
সদরের টুপামারী ইউনিয়নের কিসামত দোগাছি গ্রামের সবজি চাষি জসিম উদ্দিন।
তাঁর
খেতে এখন শোভা পাচ্ছে সারি সারি ফুলকপি, আছে পটোল, বেগুন, মরিচসহ আগাম
জাতের নানা ফসল। তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মীর মাহমুদুল হাসান
সবজি চাষের শুরুটা আপনার কীভাবে?
আমার বাড়ি ছিল চুয়াডাঙ্গা জেলার ফিতুদাহ ইউনিয়নের বড় সোলুয়া গ্রামে। সেখানে ৫০ শতক জমিতে চাষাবাদ করতাম, পাশাপাশি সবজির ব্যবসা করতাম। তাতে যখন কুলাচ্ছিল না, তখন আমি বাড়তি আয়ের জন্য সেখানকার সবজিচাষিদের ঢাকায় সবজি নেওয়ার জন্য ট্রাক ভাড়া করে দিয়ে কমিশন পেতাম। এভাবে ভালোই চলছিল। পরিচিতি হওয়ার কারণে গ্রামের সবাই আমার কাছে ট্রাক ভাড়া করার দায়িত্ব দিত। এতে একটি চক্র আমার শত্রু হয়ে দাঁড়াল। জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবে আমি ঢাকায় গিয়ে রিকশা চালাতে শুরু করি। সেখানে আমার সঙ্গে পরিচয় হয় নীলফামারীর বেশ কয়েকজন রিকশাচালকের। তাঁদের একজনের সঙ্গে একদিন আমি এ এলাকায় বেড়াতে আসি। এখানকার উর্বর জমি দেখে আমার মনে হলো, এখানে আগাম জাতের সবজি চাষ করে লাভবান হওয়া সম্ভব। তারপর আমি এ গ্রামে এসে বর্গায় সবজি চাষ শুরু করি।
শীতকালের সবজি গ্রীষ্ম বা বর্ষাকালে ফলানোর চিন্তা করলেন কীভাবে?
চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলের কৃষকেরা দীর্ঘদিন ধরে গ্রীষ্মকালে শীতকালীন সবজি চাষ করে আসছেন। শীতকালে সব কৃষক একই সবজি চাষ করায় ভালো দাম পাওয়া যায় না। সময়ের আগে (অসময়ে) সেটা করতে পারলে বাজারে এর প্রচুর চাহিদা থাকে, দামও পাওয়া যায়। এই চিন্তা থেকেই আগাম সবজি চাষের চিন্তা করি।
আপনি ফুলকপি ছাড়া আর কী চাষ করেছেন?
আমি দুই বিঘা জমিতে ফুলকপি আর পাঁচ বিঘা জমিতে জাঙ্গি পটোল, দেশি বরবটি, ধনেপাতা, বেগুন, ঢ্যাঁড়স, শিম, মুগডাল ও কাঁচা মরিচ চাষ করেছি। কপি বাজারজাত শুরু করেছি, বেগুন, পটোল, মরিচ ১০ দিনের মধ্যে বাজারে দেওয়া যাবে। এবং মুগডাল এক সপ্তাহের মধ্যে উঠবে। শিম উঠতে সময় লাগবে ২৫ দিন থেকে এক মাস। কপি ছাড়া বেগুন, পটোল, মরিচ, শিম কার্তিক-অগ্রহায়ণ মাস পর্যন্ত ফলন পাওয়া যাবে। আর কপির সাথি ফসল হিসেবে লাগানো হয়েছে বেগুন। কপি ওঠার পর সেখানে বেগুন পাওয়া যাবে।
গত বছর আপনি কত টাকার সবজি বিক্রি করেছেন?
গত বছর প্রায় দুই লাখ টাকার বেগুন, এক লাখ ৪০ হাজার টাকার ফুলকপি বিক্রি করেছি। চৈত্র মাসে হরতালের কারণে প্রায় দুই লাখ টাকার ফুলকপি পচে গেছে। অন্যান্য সবজি বিক্রি করেছি আরও প্রায় এক লাখ টাকা। গত বছরের তুলনায় এ বছর আয় বেশি হবে বলে আশা করছি।
আপনার সবজি চাষ দেখে এলাকার কৃষকেরা কি উৎসাহিত হচ্ছেন?
আসলে আগাম জাতের সবজি চাষে অনেক ঝুঁকি আছে। অনেকে আমার সবজি খেত দেখতে আসেন। কিন্তু তাঁরা সাহস করতে পারেন না। তাঁরা ধান, পাট, তামাকের আবাদ করে অভ্যস্ত। আগাম ফসলে যেমন লাভ আছে, তেমনি ঝুঁকিও অনেক। যেমন এবার আমার প্রায় দেড় বিঘা জমির ধনেপাতা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। সেখানে আমার খরচ হয়েছে প্রায় ২০ হাজার টাকা। তবে একসময় এ অঞ্চলের কৃষকেরা এসব সবজি চাষ করবেন। আর কৃষকের সংখ্যা বাড়লে ফসলের দামও পাওয়া যাবে। তখন ঢাকা থেকে ব্যবসায়ীরা এখানে এসে সবজি কিনবে।
সবজি চাষে কোনো পরামর্শ কোথায় পান? সমস্যা হলে আমি আমার এলাকার (চুয়াডাঙ্গা) কৃষকদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে থাকি।
আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
আমি চুক্তিতে নেওয়া জমির এক কোণে দুটি ঘর তুলে পরিবার নিয়ে বসবাস করছি। ভবিষ্যতে এখানে বাড়ি করার মতো একটা জমি কেনার পরিকল্পনা আছে। সবজি চাষের জন্য কিছু জমি কিনতে চাই। এবং চুক্তিতে আরও জমি নিয়ে সবজি চাষের আওতা বাড়াব। ভবিষ্যতে এ গ্রামটিকে আমি সবজি গ্রাম হিসেবে পরিচিত করতে চাই। এ জন্য এলাকাবাসীর সহযোগিতা চাই।
সবজি চাষের শুরুটা আপনার কীভাবে?
আমার বাড়ি ছিল চুয়াডাঙ্গা জেলার ফিতুদাহ ইউনিয়নের বড় সোলুয়া গ্রামে। সেখানে ৫০ শতক জমিতে চাষাবাদ করতাম, পাশাপাশি সবজির ব্যবসা করতাম। তাতে যখন কুলাচ্ছিল না, তখন আমি বাড়তি আয়ের জন্য সেখানকার সবজিচাষিদের ঢাকায় সবজি নেওয়ার জন্য ট্রাক ভাড়া করে দিয়ে কমিশন পেতাম। এভাবে ভালোই চলছিল। পরিচিতি হওয়ার কারণে গ্রামের সবাই আমার কাছে ট্রাক ভাড়া করার দায়িত্ব দিত। এতে একটি চক্র আমার শত্রু হয়ে দাঁড়াল। জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবে আমি ঢাকায় গিয়ে রিকশা চালাতে শুরু করি। সেখানে আমার সঙ্গে পরিচয় হয় নীলফামারীর বেশ কয়েকজন রিকশাচালকের। তাঁদের একজনের সঙ্গে একদিন আমি এ এলাকায় বেড়াতে আসি। এখানকার উর্বর জমি দেখে আমার মনে হলো, এখানে আগাম জাতের সবজি চাষ করে লাভবান হওয়া সম্ভব। তারপর আমি এ গ্রামে এসে বর্গায় সবজি চাষ শুরু করি।
শীতকালের সবজি গ্রীষ্ম বা বর্ষাকালে ফলানোর চিন্তা করলেন কীভাবে?
চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলের কৃষকেরা দীর্ঘদিন ধরে গ্রীষ্মকালে শীতকালীন সবজি চাষ করে আসছেন। শীতকালে সব কৃষক একই সবজি চাষ করায় ভালো দাম পাওয়া যায় না। সময়ের আগে (অসময়ে) সেটা করতে পারলে বাজারে এর প্রচুর চাহিদা থাকে, দামও পাওয়া যায়। এই চিন্তা থেকেই আগাম সবজি চাষের চিন্তা করি।
আপনি ফুলকপি ছাড়া আর কী চাষ করেছেন?
আমি দুই বিঘা জমিতে ফুলকপি আর পাঁচ বিঘা জমিতে জাঙ্গি পটোল, দেশি বরবটি, ধনেপাতা, বেগুন, ঢ্যাঁড়স, শিম, মুগডাল ও কাঁচা মরিচ চাষ করেছি। কপি বাজারজাত শুরু করেছি, বেগুন, পটোল, মরিচ ১০ দিনের মধ্যে বাজারে দেওয়া যাবে। এবং মুগডাল এক সপ্তাহের মধ্যে উঠবে। শিম উঠতে সময় লাগবে ২৫ দিন থেকে এক মাস। কপি ছাড়া বেগুন, পটোল, মরিচ, শিম কার্তিক-অগ্রহায়ণ মাস পর্যন্ত ফলন পাওয়া যাবে। আর কপির সাথি ফসল হিসেবে লাগানো হয়েছে বেগুন। কপি ওঠার পর সেখানে বেগুন পাওয়া যাবে।
গত বছর আপনি কত টাকার সবজি বিক্রি করেছেন?
গত বছর প্রায় দুই লাখ টাকার বেগুন, এক লাখ ৪০ হাজার টাকার ফুলকপি বিক্রি করেছি। চৈত্র মাসে হরতালের কারণে প্রায় দুই লাখ টাকার ফুলকপি পচে গেছে। অন্যান্য সবজি বিক্রি করেছি আরও প্রায় এক লাখ টাকা। গত বছরের তুলনায় এ বছর আয় বেশি হবে বলে আশা করছি।
আপনার সবজি চাষ দেখে এলাকার কৃষকেরা কি উৎসাহিত হচ্ছেন?
আসলে আগাম জাতের সবজি চাষে অনেক ঝুঁকি আছে। অনেকে আমার সবজি খেত দেখতে আসেন। কিন্তু তাঁরা সাহস করতে পারেন না। তাঁরা ধান, পাট, তামাকের আবাদ করে অভ্যস্ত। আগাম ফসলে যেমন লাভ আছে, তেমনি ঝুঁকিও অনেক। যেমন এবার আমার প্রায় দেড় বিঘা জমির ধনেপাতা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। সেখানে আমার খরচ হয়েছে প্রায় ২০ হাজার টাকা। তবে একসময় এ অঞ্চলের কৃষকেরা এসব সবজি চাষ করবেন। আর কৃষকের সংখ্যা বাড়লে ফসলের দামও পাওয়া যাবে। তখন ঢাকা থেকে ব্যবসায়ীরা এখানে এসে সবজি কিনবে।
সবজি চাষে কোনো পরামর্শ কোথায় পান? সমস্যা হলে আমি আমার এলাকার (চুয়াডাঙ্গা) কৃষকদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে থাকি।
আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
আমি চুক্তিতে নেওয়া জমির এক কোণে দুটি ঘর তুলে পরিবার নিয়ে বসবাস করছি। ভবিষ্যতে এখানে বাড়ি করার মতো একটা জমি কেনার পরিকল্পনা আছে। সবজি চাষের জন্য কিছু জমি কিনতে চাই। এবং চুক্তিতে আরও জমি নিয়ে সবজি চাষের আওতা বাড়াব। ভবিষ্যতে এ গ্রামটিকে আমি সবজি গ্রাম হিসেবে পরিচিত করতে চাই। এ জন্য এলাকাবাসীর সহযোগিতা চাই।
No comments