ড্যাপ বাস্তবায়ন হলো না by অরুণ কর্মকার
সরকার গত তিন বছরেও বিশেষজ্ঞ কমিটির
সুপারিশ অনুযায়ী ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) বাস্তবায়নের কোনো
উদ্যোগ নেয়নি। ওই সুপারিশে সরকারি-বেসরকারি যেসব স্থাপনা সরিয়ে নিতে এবং যে
প্রকল্পগুলো প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছিল, তার একটিও সরিয়ে নেওয়া বা
প্রত্যাহার করা হয়নি।
কিন্তু ইতিমধ্যে নতুন কাঠামো
পরিকল্পনা (স্ট্রাকচারাল প্ল্যান) প্রণয়নের কাজ শুরু হয়েছে। এ পরিকল্পনায়
ভূমিদস্যুদের স্বার্থে ড্যাপের অনেক কিছুই বদলে দেওয়ার আশঙ্কা আছে বলে
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, রাজউক এবং বেসরকারি কয়েকটি আবাসন কোম্পানির
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
পাশাপাশি সরকার সম্প্রতি ড্যাপকেন্দ্রিক ছোটখাটো কিছু ব্যক্তিগত আপত্তি মীমাংসার উদ্যোগ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে একটি উপকমিটি সরেজমিনে আবেদনকারীদের আপত্তির বিষয় তদন্ত করে করণীয় সুপারিশ করছে। গত বুধবার গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে এক সভায় এ রকম ২০টি আপত্তি সম্পর্কে তদন্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। এর মধ্যে চারটি সম্পূর্ণ এবং একটি আংশিকভাবে গ্রহণ করা হয়েছে। অন্যগুলো নাকচ করে দেওয়া হয়।
যে আপত্তিগুলো গৃহীত হয়েছে, সেগুলোর ক্ষেত্রে ড্যাপ সংশোধন হবে। আর নাকচ করে দেওয়া আপত্তিগুলোর ক্ষেত্রে ড্যাপ বহাল থাকবে। তবে এগুলো খুবই ছোটখাটো বিষয়—রাস্তা প্রশস্ত করা বা রাস্তা সোজা করা ইত্যাদি।
কিন্তু ড্যাপের মৌলিক বিষয়গুলো বাস্তবায়নের কোনো পদক্ষেপই সরকারের নেই। গত তিন বছরে ড্যাপ বাস্তবায়নের জন্য অপরিহার্য সাংগঠনিক কাঠামো নির্ধারণ করা হয়নি। কর্মপরিকল্পনাও তৈরি হয়নি। অথচ বর্তমান ড্যাপের মেয়াদ ২০১৫ সালে শেষ হয়ে যাবে।
ড্যাপ বাস্তবায়নের এই পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান প্রথম আলোকে বলেন, সরকার প্রথম থেকেই দ্বিধাগ্রস্ত ছিল। মন্ত্রিপরিষদের যে সভায় ড্যাপ অনুমোদিত হয়েছে, সেই সভায়ই পর্যালোচনা (রিভিউ) কমিটি করা হয়েছে। এর মানে সরকার বাস্তবায়ন নয়, পর্যালোচনা করতে চায়। পর্যালোচনা কমিটি প্রথম সভা করে ২০১০ সালে। দ্বিতীয় সভা করল ২০১৩ সালের ১৯ মে। তিন বছর পর সভা করার মানে তারা বিষয়টি বাস্তবায়ন করতে নয়, ফেলে রাখতে চায়।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, সাড়ে তিন বছর সরেজমিনে অনুসন্ধানের মাধ্যমে করা হয়েছে ঢাকা মহানগর মহাপরিকল্পনা (ডিএমডিপি)। এরপর আরও সাড়ে ছয় বছর সরেজমিনে অনুসন্ধানের পর করা হয়েছে ড্যাপ। ড্যাপ চূড়ান্ত করার আগে গণশুনানি করা হয়েছে। সব শ্রেণী-পেশার মানুষের মতামত নেওয়া হয়েছে। এখন আবার সরেজমিনে অনুসন্ধান করে আপত্তি মীমাংসার তো কারণ থাকতে পারে না। এই সময়ের মধ্যে তো কেউ সরেজমিনে বদলেও ফেলতেও পারে। আসলে যে ভূমিদস্যুরা জলাশয়, বন্যাপ্রবাহ অঞ্চল প্রভৃতি অবৈধভাবে ভরাট করে আবাসন প্রকল্প গড়ে তুলেছে, তাদের দায়মুক্ত করার জন্য সরকার এখন নির্বাচনের প্রাক্কালে ড্যাপ সংশোধন করতে চাইছে।
এদিকে ড্যাপের প্রধান বিষয়গুলো বাস্তবায়ন না করে পর্যালোচনার মাধ্যমে তা সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে নয়টি পরিবেশবাদী ও উন্নয়ন সংস্থা গত ২৩ জুন স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর কাছে একটি চিঠি পাঠান। ওই চিঠিতে ড্যাপ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং ড্যাপ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।
যে সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো আইন ও সালিশ কেন্দ্র, এএলআরডি, বেলা, বাপা, ব্ল্যাস্ট, পবা, সিএসইউ, নিজেরা করি ও টিআইবি।
ড্যাপের প্রধান অংশগুলো: ড্যাপের তিনটি প্রধান অংশ। প্রথমটি হচ্ছে মহানগরের প্রতিটি মৌজার সব জমির শ্রেণীবিন্যাস করা। অর্থাৎ কোনটি কৃষিজমি, কোনটি আবাসনের, কোনটি বন্যাপ্রবাহ অঞ্চল তা নির্ধারণ। ড্যাপের এই শ্রেণীবিন্যাস কেউ অমান্য করলে রাজউক তার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে। কিন্তু কেউ এটা অমান্য করছে কি না, তা সরেজমিনে দেখা হচ্ছে না।
দ্বিতীয় অংশ হচ্ছে, ড্যাপ চূড়ান্ত হওয়ার আগে যেসব স্থাপনা বা অবকাঠামো তৈরি হয়ে গেছে, সেগুলো ড্যাপের আলোকে সংশোধন বা পরিশীলিত করা। এই অংশ বাস্তবায়নের জন্য ছয়টি সরকারি ও ১০টি বেসরকারি প্রকল্প ও দুই হাজার ৭২৪টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে ড্যাপের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ (নন-কনফার্মিং) হিসেবে চিহ্নিত করেছিল বিশেষজ্ঞ কমিটি। সেগুলো সরিয়ে নিয়ে কৃষিজমি, বন্যাপ্রবাহ অঞ্চল ও জলাশয় পুনরুদ্ধার করার কথা। ড্যাপের পরিপন্থী এসব প্রকল্পের কোনো কোনোটির বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের রায়ও আছে। এসব প্রকল্প অপসারণের জন্যও পূর্বোক্ত কর্মপরিকল্পনা ও সাংগঠনিক কাঠামো অপরিহার্য ছিল।
সরকার গত তিন বছরেও ড্যাপের মৌলিক বিষয়গুলো বাস্তবায়ন না করে প্রকল্পগুলো ক্ষতিগ্রস্ত না করার পথেই এগোচ্ছে। কিন্তু এর ফলে ঢাকা ও ঢাকাবাসী স্থায়ী ক্ষতির শিকার হচ্ছে।
তৃতীয় অংশ হচ্ছে ড্যাপ অনুযায়ী প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া। এ ক্ষেত্রেও কেউ প্রকল্প অনুমোদনের জন্য রাজউকের কাছে না গেলে রাজউক কিছু করে না। ড্যাপভুক্ত এলাকায় রাজউকের অনুমোদন ছাড়াই অনেক নির্মাণকাজ হচ্ছে। এসব কাজে ড্যাপ লঙ্ঘিত হচ্ছে। কিন্তু রাজউক সেগুলো দেখছে না।
ড্যাপভুক্ত মোট এলাকার (৫৯০ বর্গমাইল) ৩২ দশমিক ১৮ শতাংশ সংরক্ষিত রাখা হয়েছে বন্যাপ্রবাহ অঞ্চল, জলাভূমি ও জলাশয় হিসেবে। এই শ্রেণীর ভূমির মধ্যে প্রায় আড়াই হাজার একর ভূমিতে আবাসন প্রকল্পসহ বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে এবং হচ্ছে। এ ছাড়া ড্যাপ এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা হয়েছে দুই হাজার ৭২৪টি ছোট-বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান।
যুক্তরাজ্যের একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় ঢাকা মহানগর উন্নয়ন পরিকল্পনা (ডিএমডিপি) প্রণীত হয় ১৯৯৩-৯৫ সালে। এতে কাঠামোগত ও নগরায়িত এলাকার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়। ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী, ড্যাপ প্রণয়ন করে সেই অনুযায়ী ঢাকা মহানগরের সব উন্নয়নকাজ পরিচালিত হওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে তা হলো না।
পাশাপাশি সরকার সম্প্রতি ড্যাপকেন্দ্রিক ছোটখাটো কিছু ব্যক্তিগত আপত্তি মীমাংসার উদ্যোগ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে একটি উপকমিটি সরেজমিনে আবেদনকারীদের আপত্তির বিষয় তদন্ত করে করণীয় সুপারিশ করছে। গত বুধবার গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে এক সভায় এ রকম ২০টি আপত্তি সম্পর্কে তদন্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। এর মধ্যে চারটি সম্পূর্ণ এবং একটি আংশিকভাবে গ্রহণ করা হয়েছে। অন্যগুলো নাকচ করে দেওয়া হয়।
যে আপত্তিগুলো গৃহীত হয়েছে, সেগুলোর ক্ষেত্রে ড্যাপ সংশোধন হবে। আর নাকচ করে দেওয়া আপত্তিগুলোর ক্ষেত্রে ড্যাপ বহাল থাকবে। তবে এগুলো খুবই ছোটখাটো বিষয়—রাস্তা প্রশস্ত করা বা রাস্তা সোজা করা ইত্যাদি।
কিন্তু ড্যাপের মৌলিক বিষয়গুলো বাস্তবায়নের কোনো পদক্ষেপই সরকারের নেই। গত তিন বছরে ড্যাপ বাস্তবায়নের জন্য অপরিহার্য সাংগঠনিক কাঠামো নির্ধারণ করা হয়নি। কর্মপরিকল্পনাও তৈরি হয়নি। অথচ বর্তমান ড্যাপের মেয়াদ ২০১৫ সালে শেষ হয়ে যাবে।
ড্যাপ বাস্তবায়নের এই পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান প্রথম আলোকে বলেন, সরকার প্রথম থেকেই দ্বিধাগ্রস্ত ছিল। মন্ত্রিপরিষদের যে সভায় ড্যাপ অনুমোদিত হয়েছে, সেই সভায়ই পর্যালোচনা (রিভিউ) কমিটি করা হয়েছে। এর মানে সরকার বাস্তবায়ন নয়, পর্যালোচনা করতে চায়। পর্যালোচনা কমিটি প্রথম সভা করে ২০১০ সালে। দ্বিতীয় সভা করল ২০১৩ সালের ১৯ মে। তিন বছর পর সভা করার মানে তারা বিষয়টি বাস্তবায়ন করতে নয়, ফেলে রাখতে চায়।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, সাড়ে তিন বছর সরেজমিনে অনুসন্ধানের মাধ্যমে করা হয়েছে ঢাকা মহানগর মহাপরিকল্পনা (ডিএমডিপি)। এরপর আরও সাড়ে ছয় বছর সরেজমিনে অনুসন্ধানের পর করা হয়েছে ড্যাপ। ড্যাপ চূড়ান্ত করার আগে গণশুনানি করা হয়েছে। সব শ্রেণী-পেশার মানুষের মতামত নেওয়া হয়েছে। এখন আবার সরেজমিনে অনুসন্ধান করে আপত্তি মীমাংসার তো কারণ থাকতে পারে না। এই সময়ের মধ্যে তো কেউ সরেজমিনে বদলেও ফেলতেও পারে। আসলে যে ভূমিদস্যুরা জলাশয়, বন্যাপ্রবাহ অঞ্চল প্রভৃতি অবৈধভাবে ভরাট করে আবাসন প্রকল্প গড়ে তুলেছে, তাদের দায়মুক্ত করার জন্য সরকার এখন নির্বাচনের প্রাক্কালে ড্যাপ সংশোধন করতে চাইছে।
এদিকে ড্যাপের প্রধান বিষয়গুলো বাস্তবায়ন না করে পর্যালোচনার মাধ্যমে তা সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে নয়টি পরিবেশবাদী ও উন্নয়ন সংস্থা গত ২৩ জুন স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর কাছে একটি চিঠি পাঠান। ওই চিঠিতে ড্যাপ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং ড্যাপ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।
যে সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো আইন ও সালিশ কেন্দ্র, এএলআরডি, বেলা, বাপা, ব্ল্যাস্ট, পবা, সিএসইউ, নিজেরা করি ও টিআইবি।
ড্যাপের প্রধান অংশগুলো: ড্যাপের তিনটি প্রধান অংশ। প্রথমটি হচ্ছে মহানগরের প্রতিটি মৌজার সব জমির শ্রেণীবিন্যাস করা। অর্থাৎ কোনটি কৃষিজমি, কোনটি আবাসনের, কোনটি বন্যাপ্রবাহ অঞ্চল তা নির্ধারণ। ড্যাপের এই শ্রেণীবিন্যাস কেউ অমান্য করলে রাজউক তার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে। কিন্তু কেউ এটা অমান্য করছে কি না, তা সরেজমিনে দেখা হচ্ছে না।
দ্বিতীয় অংশ হচ্ছে, ড্যাপ চূড়ান্ত হওয়ার আগে যেসব স্থাপনা বা অবকাঠামো তৈরি হয়ে গেছে, সেগুলো ড্যাপের আলোকে সংশোধন বা পরিশীলিত করা। এই অংশ বাস্তবায়নের জন্য ছয়টি সরকারি ও ১০টি বেসরকারি প্রকল্প ও দুই হাজার ৭২৪টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে ড্যাপের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ (নন-কনফার্মিং) হিসেবে চিহ্নিত করেছিল বিশেষজ্ঞ কমিটি। সেগুলো সরিয়ে নিয়ে কৃষিজমি, বন্যাপ্রবাহ অঞ্চল ও জলাশয় পুনরুদ্ধার করার কথা। ড্যাপের পরিপন্থী এসব প্রকল্পের কোনো কোনোটির বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের রায়ও আছে। এসব প্রকল্প অপসারণের জন্যও পূর্বোক্ত কর্মপরিকল্পনা ও সাংগঠনিক কাঠামো অপরিহার্য ছিল।
সরকার গত তিন বছরেও ড্যাপের মৌলিক বিষয়গুলো বাস্তবায়ন না করে প্রকল্পগুলো ক্ষতিগ্রস্ত না করার পথেই এগোচ্ছে। কিন্তু এর ফলে ঢাকা ও ঢাকাবাসী স্থায়ী ক্ষতির শিকার হচ্ছে।
তৃতীয় অংশ হচ্ছে ড্যাপ অনুযায়ী প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া। এ ক্ষেত্রেও কেউ প্রকল্প অনুমোদনের জন্য রাজউকের কাছে না গেলে রাজউক কিছু করে না। ড্যাপভুক্ত এলাকায় রাজউকের অনুমোদন ছাড়াই অনেক নির্মাণকাজ হচ্ছে। এসব কাজে ড্যাপ লঙ্ঘিত হচ্ছে। কিন্তু রাজউক সেগুলো দেখছে না।
ড্যাপভুক্ত মোট এলাকার (৫৯০ বর্গমাইল) ৩২ দশমিক ১৮ শতাংশ সংরক্ষিত রাখা হয়েছে বন্যাপ্রবাহ অঞ্চল, জলাভূমি ও জলাশয় হিসেবে। এই শ্রেণীর ভূমির মধ্যে প্রায় আড়াই হাজার একর ভূমিতে আবাসন প্রকল্পসহ বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে এবং হচ্ছে। এ ছাড়া ড্যাপ এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা হয়েছে দুই হাজার ৭২৪টি ছোট-বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান।
যুক্তরাজ্যের একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় ঢাকা মহানগর উন্নয়ন পরিকল্পনা (ডিএমডিপি) প্রণীত হয় ১৯৯৩-৯৫ সালে। এতে কাঠামোগত ও নগরায়িত এলাকার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়। ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী, ড্যাপ প্রণয়ন করে সেই অনুযায়ী ঢাকা মহানগরের সব উন্নয়নকাজ পরিচালিত হওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে তা হলো না।
No comments