নখদন্তহীন’ দুদক দিয়ে দুর্নীতি দূর হবে না বিদায়ী চেয়ারম্যানের হতাশা
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান
হিসেবে চার বছর দায়িত্ব পালন করার পর নিজেকে সফল হিসেবে বিবেচনা করতে
পারছেন না গোলাম রহমান। যে প্রতিষ্ঠানের হয়ে তিনি এত দিন দায়িত্ব পালন
করলেন, সেটি তাঁর ভাষায় ‘নখদন্তহীন বাঘ’।
এ ধরনের বাঘ
দিয়ে আর যা-ই হোক দুর্নীতির মতো দানবকে সামলানো সম্ভব নয়। এটা পরিষ্কার যে
হতাশা আর ব্যর্থতা নিয়েই বিদায় নিচ্ছেন দুদকের বর্তমান চেয়ারম্যান।
২০০৯ সালে দুদক চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই গোলাম রহমান প্রতিষ্ঠানটিকে দন্তহীন বাঘের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। কিন্তু গত চার বছর কোনো বড় ধরনের সমালোচনা, প্রতিক্রিয়া বা অস্বস্তি ছাড়াই আমরা তাঁকে দায়িত্ব পালন করতে দেখেছি। এমনকি গণমাধ্যম বা দুর্নীতিবিরোধী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে যখন দুদকের স্বাধীনতা এবং এর ওপর রাজনৈতিক প্রভাবের বিষয়গুলো নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, তখনো দুদক চেয়ারম্যানকে আমরা এসব সমালোচনা অগ্রাহ্য করতে দেখেছি। বিদায় নেওয়ার আগে তিনি যে হতাশা প্রকাশ করলেন, দায়িত্ব পালনকালে যদি এ নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাতেন, তবে আমরা অন্তত এই স্বস্তি পেতাম যে চেষ্টা করেও তিনি সফল হননি।
দুদকের অনেক কার্যক্রম ও ভূমিকায় জনমনে এই ধারণা তৈরি হয়েছে যে ‘স্বাধীন’ প্রতিষ্ঠান দুদক সরকারের ইচ্ছার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলেছে। দুদক যদি সরকারের চাপে পড়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে, তবে তা দুদকের ব্যর্থতা, কারণ সরকারের কোনো চাপ মেনে চলার বাধ্যবাধকতা প্রতিষ্ঠানটির নেই। আর সে ধরনের কিছু যদি ঘটে না থাকে, তবে এটা বলতে হবে যে দুদক তার কর্মকাণ্ডে একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেদের ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে পারেনি। বিদায়ী চেয়ারম্যান কোনোভাবেই এই দায় এড়াতে পারেন না।
দুদক চেয়ারম্যান হিসেবে সফল না হওয়ার জন্য গোলাম রহমান আইনের সীমাবদ্ধতার কথা বলেছেন। কিন্তু একটি স্বাধীন ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হিসেবে এ ব্যাপারে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির ক্ষেত্রে কার্যকর কৌশল নিতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। মেয়াদ শেষে ‘আমি সফল নই’—এ ধরনের আত্মোপলব্ধির মধ্যে সততা থাকতে পারে, কিন্তু তাতে দায়িত্ব পালনে তাঁর ব্যর্থতা হালকা হয়ে যায় না।
এটা ঠিক যে দুদককে শক্তিশালী ও কার্যকর করতে আইন সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে। দুদক ও দুর্নীতিবিরোধী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে এ ব্যাপারে নানা সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু সরকার বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখেছে। সরকারের তরফ থেকে একটি আইনের খসড়া সংশোধনী করা হলেও তা অনুমোদনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। আমরা মনে করি, এই সংশোধনীর খসড়া প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতামত নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে তা পাস করা উচিত।
দুদক চেয়ারম্যান পদে নতুন একজন নিয়োগ পাবেন। আমরা আশা করব, চার বছর পর এ ধরনের হতাশা ও ব্যর্থতা নিয়ে ভবিষ্যৎ চেয়ারম্যানকে বিদায় নিতে হবে না।
২০০৯ সালে দুদক চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই গোলাম রহমান প্রতিষ্ঠানটিকে দন্তহীন বাঘের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। কিন্তু গত চার বছর কোনো বড় ধরনের সমালোচনা, প্রতিক্রিয়া বা অস্বস্তি ছাড়াই আমরা তাঁকে দায়িত্ব পালন করতে দেখেছি। এমনকি গণমাধ্যম বা দুর্নীতিবিরোধী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে যখন দুদকের স্বাধীনতা এবং এর ওপর রাজনৈতিক প্রভাবের বিষয়গুলো নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, তখনো দুদক চেয়ারম্যানকে আমরা এসব সমালোচনা অগ্রাহ্য করতে দেখেছি। বিদায় নেওয়ার আগে তিনি যে হতাশা প্রকাশ করলেন, দায়িত্ব পালনকালে যদি এ নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাতেন, তবে আমরা অন্তত এই স্বস্তি পেতাম যে চেষ্টা করেও তিনি সফল হননি।
দুদকের অনেক কার্যক্রম ও ভূমিকায় জনমনে এই ধারণা তৈরি হয়েছে যে ‘স্বাধীন’ প্রতিষ্ঠান দুদক সরকারের ইচ্ছার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলেছে। দুদক যদি সরকারের চাপে পড়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে, তবে তা দুদকের ব্যর্থতা, কারণ সরকারের কোনো চাপ মেনে চলার বাধ্যবাধকতা প্রতিষ্ঠানটির নেই। আর সে ধরনের কিছু যদি ঘটে না থাকে, তবে এটা বলতে হবে যে দুদক তার কর্মকাণ্ডে একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেদের ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে পারেনি। বিদায়ী চেয়ারম্যান কোনোভাবেই এই দায় এড়াতে পারেন না।
দুদক চেয়ারম্যান হিসেবে সফল না হওয়ার জন্য গোলাম রহমান আইনের সীমাবদ্ধতার কথা বলেছেন। কিন্তু একটি স্বাধীন ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হিসেবে এ ব্যাপারে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির ক্ষেত্রে কার্যকর কৌশল নিতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। মেয়াদ শেষে ‘আমি সফল নই’—এ ধরনের আত্মোপলব্ধির মধ্যে সততা থাকতে পারে, কিন্তু তাতে দায়িত্ব পালনে তাঁর ব্যর্থতা হালকা হয়ে যায় না।
এটা ঠিক যে দুদককে শক্তিশালী ও কার্যকর করতে আইন সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে। দুদক ও দুর্নীতিবিরোধী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে এ ব্যাপারে নানা সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু সরকার বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখেছে। সরকারের তরফ থেকে একটি আইনের খসড়া সংশোধনী করা হলেও তা অনুমোদনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। আমরা মনে করি, এই সংশোধনীর খসড়া প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতামত নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে তা পাস করা উচিত।
দুদক চেয়ারম্যান পদে নতুন একজন নিয়োগ পাবেন। আমরা আশা করব, চার বছর পর এ ধরনের হতাশা ও ব্যর্থতা নিয়ে ভবিষ্যৎ চেয়ারম্যানকে বিদায় নিতে হবে না।
No comments