চট্টগ্রামে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের মালিকানা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ
শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেছেন, গ্রামীণ ব্যাংক হচ্ছে বিশ্বের একমাত্র নোবেলজয়ী বেসরকারি
প্রতিষ্ঠান। এ ধরনের একটি প্রতিষ্ঠানের মালিকদের ন্যায্য অধিকার কেড়ে
নেওয়া হলে জনগণ একত্র হবে।
ব্যাংকটির মালিকানার বিষয়ে তারাই সিদ্ধান্ত নেবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ড. ইউনূস এসব কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেল পাওয়ায় তাঁকে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ‘নোবেলজয়ী ড. ইউনূস সুহূদ-চট্টগ্রাম’ নামের একটি সংগঠন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সংগঠনের সভাপতি এবং বেসরকারি ইস্ট-ডেল্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মু. সিকান্দার খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন ফারুক-ই-আজম।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘ঋণগ্রহীতারাই গ্রামীণ ব্যাংকের মালিক। এখানে তাঁরা ৯৭ শতাংশের আর সরকার ৩ শতাংশের মালিক। এই মালিকানা নিয়ে আইনে কোনো বিরোধ নেই।’ তিনি সরকারের উদ্দেশে প্রশ্ন রাখেন, ‘একটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কীভাবে কেড়ে নেবেন? এটা ছিনতাইয়ের কথা হলো; আইনের কথা হলো না। যে আইন একটি নোবেলজয়ী প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছে, সে আইনকে কীভাবে আস্তাকুঁড়ে ফেলে দেবেন?’
‘আমাদের অতীতমুখিতা ছেড়ে ভবিষ্যৎমুখী হতে হবে’ মন্তব্য করে নোবেলজয়ী বলেন, ‘অতীতমুখিতার কারণে আমরা অনেক পিছিয়ে পড়েছি। আমরা যদি নিজেদের বিভক্ত না করে একত্র করতে পারতাম, তাহলে অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারতাম। এসব বিভক্তির কারণে কেউ কিছু করতে পারছি না। কিন্তু এভাবে একটি দেশকে চলতে দেওয়া যায় না।’
বক্তৃতায় ক্ষুদ্রঋণের পথিকৃৎ নিজের প্রবর্তিত সামাজিক ব্যবসার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, হাইতি, তিউনিসিয়া, সুইডেন, মিসর, সেনেগাল প্রভৃতি দেশে গ্রামীণের সামাজিক ব্যবসা নীতি ইতিমধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এ ছাড়া বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষ সামাজিক ব্যবসার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী, অর্থনীতিবিদ মঈনুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ফজলুল করিম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আলমগীর মুহাম্মদ সিরাজুদ্দীন, দৈনিক আজাদী পত্রিকার সম্পাদক এম এ মালেক প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন। এর আগে গতকাল সকালে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার এবং সামাজিক সংগঠন ‘দৃষ্টি’ আয়োজন করে ছাত্র ও তরুণ সমাবেশ। এতে অধ্যাপক ইউনূস তাঁর শৈশব, কৈশোর এবং জীবনে প্রতিষ্ঠার কথা তুলে ধরেন। তিনি তরুণ সমাজকে দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে নেতৃত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ড. ইউনূস এসব কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেল পাওয়ায় তাঁকে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ‘নোবেলজয়ী ড. ইউনূস সুহূদ-চট্টগ্রাম’ নামের একটি সংগঠন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সংগঠনের সভাপতি এবং বেসরকারি ইস্ট-ডেল্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মু. সিকান্দার খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন ফারুক-ই-আজম।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘ঋণগ্রহীতারাই গ্রামীণ ব্যাংকের মালিক। এখানে তাঁরা ৯৭ শতাংশের আর সরকার ৩ শতাংশের মালিক। এই মালিকানা নিয়ে আইনে কোনো বিরোধ নেই।’ তিনি সরকারের উদ্দেশে প্রশ্ন রাখেন, ‘একটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কীভাবে কেড়ে নেবেন? এটা ছিনতাইয়ের কথা হলো; আইনের কথা হলো না। যে আইন একটি নোবেলজয়ী প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছে, সে আইনকে কীভাবে আস্তাকুঁড়ে ফেলে দেবেন?’
‘আমাদের অতীতমুখিতা ছেড়ে ভবিষ্যৎমুখী হতে হবে’ মন্তব্য করে নোবেলজয়ী বলেন, ‘অতীতমুখিতার কারণে আমরা অনেক পিছিয়ে পড়েছি। আমরা যদি নিজেদের বিভক্ত না করে একত্র করতে পারতাম, তাহলে অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারতাম। এসব বিভক্তির কারণে কেউ কিছু করতে পারছি না। কিন্তু এভাবে একটি দেশকে চলতে দেওয়া যায় না।’
বক্তৃতায় ক্ষুদ্রঋণের পথিকৃৎ নিজের প্রবর্তিত সামাজিক ব্যবসার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, হাইতি, তিউনিসিয়া, সুইডেন, মিসর, সেনেগাল প্রভৃতি দেশে গ্রামীণের সামাজিক ব্যবসা নীতি ইতিমধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এ ছাড়া বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষ সামাজিক ব্যবসার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী, অর্থনীতিবিদ মঈনুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ফজলুল করিম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আলমগীর মুহাম্মদ সিরাজুদ্দীন, দৈনিক আজাদী পত্রিকার সম্পাদক এম এ মালেক প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন। এর আগে গতকাল সকালে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার এবং সামাজিক সংগঠন ‘দৃষ্টি’ আয়োজন করে ছাত্র ও তরুণ সমাবেশ। এতে অধ্যাপক ইউনূস তাঁর শৈশব, কৈশোর এবং জীবনে প্রতিষ্ঠার কথা তুলে ধরেন। তিনি তরুণ সমাজকে দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে নেতৃত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান।
No comments