পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে আমরা হয়ে যাই নাস্তিক: শেখ হাসিনা
রাজনীতিতে আস্তিক-নাস্তিক বিতর্ক টেনে
আনায় বিরোধী দলের সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন,
‘ইদানীং আবার একটা শুরু হয়েছে আস্তিক আর নাস্তিক।
আমরা
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি, ফজরের নামাজ পড়ে কোরআন তিলাওয়াত করে দিন শুরু
করি, আমরা হয়ে যাই নাস্তিক। আর যিনি বোতল খেয়ে ঘুমিয়ে ঘুম থেকেই ওঠেন
দুপুর ১২টার পর, তাঁরা হলো আস্তিক। আর যাব কোথায়, এর থেকে বেশি কিছু আমি
বলতে চাই না।’
গতকাল বৃহস্পতিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের পিরোজপুর জেলা শাখার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিরোধীদলীয় নেতার প্রতি ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের মেয়ে, দেশেই জন্ম। আমার সম্পর্কে আপনারা জানেন। আর একজন ভারতের একটি চা-বাগানে জন্ম, তার সম্পর্কে আর বলতে চাই না।’ তিনি আরও বলেন, ‘ওই বাড়ি বদলের সময় আপনারা তো বোতল দেখেছেন। যারা বোতল নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করে, তারা হলো আস্তিক সরকার, আর আমরা হলাম নাস্তিক। এটাই দুর্ভাগ্য।’
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকারের সময় নিরপেক্ষ ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য প্রতিটি নির্বাচন প্রমাণ করে জাতীয় নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যৌক্তিকতা নেই।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা তত্ত্বাবধায়ক চেয়েছিলাম, এটা ঠিক। কেন চেয়ছিলাম, কারণ বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে যে কয়টা নির্বাচন করেছিল প্রতিটিতে কারচুপি ও সন্ত্রাস হয়েছে। তারা যদি ভোট কারচুপি না করত, মাগুরা-মার্কা ইলেকশন না করত, ১৫ ফেব্রুয়ারির মতো ইলেকশন না করত—তাহলে তত্ত্বাবধায়কের দাবি করা প্রয়োজন ছিল না।’ তিনি বলেন, এবার যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা আসে, তাহলে তারা নির্বাচনই দেবে না।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ের ঘটনাপ্রবাহ মনে করিয়ে দেওয়ার সময় গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের প্রসঙ্গও আসে শেখ হাসিনার কথায়। তিনি বলেন, ‘তারা (তত্ত্বাবধায়ক) যে ইলেকশন না দিয়েও থাকতে পারে, সে বক্তব্য দিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একজন আইনজীবী; যিনি একসময় আমাদের সঙ্গে ছিলেন। ঘর ভেঙে চলে গেছেন। তিনি আবার এলান করলেন, রোজ কেয়ামত পর্যন্ত এই সরকার থাকতে পারবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই। দেশের মানুষকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আগামীতে দেশ শান্তিতে থাকবে, না সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য হবে। জঙ্গিবাদ, গ্রেনেড হামলা, সিরিজ বোমা হামলা হবে, না উন্নয়ন হবে। দেশের জনগণ ভোট দিলে আছি, না দিলে নাই। ভোট কারচুপি করে ক্ষমতায় থাকতে চাই না।’
সভায় ঢুকতে পারেননি জিয়াউদ্দিন : প্রথম আলোর পিরোজপুর প্রতিনিধি জানান, এ মতবিনিময় সভায় যোগ দিতে এসে গণভবনে ঢুকতে পারেননি আওয়ামী লীগের পিরোজপুর জেলা শাখার সদস্য, মুক্তিযুদ্ধে নবম সেক্টরের সাব-সেক্টর কমান্ডার ও বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার অন্যতম সাক্ষী মেজর (অব.) জিয়াউদ্দিন আহমেদ।
আওয়ামী লীগের জেলা শাখার সদস্য ও জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) সরদার ফারুক আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, অন্যদের সঙ্গে তিনি এবং আওয়ামী লীগের জেলা শাখার সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ, জসিম উদ্দিন খান ও মোস্তফা শিকদার মতবিনিময় সভায় যোগ দিতে যান। তিনি বলেন, ‘গণভবনের ফটকে দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সাংসদ এ কে এম এ আউয়াল একটি তালিকা দেখিয়ে বলেন, আপনাদের নাম এ তালিকায় নেই, এ কারণে আপনারা ঢুকতে পারবেন না। পরে প্রধানমন্ত্রীর একজন একান্ত সহকারীর হস্তক্ষেপে আমরা সভায় ঢুকতে পেরেছি। জিয়াউদ্দিন ফিরে যান।’
গতকাল বৃহস্পতিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের পিরোজপুর জেলা শাখার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিরোধীদলীয় নেতার প্রতি ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের মেয়ে, দেশেই জন্ম। আমার সম্পর্কে আপনারা জানেন। আর একজন ভারতের একটি চা-বাগানে জন্ম, তার সম্পর্কে আর বলতে চাই না।’ তিনি আরও বলেন, ‘ওই বাড়ি বদলের সময় আপনারা তো বোতল দেখেছেন। যারা বোতল নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করে, তারা হলো আস্তিক সরকার, আর আমরা হলাম নাস্তিক। এটাই দুর্ভাগ্য।’
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকারের সময় নিরপেক্ষ ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য প্রতিটি নির্বাচন প্রমাণ করে জাতীয় নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যৌক্তিকতা নেই।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা তত্ত্বাবধায়ক চেয়েছিলাম, এটা ঠিক। কেন চেয়ছিলাম, কারণ বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে যে কয়টা নির্বাচন করেছিল প্রতিটিতে কারচুপি ও সন্ত্রাস হয়েছে। তারা যদি ভোট কারচুপি না করত, মাগুরা-মার্কা ইলেকশন না করত, ১৫ ফেব্রুয়ারির মতো ইলেকশন না করত—তাহলে তত্ত্বাবধায়কের দাবি করা প্রয়োজন ছিল না।’ তিনি বলেন, এবার যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা আসে, তাহলে তারা নির্বাচনই দেবে না।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ের ঘটনাপ্রবাহ মনে করিয়ে দেওয়ার সময় গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের প্রসঙ্গও আসে শেখ হাসিনার কথায়। তিনি বলেন, ‘তারা (তত্ত্বাবধায়ক) যে ইলেকশন না দিয়েও থাকতে পারে, সে বক্তব্য দিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একজন আইনজীবী; যিনি একসময় আমাদের সঙ্গে ছিলেন। ঘর ভেঙে চলে গেছেন। তিনি আবার এলান করলেন, রোজ কেয়ামত পর্যন্ত এই সরকার থাকতে পারবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই। দেশের মানুষকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আগামীতে দেশ শান্তিতে থাকবে, না সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য হবে। জঙ্গিবাদ, গ্রেনেড হামলা, সিরিজ বোমা হামলা হবে, না উন্নয়ন হবে। দেশের জনগণ ভোট দিলে আছি, না দিলে নাই। ভোট কারচুপি করে ক্ষমতায় থাকতে চাই না।’
সভায় ঢুকতে পারেননি জিয়াউদ্দিন : প্রথম আলোর পিরোজপুর প্রতিনিধি জানান, এ মতবিনিময় সভায় যোগ দিতে এসে গণভবনে ঢুকতে পারেননি আওয়ামী লীগের পিরোজপুর জেলা শাখার সদস্য, মুক্তিযুদ্ধে নবম সেক্টরের সাব-সেক্টর কমান্ডার ও বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার অন্যতম সাক্ষী মেজর (অব.) জিয়াউদ্দিন আহমেদ।
আওয়ামী লীগের জেলা শাখার সদস্য ও জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) সরদার ফারুক আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, অন্যদের সঙ্গে তিনি এবং আওয়ামী লীগের জেলা শাখার সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ, জসিম উদ্দিন খান ও মোস্তফা শিকদার মতবিনিময় সভায় যোগ দিতে যান। তিনি বলেন, ‘গণভবনের ফটকে দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সাংসদ এ কে এম এ আউয়াল একটি তালিকা দেখিয়ে বলেন, আপনাদের নাম এ তালিকায় নেই, এ কারণে আপনারা ঢুকতে পারবেন না। পরে প্রধানমন্ত্রীর একজন একান্ত সহকারীর হস্তক্ষেপে আমরা সভায় ঢুকতে পেরেছি। জিয়াউদ্দিন ফিরে যান।’
No comments