আহত ও নিহত শ্রমিকের ক্ষতিপূরণ ৩০ ও ২৫ লাখ টাকা দাবি
শ্রম আইন (২০০৬) অনুযায়ী নিহত শ্রমিকের
ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ আছে এক লাখ টাকা। আর আহত শ্রমিক পান দেড় লাখ টাকা। এটা
কোনো ক্ষতিপূরণই না। আইনের এই ধারা দ্রুত পাল্টানো দরকার।
গতকাল
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)
আয়োজিত ‘কর্মক্ষেত্রে নিহত ও আহত শ্রমিকের ক্ষতিপূরণ: আইনের প্রয়োজনীয়
সংস্কার’ বিষয়ে এক গোলটেবিল আলোচনায় এ কথা বলেন বক্তারা।
আইনের পরিবর্তন চেয়ে আয়োজক সংগঠনটির পক্ষে দাবি করা হয়, এই ক্ষতিপূরণের পরিমাণ স্থায়ীভাবে অক্ষম আহত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ৩০ লাখ টাকা এবং নিহত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ২৫ লাখ টাকা করা দরকার। একজন শ্রমিকের বাকি জীবনের আয় বিবেচনায় নিলে ক্ষতিপূরণের এই পরিমাণ অর্থ খুবই যুক্তিসংগত।
আলোচনার প্রধান অতিথি শ্রম ও কর্মসংস্থানবিষয়ক মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ইসরাফিল আলমও সমালোচনা করেন আইনের ক্ষতিপূরণ বিধানের। তিনি বলেন, বর্তমান বাজার বিবেচনায় এটা কোনো টাকাই না। এর পরও তিনি এই বিধানের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে বললেন, ‘এটা একধরনের বাধ্যবাধকতা। আর এটা ন্যূনতম। এর চেয়ে বেশি দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই।’
ইসরাফিল আলম বললেন, শ্রম আইন তখনই কার্যকর হবে, যখন শ্রমিকসংগঠনগুলো শক্তিশালী হবে।
শ্রমবান্ধব আইন করার ক্ষেত্রে সাংসদদের আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান গোলটেবিল আলোচনার সভাপতি বিচারপতি আওলাদ আলী। তিনি বলেন, আইনগুলো করে দেন নির্বাহীরা। সাংসদেরা একটু দেখে হ্যাঁ বা না ভোট দিয়ে তাঁদের কর্তব্য সারেন।
শ্রম আইনের সংশোধনই মূল কথা না, এখন যে আইন আছে তা কতটুকু বাস্তবায়িত হয়েছে তার খোঁজ নিলে হতাশাজনক চিত্রই পাওয়া যাবে বলে মন্তব্য করেন অনুষ্ঠানের আলোচক আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সৈয়দ আমিনুল ইসলাম।
আলোচনায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) সহকারী নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতানউদ্দিন আহমেদ বলেন, শ্রম আইনে ন্যূনতম ক্ষতিপূরণের যে বাধ্যবাধকতা রাখা আছে এর চেয়ে বেশি অর্থ মালিক দেবে, তা আশা করা খুবই অসংগত। আইনে দুর্ঘটনার শ্রেণীবিন্যাস করার দাবি করেন তিনি।
খুশী কবীরের সঞ্চালনায় আরও আলোচনা করেন ব্লাস্টের সাম্মানিক নির্বাহী পরিচালক সারা হোসেন, বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কার্স সলিডারিটির নির্বাহী পরিচালক কল্পনা আক্তার প্রমুখ।
আইনের পরিবর্তন চেয়ে আয়োজক সংগঠনটির পক্ষে দাবি করা হয়, এই ক্ষতিপূরণের পরিমাণ স্থায়ীভাবে অক্ষম আহত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ৩০ লাখ টাকা এবং নিহত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ২৫ লাখ টাকা করা দরকার। একজন শ্রমিকের বাকি জীবনের আয় বিবেচনায় নিলে ক্ষতিপূরণের এই পরিমাণ অর্থ খুবই যুক্তিসংগত।
আলোচনার প্রধান অতিথি শ্রম ও কর্মসংস্থানবিষয়ক মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ইসরাফিল আলমও সমালোচনা করেন আইনের ক্ষতিপূরণ বিধানের। তিনি বলেন, বর্তমান বাজার বিবেচনায় এটা কোনো টাকাই না। এর পরও তিনি এই বিধানের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে বললেন, ‘এটা একধরনের বাধ্যবাধকতা। আর এটা ন্যূনতম। এর চেয়ে বেশি দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই।’
ইসরাফিল আলম বললেন, শ্রম আইন তখনই কার্যকর হবে, যখন শ্রমিকসংগঠনগুলো শক্তিশালী হবে।
শ্রমবান্ধব আইন করার ক্ষেত্রে সাংসদদের আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান গোলটেবিল আলোচনার সভাপতি বিচারপতি আওলাদ আলী। তিনি বলেন, আইনগুলো করে দেন নির্বাহীরা। সাংসদেরা একটু দেখে হ্যাঁ বা না ভোট দিয়ে তাঁদের কর্তব্য সারেন।
শ্রম আইনের সংশোধনই মূল কথা না, এখন যে আইন আছে তা কতটুকু বাস্তবায়িত হয়েছে তার খোঁজ নিলে হতাশাজনক চিত্রই পাওয়া যাবে বলে মন্তব্য করেন অনুষ্ঠানের আলোচক আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সৈয়দ আমিনুল ইসলাম।
আলোচনায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) সহকারী নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতানউদ্দিন আহমেদ বলেন, শ্রম আইনে ন্যূনতম ক্ষতিপূরণের যে বাধ্যবাধকতা রাখা আছে এর চেয়ে বেশি অর্থ মালিক দেবে, তা আশা করা খুবই অসংগত। আইনে দুর্ঘটনার শ্রেণীবিন্যাস করার দাবি করেন তিনি।
খুশী কবীরের সঞ্চালনায় আরও আলোচনা করেন ব্লাস্টের সাম্মানিক নির্বাহী পরিচালক সারা হোসেন, বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কার্স সলিডারিটির নির্বাহী পরিচালক কল্পনা আক্তার প্রমুখ।
No comments