সাক্ষাৎকার মার্কিন ভণ্ডামি দেখিয়ে দিতেই তথ্য ফাঁস করেছি by স্নোডেন
টেলিফোন ও অনলাইন তৎপরতায় মার্কিন
প্রশাসনের নজরদারির কথা ফাঁস করে আলোড়ন তোলা এডওয়ার্ড স্নোডেন আশ্রয়
নিয়েছেন চীনশাসিত হংকংয়ে। সেখানে ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট -এর
সঙ্গে সম্প্রতি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
এর নির্বাচিত অংশ:
এত জায়গা থাকতে হংকংয়ে আশ্রয় নেওয়ার কারণ
কেউ কেউ মনে করেন আমি হংকংয়ে এসে ভুল করেছি। তাঁরা আসলে আমার অভিপ্রায় বুঝতে ভুল করছেন। ন্যায়বিচারের মুখোমুখি হওয়া থেকে পালিয়ে থাকতে আমি এখানে আসিনি। এসেছি অপরাধ তৎপরতা ফাঁস করতে। হংকংয়ের আইনের শাসনের প্রতি আমার আস্থা আছে। তাই এখানে থেকে আদালতের মাধ্যমে মার্কিন সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে চাই।
যত দিন মনে হবে এখানে আমি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বিচার পাব কিংবা যত দিন হংকং কর্তৃপক্ষ যেতে না বলবে, তত দিন থাকব।
যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যর্পণের জন্য হংকংয়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করলে
আমি হংকংয়ের মাটিতে বসে কোনো অপরাধ করছি না। আমার ইচ্ছা, আমার ভাগ্যের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার আদালত ও হংকংয়ের জনগণের ওপর ছেড়ে দেওয়া।
রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া নিয়ে রাশিয়া সরকারের প্রস্তাব সম্পর্কে অনুভূতি
এ প্রসঙ্গে আমার একটাই মন্তব্য: আমি এটা দেখে খুশি যে বিশ্বে অনেক দেশ রয়েছে যারা মার্কিন পরাশক্তির ভয় উপেক্ষা করে আমাকে আশ্রয় দিতে চায়।
মার্কিন প্রশাসনের গোপন এই তৎপরতার কথা ফাঁস করার কারণ
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের ভণ্ডামি সবার সামনে তুলে ধরতেই আমি নজরদারি তৎপরতার বিষয়টি ফাঁস করেছি। সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, বেসামরিক জনগণ বা অবকাঠামো কিংবা এ ধরনের কোনো কিছুতে নজরদারি থাকে না। কিন্তু এটা আসলে ভণ্ডামি। প্রশাসন আইন ভঙ্গ করছে আর দাবি করছে মহৎ কাজ করছে। আমি মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী।
হংকং ও চীন প্রসঙ্গে বক্তব্য
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসএ) বিশ্বজুড়ে ৬১ হাজারের বেশি কম্পিউটার হ্যাক করেছে। এর মধ্যে চীন ও হংকংয়েরও শত শত কম্পিউটার রয়েছে। বিশেষ করে চায়নিজ ইউনিভার্সিটি, ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মকর্তাদের এ ক্ষেত্রে টার্গেট করা হয়।
সমর্থকদের উদ্দেশে...
আমি খুশি যে বিশ্বজুড়ে জনগণ পরিকল্পিত এই ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ভঙ্গের বিরুদ্ধে কথা বলছে। যাঁরা আমার বর্তমান অবস্থানকে সমর্থন করছেন, আমি তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
ভাষান্তর: আবুল হোসেন
এত জায়গা থাকতে হংকংয়ে আশ্রয় নেওয়ার কারণ
কেউ কেউ মনে করেন আমি হংকংয়ে এসে ভুল করেছি। তাঁরা আসলে আমার অভিপ্রায় বুঝতে ভুল করছেন। ন্যায়বিচারের মুখোমুখি হওয়া থেকে পালিয়ে থাকতে আমি এখানে আসিনি। এসেছি অপরাধ তৎপরতা ফাঁস করতে। হংকংয়ের আইনের শাসনের প্রতি আমার আস্থা আছে। তাই এখানে থেকে আদালতের মাধ্যমে মার্কিন সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে চাই।
যত দিন মনে হবে এখানে আমি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বিচার পাব কিংবা যত দিন হংকং কর্তৃপক্ষ যেতে না বলবে, তত দিন থাকব।
যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যর্পণের জন্য হংকংয়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করলে
আমি হংকংয়ের মাটিতে বসে কোনো অপরাধ করছি না। আমার ইচ্ছা, আমার ভাগ্যের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার আদালত ও হংকংয়ের জনগণের ওপর ছেড়ে দেওয়া।
রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া নিয়ে রাশিয়া সরকারের প্রস্তাব সম্পর্কে অনুভূতি
এ প্রসঙ্গে আমার একটাই মন্তব্য: আমি এটা দেখে খুশি যে বিশ্বে অনেক দেশ রয়েছে যারা মার্কিন পরাশক্তির ভয় উপেক্ষা করে আমাকে আশ্রয় দিতে চায়।
মার্কিন প্রশাসনের গোপন এই তৎপরতার কথা ফাঁস করার কারণ
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের ভণ্ডামি সবার সামনে তুলে ধরতেই আমি নজরদারি তৎপরতার বিষয়টি ফাঁস করেছি। সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, বেসামরিক জনগণ বা অবকাঠামো কিংবা এ ধরনের কোনো কিছুতে নজরদারি থাকে না। কিন্তু এটা আসলে ভণ্ডামি। প্রশাসন আইন ভঙ্গ করছে আর দাবি করছে মহৎ কাজ করছে। আমি মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী।
হংকং ও চীন প্রসঙ্গে বক্তব্য
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসএ) বিশ্বজুড়ে ৬১ হাজারের বেশি কম্পিউটার হ্যাক করেছে। এর মধ্যে চীন ও হংকংয়েরও শত শত কম্পিউটার রয়েছে। বিশেষ করে চায়নিজ ইউনিভার্সিটি, ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মকর্তাদের এ ক্ষেত্রে টার্গেট করা হয়।
সমর্থকদের উদ্দেশে...
আমি খুশি যে বিশ্বজুড়ে জনগণ পরিকল্পিত এই ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ভঙ্গের বিরুদ্ধে কথা বলছে। যাঁরা আমার বর্তমান অবস্থানকে সমর্থন করছেন, আমি তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
ভাষান্তর: আবুল হোসেন
No comments