অন্য ভাবনা কল্পনার খ্যাপা ঘোড়ার দৌড়! by রাজীব হাসান
তাঁর নামটাই যেন কেমন কেমন। ক্যাথরিন
লুজিং। লুজিং! এ কেমন বংশপদবি রে বাবা। সাহেব-সুবোরা খ্যাঁকশিয়াল, মানে
মিস্টার ফক্স হয় বলেও আমরা জানি। তাই বলে লুজিং! মানে যে কিনা হারছে!
নামের
মতোই অদ্ভুত তাঁর নেশা। লুজিং ছবি তোলেন। না, ছবি তোলাটা তো আর অদ্ভুত
নেশা নয়। অদ্ভুত হলো তাঁর ছবি তোলার ধরন, সাবজেক্ট। লুজিংয়ের লেন্সে প্রায়ই
ধরা পড়ে আমাদের চেনা খাবারগুলো এবং অবশ্যই সেগুলো হাজির হয় অচেনা বেশে।
সেই হাজির হওয়াটা এতটাই অবিশ্বাস্যভাবে, ছবিটা দেখে চমকে যেতে হয়। থ মেরে
তাকিয়ে থাকতে হয় মিনিট কয়েক।
তারপর আমরা অবাক হয়ে আবিষ্কার করি, আমাদের ডান হাত আর বাঁ হাতের করতল আমাদেরই অজান্তে ঠোকাঠুকি করছে। মানে হাততালি দিয়ে বাহবা জানাচ্ছে। স্যালুট করছে লুজিংয়ের ‘ওয়াইল্ডেস্ট ইমাজিনেশন’কে। এই শব্দবন্ধের বাংলা নিশ্চয়ই হয়, তবে তা দিয়ে ঠিক বোঝানো যাবে না লুজিংয়ের কল্পনার ঘোড়াটা ঠিক কতটা খ্যাপা!
যেমন ঠিক লিখে বা বলেকয়ে বোঝানো যাবে না তাঁর কোনো ছবি। এর চেয়ে সেই ছবিগুলো দেখে নেওয়াই ভালো। যেমন তাঁর একটা ছবির শিরোনাম ‘দ্য সেরপেন্ট দ্যাট এট ইটস ওন টেল’, মানে কিনা যে সাপ নিজেই নিজের লেজ গিলে ফেলেছিল। একটা সাপ নিজের লেজ থেকে নিজেকে গিলতে শুরু করলে অদৃশ্য হয়ে যায় কি না, তা জানা নেই। তবে লুজিংয়ের এই ছবি দাবি করছে, আমাদের পরিচিত অনেক খাবার থেকেই বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। কারণ, বাইন মাছের মতো দেখতে একটি মাছ এবং আরও কীসব খাবারদাবারের সঙ্গে তারতুর জুড়ে দিয়ে, এর এক মাথায় একটা ফ্যানও লাগিয়ে এমন একটা বিমূর্ত ধারণাই তৈরি করার চেষ্টা করেছেন লুজিং।
তাঁর এক সাক্ষাৎকারে ব্রিটিশ এই আলোকচিত্রশিল্পী বলেছেন, ‘আমি এই ধারণা নিয়ে সত্যি সত্যিই গবেষণা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষায় মেতেছিলাম যে কিছু কিছু খাবারের পক্ষে (তত্ত্বগতভাবে) বিদ্যুৎ পরিবহন এমনকি উৎপাদনও সম্ভব।’ কথাটা কতটা ‘সিরিয়াসলি’ তিনি বলেছেন জানা নেই। তবে লুজিংয়ের সৃষ্টিতে খাবারের সঙ্গে বৈদ্যুতিক সাজসরঞ্জামের এক অদ্ভুত যোগসূত্র দেখা যায়। আর তাই শুধু ফ্যান নয়, অনুষঙ্গ হিসেবে হাজির হয়ে যায় ইস্ত্রি, হিটার, বাল্ব।
একা লুজিংয়ের অবশ্য কৃতিত্ব পাওনা নয়। সেটা ভাগ করে দিতে হবে তাঁর দুই সহশিল্পী ইয়ান গ্রাহাম ও আনা লোমাক্সকে। গ্রাহাম খাবারগুলো সাজানোর দায়িত্ব নেন, আর পুরো সেটটার নকশা করেন লোমাক্স। এই ত্রিমূর্তির আইডিয়াগুলো এক ঝলক দেখে আসতে ঢুঁ মারতে পারেন এই দুটো সাইটে: itsnicethat. com/articles/catherine-losing এবং catherinelosing.co.uk
তারপর আমরা অবাক হয়ে আবিষ্কার করি, আমাদের ডান হাত আর বাঁ হাতের করতল আমাদেরই অজান্তে ঠোকাঠুকি করছে। মানে হাততালি দিয়ে বাহবা জানাচ্ছে। স্যালুট করছে লুজিংয়ের ‘ওয়াইল্ডেস্ট ইমাজিনেশন’কে। এই শব্দবন্ধের বাংলা নিশ্চয়ই হয়, তবে তা দিয়ে ঠিক বোঝানো যাবে না লুজিংয়ের কল্পনার ঘোড়াটা ঠিক কতটা খ্যাপা!
যেমন ঠিক লিখে বা বলেকয়ে বোঝানো যাবে না তাঁর কোনো ছবি। এর চেয়ে সেই ছবিগুলো দেখে নেওয়াই ভালো। যেমন তাঁর একটা ছবির শিরোনাম ‘দ্য সেরপেন্ট দ্যাট এট ইটস ওন টেল’, মানে কিনা যে সাপ নিজেই নিজের লেজ গিলে ফেলেছিল। একটা সাপ নিজের লেজ থেকে নিজেকে গিলতে শুরু করলে অদৃশ্য হয়ে যায় কি না, তা জানা নেই। তবে লুজিংয়ের এই ছবি দাবি করছে, আমাদের পরিচিত অনেক খাবার থেকেই বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। কারণ, বাইন মাছের মতো দেখতে একটি মাছ এবং আরও কীসব খাবারদাবারের সঙ্গে তারতুর জুড়ে দিয়ে, এর এক মাথায় একটা ফ্যানও লাগিয়ে এমন একটা বিমূর্ত ধারণাই তৈরি করার চেষ্টা করেছেন লুজিং।
তাঁর এক সাক্ষাৎকারে ব্রিটিশ এই আলোকচিত্রশিল্পী বলেছেন, ‘আমি এই ধারণা নিয়ে সত্যি সত্যিই গবেষণা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষায় মেতেছিলাম যে কিছু কিছু খাবারের পক্ষে (তত্ত্বগতভাবে) বিদ্যুৎ পরিবহন এমনকি উৎপাদনও সম্ভব।’ কথাটা কতটা ‘সিরিয়াসলি’ তিনি বলেছেন জানা নেই। তবে লুজিংয়ের সৃষ্টিতে খাবারের সঙ্গে বৈদ্যুতিক সাজসরঞ্জামের এক অদ্ভুত যোগসূত্র দেখা যায়। আর তাই শুধু ফ্যান নয়, অনুষঙ্গ হিসেবে হাজির হয়ে যায় ইস্ত্রি, হিটার, বাল্ব।
একা লুজিংয়ের অবশ্য কৃতিত্ব পাওনা নয়। সেটা ভাগ করে দিতে হবে তাঁর দুই সহশিল্পী ইয়ান গ্রাহাম ও আনা লোমাক্সকে। গ্রাহাম খাবারগুলো সাজানোর দায়িত্ব নেন, আর পুরো সেটটার নকশা করেন লোমাক্স। এই ত্রিমূর্তির আইডিয়াগুলো এক ঝলক দেখে আসতে ঢুঁ মারতে পারেন এই দুটো সাইটে: itsnicethat. com/articles/catherine-losing এবং catherinelosing.co.uk
No comments