ভারতও কান পাতছে টেলিফোন-ইন্টারনেটে
যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার ভারত সরকারও
ইন্টারনেটের ওপর নজরদারি ও ফোনে আড়িপাতার উদ্যোগ নিয়েছে। ভারতে গৃহীত
কেন্দ্রীয় নজরদারি ব্যবস্থার (সিএমএস) আওতায় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ছাড়াও
আয়কর কর্তৃপক্ষ সরাসরি ইন্টারনেটে নজরদারি ও টেলিফোনে আড়ি পাততে পারবে।
এ ব্যাপারে আদালত বা পার্লামেন্টের কোনো অনুমোদনের দরকার হবে না।
সরকারিভাবে বলা হচ্ছে, এ পদক্ষেপের ফলে জাতীয় নিরাপত্তাব্যবস্থা আরো সুরক্ষিত হবে। তবে এমন সময়ে ব্যাপারটি সামনে এলো, যখন যুক্তরাষ্ট্রের গোপন নজরদারি কর্মসূচির কথা ফাঁস হওয়ায় বিশ্বব্যাপী ব্যাপক সমালোচনা চলছে। এ পটভূমিতে ভারত সরকারের এ পদক্ষেপ ঘিরেও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা (প্রাইভেসি) ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
২০১১ সালে সিএমএস কর্মসূচির কথা ঘোষণা করে ভারত সরকার। তবে এ ব্যাপারে উন্মুক্ত কোনো আলোচনা হয়নি তখন। সরকারও পরিষ্কার করে বলেনি, কিভাবে ব্যবস্থাটি কাজ করবে বা কোন কারণে এটির অপব্যবহার হবে না। এ অবস্থায় কোনো উচ্চবাচ্য না করে গত এপ্রিল থেকে একের পর এক রাজ্যে সিএমএস চালুর প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। ফলে এ কর্মসূচির আওতায় দেশটির ৯০ কোটি টেলিফোন ও মুঠোফোন গ্রাহক এবং ১২ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর যে কারো তথ্য গোপনে সংগ্রহ করতে পারবে সরকারের ৯ গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (সিবিআই) ও গোয়েন্দা ব্যুরো (আইবি) অন্যতম।
নিউ ইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) ইন্টারনেটবিষয়ক গবেষক সিনথিয়া ওং বলেন, 'যদি ভারত কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্র হতে না চায়, তবে এ কর্মসূচির সবকিছু স্বচ্ছ হতে হবে। কিভাবে প্রাইভেসি রক্ষা হবে, তাও পরিষ্কার করতে হবে।'
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, 'দেশের নিরাপত্তার ব্যাপারটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সব দেশেরই নজরদারি কর্মসূচি আছে। সন্ত্রাসীদের পাকড়াও করতে, সন্ত্রাস বন্ধ করতে নজরদারির দরকার আছে। এটি আপনাকে এবং আপনার দেশকে নিরাপত্তা দেবে।' টেলিফোন ও মুঠোফোন তবে সেবাদাতা সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি। সূত্র : রয়টার্স।
সরকারিভাবে বলা হচ্ছে, এ পদক্ষেপের ফলে জাতীয় নিরাপত্তাব্যবস্থা আরো সুরক্ষিত হবে। তবে এমন সময়ে ব্যাপারটি সামনে এলো, যখন যুক্তরাষ্ট্রের গোপন নজরদারি কর্মসূচির কথা ফাঁস হওয়ায় বিশ্বব্যাপী ব্যাপক সমালোচনা চলছে। এ পটভূমিতে ভারত সরকারের এ পদক্ষেপ ঘিরেও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা (প্রাইভেসি) ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
২০১১ সালে সিএমএস কর্মসূচির কথা ঘোষণা করে ভারত সরকার। তবে এ ব্যাপারে উন্মুক্ত কোনো আলোচনা হয়নি তখন। সরকারও পরিষ্কার করে বলেনি, কিভাবে ব্যবস্থাটি কাজ করবে বা কোন কারণে এটির অপব্যবহার হবে না। এ অবস্থায় কোনো উচ্চবাচ্য না করে গত এপ্রিল থেকে একের পর এক রাজ্যে সিএমএস চালুর প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। ফলে এ কর্মসূচির আওতায় দেশটির ৯০ কোটি টেলিফোন ও মুঠোফোন গ্রাহক এবং ১২ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর যে কারো তথ্য গোপনে সংগ্রহ করতে পারবে সরকারের ৯ গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (সিবিআই) ও গোয়েন্দা ব্যুরো (আইবি) অন্যতম।
নিউ ইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) ইন্টারনেটবিষয়ক গবেষক সিনথিয়া ওং বলেন, 'যদি ভারত কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্র হতে না চায়, তবে এ কর্মসূচির সবকিছু স্বচ্ছ হতে হবে। কিভাবে প্রাইভেসি রক্ষা হবে, তাও পরিষ্কার করতে হবে।'
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, 'দেশের নিরাপত্তার ব্যাপারটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সব দেশেরই নজরদারি কর্মসূচি আছে। সন্ত্রাসীদের পাকড়াও করতে, সন্ত্রাস বন্ধ করতে নজরদারির দরকার আছে। এটি আপনাকে এবং আপনার দেশকে নিরাপত্তা দেবে।' টেলিফোন ও মুঠোফোন তবে সেবাদাতা সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি। সূত্র : রয়টার্স।
No comments