মত ও মন্তব্য-নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন গার্মেন্ট শিল্পে by হারুন হাবীব
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প আজ
মহাক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। আগুন ও দালানধসের অভিশাপে শত শত নারী-পুরুষ
নিহত হয়েছে কয়েক বছরে। পঙ্গু, সহায়সম্বলহীন হয়েছে অনেকে।
এরা সবাই গ্রাম থেকে শহরে আসা ভাগ্যবিড়ম্বিত তরুণ-তরুণী, যারা নিজের পায়ে
দাঁড়াতে চেয়েছিল, নিজের শ্রম-ঘামে জীবনের একটা অর্থ খোঁজার চেষ্টা করেছিল।
কিন্তু তাদের বেঁচে থাকার স্বপ্ন বারবার দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে
সাভারের ভয়ংকর ধ্বংসের পর পোশাকশিল্পের ক্রান্তিকাল যেন আরো এক দফা ঘনীভূত
হয়েছে। কিছু মানুষের ক্ষমতা ও অর্থলিপ্সাই এই 'নির্মম হত্যাকাণ্ড'
ঘটিয়েছে- বলার অপেক্ষা রাখে না। এই হত্যাকাণ্ড একদিকে যেমন জাতির বিবেক
জাগিয়ে তুলেছে, একই সঙ্গে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশকে নতুন করে
আলোচনা-সমালোচনায় তুলে এনেছে। প্রশ্ন উঠেছে, সবচেয়ে সস্তা শ্রম দিয়ে যারা
সারা বিশ্বে সস্তা দরে পোশাক সরবরাহ করে, সেই মানুষদের জীবনটাও কি এত
সস্তা! সংগত কারণেই শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং তাদের মজুরির বিষয়টি পশ্চিমা
দেশগুলোতে আলোচনার প্রধান বিষয় আজ। শ্রমিকদের প্রতি অমানবিক আচরণ এবং
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে বিদেশি ক্রেতাদের কেউ কেউ এরই মধ্যে
বাংলাদেশ থেকে পোশাক না কেনার ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু সবাই পিছিয়ে যায়নি। কেউ
কেউ আবার এটিও ভাবতে শুরু করেছে, কিভাবে বাংলাদেশকে সাহায্য করা যায়।
পশ্চিমা বাজারে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধাপ্রাপ্তির বিষয়টিও হুমকিতে পড়েছে
সাভারের ঘটনায়। কাজেই জাতীয় অর্থনীতির প্রধানতম এই খাতকে সামনে এগিয়ে নেওয়া
বড় চ্যালেঞ্জ।
আমার বিশ্বাস, যাঁরা তৈরি পোশাক শিল্পের মালিক বা রপ্তানিকারক, তাঁরা বর্তমান সময়টিকে যথার্থভাবেই মূল্যায়ন করবেন। সস্তা শ্রমের ওপর ভিত্তি করেই প্রতিযোগিতার বাজারে ভালো অবস্থান তৈরি করেছে পোশাক খাত। এ খাতে পুরুষকে ছাড়িয়ে গেছে নারীরা। চল্লিশ লাখ শ্রমিকের মধ্যে ৩২ লাখই নারী। সত্য এই যে, শুধু স্বল্প মজুরির কারণেই এ খাত বেশি লাভজনক। হয়তো এ কারণেই বিত্তবানরা বিনিয়োগে আগ্রহী হন। মালিকরা এটিও জানেন যে শ্রমিকদের বড় অংশই ন্যায্য মজুরি, সুযোগ-সুবিধা বা কর্মপরিবেশ পায় না। এসব কারণেই বারবার ভবনধস ও অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক মানুষের অসহায় প্রাণহানি দেখতে হয়। এর পরও পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি ঘটেছে বলার সুযোগ নেই।
ব্যতিক্রম নিশ্চয়ই আছে; কিছু ফ্যাক্টরি আছে, যেখানে সুযোগ-সুবিধা উন্নতমানের। কিন্তু সার্বিকভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ গার্মেন্ট মালিক সাবেকি ধ্যান-ধারণা নিয়ে আছেন।
পোশাকশিল্পের মান বাড়াতে হলে বিদেশি ক্রেতাদের অবশ্যই পণ্যের ক্রয়মূল্য বাড়াতে হবে, শ্রমিকদের স্বার্থ দেখতে হবে। এর পরও বলব, সাবেকি ধ্যান-ধারণা দিয়ে, সস্তা শ্রম ও শ্রমিকের নিরাপত্তার দিকে নজর না দিয়ে আর চলা যাবে না। বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ মজুরি দিয়ে, শ্রমিকের জন্য উপযুক্ত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করেই গার্মেন্ট শিল্পকে টিকে থাকতে হবে। সস্তা শ্রম নয়; বরং শ্রমিকের সংখ্যা, তাদের ন্যায্য মজুরি, পূর্ণ নিরাপত্তা, দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতাই হবে এ শিল্পের টিকে থাকার প্রধান শর্ত।
এ লক্ষ্যে সরকার এরই মধ্যে কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে। শ্রমবান্ধব একটি আইনেরও খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে। সে আইনে শ্রমিকের ট্রেড ইউনিয়নের সুযোগ, বীমা সুবিধা, চিকিৎসা সুবিধা ইত্যাদি নিশ্চিত করার অঙ্গীকার আছে। পোশাক শ্রমিকদের জন্য এরই মধ্যে নতুন মজুরি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। শ্রমিক অসন্তোষ রোধ করতেও সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। শ্রমিক অসন্তোষ, কারখানা ভাঙচুর ইত্যাদি নিয়ে মালিকদের পক্ষ থেকে বিস্তর অভিযোগ আছে। তাঁরা মনে করেন, এসব কারখানা ভাঙচুরের নৈরাজ্য বেশির ভাগই পরিকল্পিত। বলেন, শ্রমিকদের একটি অংশকে ব্যবহার করে স্বার্থান্বেষী মহল এ খাতকে ধ্বংস করার চেষ্টা চালাচ্ছে। পর্যাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ওই 'ষড়যন্ত্রকারীদের' দিকে অবশ্যই নজর রাখতে হবে। অপরাধীদের আইনের আওতায় নিতে হবে। যেকোনো মূল্যে এ শিল্পকে রক্ষা করতে হবে। মালিক ও শ্রমিক দুই পক্ষকেই শিল্পের স্বার্থ দেখতে হবে। কেউ যদি গোষ্ঠীস্বার্থে শ্রমিকদের উসকে দিতে চান, কারখানায় নাশকতা চালানোর চেষ্টা করেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
মোট কথা, অভিজ্ঞতার আলোকে সংকট উত্তরণের পথ ভাবতে হবে। একই সঙ্গে নতুন করে ভাবতে হবে, যাঁরা তৈরি পোশাকের বিদেশি ক্রেতা, তাঁদেরও। তাঁরাও দায়দায়িত্ব এরিয়ে যেতে পারেন না। কারণ তাঁরাই কম দামে পোশাক বিক্রি করতে সস্তা শ্রমিক খোঁজেন। যতদূর জানি, বর্তমানে একজন শ্রমিক কয়েক ঘণ্টা বাড়তি শ্রম বা 'ওভার টাইম' করার পরও মাসিক মজুরি ৬০ থেকে ৭০ (চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা) ডলারের বেশি পান না। এই সামান্য আয় দিয়ে বাসা ভাড়াসহ জীবিকা নির্বাহ করা সম্ভব হয় না। তাই নিচের স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপগুলো বিবেচনা করা যেতে পারে।
১. শ্রমিকদের স্বার্থে বাস্তবসম্মত নূ্যনতম মজুরি নির্ধারণ করতে হবে, যাতে তাঁরা কিছুটা হলেও স্বাচ্ছন্দ্য লাভ করেন। তাঁদের বেতন-ভাতা নিয়মিত পরিশোধ করতে হবে। ২. শ্রমিকদের চিকিৎসা, নিরাপত্তা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। ৩. কারখানার কর্মর্পরিবেশ, নিরাপত্তা, সুযোগ-সুবিধা ইত্যাদি নিরীক্ষণ করতে একটি যৌথ নিরীক্ষণ কমিটি জরুরি। এই কমিটিতে কারখানার মালিক, শ্রমিক ও সরকারের প্রতিনিধি, এমনকি বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর প্রতিনিধি থাকা প্রয়োজন। ৪. গার্মেন্ট কারখানাগুলোকে রাজধানী ঢাকা বা চট্টগ্রামে কেন্দ্রীভূত না রেখে ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন জেলায় পরিকল্পিতভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে। এতে বর্তমানে কেন্দ্রীভূত স্থানগুলোতে একদিকে যেমন বাসস্থান, যাতায়াতের সংকট কমবে, সেই সঙ্গে নানা জেলায় 'এক্সক্লুসিভ গার্মেন্ট জোন' প্রতিষ্ঠার ফলে স্ব-স্ব এলাকার শ্রমিকরা নিজেদের এলাকায় কম খরচ ও সাশ্রয়ে শ্রম দিতে পারবে।
আমি একজন সাধারণ নাগরিক মাত্র। স্বীকার করি, এসব ব্যাপারে সংশ্লিষ্টরাই বেশি জানবেন। তবে গার্মেন্ট শিল্প নিয়ে যে অনিশ্চয়তা শুরু হয়েছে, তাতে অবশ্যই সুচিন্তিত ও জরুরি মানবিক পদক্ষেপ প্রয়োজন, প্রয়োজন মানসিকতার পরিবর্তন।
লেখক : সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও পর্যবেক্ষক
hh1971@gmail.com
আমার বিশ্বাস, যাঁরা তৈরি পোশাক শিল্পের মালিক বা রপ্তানিকারক, তাঁরা বর্তমান সময়টিকে যথার্থভাবেই মূল্যায়ন করবেন। সস্তা শ্রমের ওপর ভিত্তি করেই প্রতিযোগিতার বাজারে ভালো অবস্থান তৈরি করেছে পোশাক খাত। এ খাতে পুরুষকে ছাড়িয়ে গেছে নারীরা। চল্লিশ লাখ শ্রমিকের মধ্যে ৩২ লাখই নারী। সত্য এই যে, শুধু স্বল্প মজুরির কারণেই এ খাত বেশি লাভজনক। হয়তো এ কারণেই বিত্তবানরা বিনিয়োগে আগ্রহী হন। মালিকরা এটিও জানেন যে শ্রমিকদের বড় অংশই ন্যায্য মজুরি, সুযোগ-সুবিধা বা কর্মপরিবেশ পায় না। এসব কারণেই বারবার ভবনধস ও অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক মানুষের অসহায় প্রাণহানি দেখতে হয়। এর পরও পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি ঘটেছে বলার সুযোগ নেই।
ব্যতিক্রম নিশ্চয়ই আছে; কিছু ফ্যাক্টরি আছে, যেখানে সুযোগ-সুবিধা উন্নতমানের। কিন্তু সার্বিকভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ গার্মেন্ট মালিক সাবেকি ধ্যান-ধারণা নিয়ে আছেন।
পোশাকশিল্পের মান বাড়াতে হলে বিদেশি ক্রেতাদের অবশ্যই পণ্যের ক্রয়মূল্য বাড়াতে হবে, শ্রমিকদের স্বার্থ দেখতে হবে। এর পরও বলব, সাবেকি ধ্যান-ধারণা দিয়ে, সস্তা শ্রম ও শ্রমিকের নিরাপত্তার দিকে নজর না দিয়ে আর চলা যাবে না। বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ মজুরি দিয়ে, শ্রমিকের জন্য উপযুক্ত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করেই গার্মেন্ট শিল্পকে টিকে থাকতে হবে। সস্তা শ্রম নয়; বরং শ্রমিকের সংখ্যা, তাদের ন্যায্য মজুরি, পূর্ণ নিরাপত্তা, দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতাই হবে এ শিল্পের টিকে থাকার প্রধান শর্ত।
এ লক্ষ্যে সরকার এরই মধ্যে কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে। শ্রমবান্ধব একটি আইনেরও খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে। সে আইনে শ্রমিকের ট্রেড ইউনিয়নের সুযোগ, বীমা সুবিধা, চিকিৎসা সুবিধা ইত্যাদি নিশ্চিত করার অঙ্গীকার আছে। পোশাক শ্রমিকদের জন্য এরই মধ্যে নতুন মজুরি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। শ্রমিক অসন্তোষ রোধ করতেও সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। শ্রমিক অসন্তোষ, কারখানা ভাঙচুর ইত্যাদি নিয়ে মালিকদের পক্ষ থেকে বিস্তর অভিযোগ আছে। তাঁরা মনে করেন, এসব কারখানা ভাঙচুরের নৈরাজ্য বেশির ভাগই পরিকল্পিত। বলেন, শ্রমিকদের একটি অংশকে ব্যবহার করে স্বার্থান্বেষী মহল এ খাতকে ধ্বংস করার চেষ্টা চালাচ্ছে। পর্যাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ওই 'ষড়যন্ত্রকারীদের' দিকে অবশ্যই নজর রাখতে হবে। অপরাধীদের আইনের আওতায় নিতে হবে। যেকোনো মূল্যে এ শিল্পকে রক্ষা করতে হবে। মালিক ও শ্রমিক দুই পক্ষকেই শিল্পের স্বার্থ দেখতে হবে। কেউ যদি গোষ্ঠীস্বার্থে শ্রমিকদের উসকে দিতে চান, কারখানায় নাশকতা চালানোর চেষ্টা করেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
মোট কথা, অভিজ্ঞতার আলোকে সংকট উত্তরণের পথ ভাবতে হবে। একই সঙ্গে নতুন করে ভাবতে হবে, যাঁরা তৈরি পোশাকের বিদেশি ক্রেতা, তাঁদেরও। তাঁরাও দায়দায়িত্ব এরিয়ে যেতে পারেন না। কারণ তাঁরাই কম দামে পোশাক বিক্রি করতে সস্তা শ্রমিক খোঁজেন। যতদূর জানি, বর্তমানে একজন শ্রমিক কয়েক ঘণ্টা বাড়তি শ্রম বা 'ওভার টাইম' করার পরও মাসিক মজুরি ৬০ থেকে ৭০ (চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা) ডলারের বেশি পান না। এই সামান্য আয় দিয়ে বাসা ভাড়াসহ জীবিকা নির্বাহ করা সম্ভব হয় না। তাই নিচের স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপগুলো বিবেচনা করা যেতে পারে।
১. শ্রমিকদের স্বার্থে বাস্তবসম্মত নূ্যনতম মজুরি নির্ধারণ করতে হবে, যাতে তাঁরা কিছুটা হলেও স্বাচ্ছন্দ্য লাভ করেন। তাঁদের বেতন-ভাতা নিয়মিত পরিশোধ করতে হবে। ২. শ্রমিকদের চিকিৎসা, নিরাপত্তা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। ৩. কারখানার কর্মর্পরিবেশ, নিরাপত্তা, সুযোগ-সুবিধা ইত্যাদি নিরীক্ষণ করতে একটি যৌথ নিরীক্ষণ কমিটি জরুরি। এই কমিটিতে কারখানার মালিক, শ্রমিক ও সরকারের প্রতিনিধি, এমনকি বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর প্রতিনিধি থাকা প্রয়োজন। ৪. গার্মেন্ট কারখানাগুলোকে রাজধানী ঢাকা বা চট্টগ্রামে কেন্দ্রীভূত না রেখে ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন জেলায় পরিকল্পিতভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে। এতে বর্তমানে কেন্দ্রীভূত স্থানগুলোতে একদিকে যেমন বাসস্থান, যাতায়াতের সংকট কমবে, সেই সঙ্গে নানা জেলায় 'এক্সক্লুসিভ গার্মেন্ট জোন' প্রতিষ্ঠার ফলে স্ব-স্ব এলাকার শ্রমিকরা নিজেদের এলাকায় কম খরচ ও সাশ্রয়ে শ্রম দিতে পারবে।
আমি একজন সাধারণ নাগরিক মাত্র। স্বীকার করি, এসব ব্যাপারে সংশ্লিষ্টরাই বেশি জানবেন। তবে গার্মেন্ট শিল্প নিয়ে যে অনিশ্চয়তা শুরু হয়েছে, তাতে অবশ্যই সুচিন্তিত ও জরুরি মানবিক পদক্ষেপ প্রয়োজন, প্রয়োজন মানসিকতার পরিবর্তন।
লেখক : সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও পর্যবেক্ষক
hh1971@gmail.com
No comments