ভারতে বন্যা-ভূমিধস-হাজারো মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা
ভারতের উত্তরাঞ্চলের হিমালয়লাগোয়া পাহাড়ি
এলাকায় বন্যা ও ভূমিধসে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কর্তৃপক্ষ গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, গত কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টিপাতে
সৃষ্ট হঠাৎ বন্যায় উত্তরাখণ্ড রাজ্যের প্রায় ৯০টি ধর্মশালা (তীর্থযাত্রীদের
থাকার জায়গা) পুরোপুরি ভেসে গেছে।
এসব ধর্মশালায় থাকা কয়েক হাজার তীর্থযাত্রীর গতকাল পর্যন্ত কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। সরকারিভাবে গতকাল পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছিল ১৫০।
আবহাওয়ার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে গতকাল থেকে উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল দুই রাজ্যেই উদ্ধার তৎপরতা জোরালো করা হয়েছে। এতে যোগ দিয়েছে প্রায় ১০ হাজার সেনা। ১৮টি হেলিকপ্টার ও পরিবহন বিমান মোতায়েন করা হয়েছে। এখনো দুর্গত এলাকায় প্রায় ৬৫ হাজার মানুষ আটকা পড়ে আছে। এদের অধিকাংশই আটকা পড়েছে দুর্গম পাহাড়ি এলাকার বিভিন্ন মন্দির ও এর আশপাশ এলাকায়।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও উত্তরাখণ্ডের দুর্যোগ মোকাবিলাবিষয়ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথ মন্দির এলাকা ও এর পাশের রুদ্রপ্রয়াগ জেলার প্রায় ৯০টি ধর্মশালায় বন্যার পানির তোড়ে ভেসে গেছে। এ ছাড়ার রাজ্যের বিভিন্ন অংশের অনেক বাড়িঘর ও রাস্তঘাট ধসে পড়েছে। অনেক সেতু ভেঙে পড়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।
উত্তরাখণ্ডের পুলিশের মহাপরিচালক আর এস মিনা জানান, অনেক গ্রাম পানির নিচে সম্পূর্ণ তলিয়ে গেছে। সেগুলো ঠিকঠাক চেনাই যাচ্ছে না। এই 'মারাত্মক ধ্বংসযজ্ঞের' ফলে এখনই হতাহতের সংখ্যা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি। তবে কেদারনাথ ও বদ্রিনাথের মন্দিরগুলোর পরিচালনা কর্তৃপক্ষের প্রধান গণেশ গোড়িয়াল বলেন, 'আমাদের অনুমান, এক হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে।' কেদারনাথ এলাকার জনপ্রতিনিধি শায়লা রানী রাওয়াতের দাবি, মৃতের সংখ্যা দুই হাজার হবে। রাজ্যের দুর্যোগ মোকাবিলা বিষয়ক কর্তৃপক্ষ অবশ্য ব্যাপারটি নিশ্চিত করেনি। তবে সীমান্তের ওপারে নেপাল অংশে মারা গেছে ৩৯ জন।
মিনা জানান, কেদারনাথ ও গোবিন্দঘাটে আটক পড়া ১৫ হাজারের বেশি তীর্থযাত্রী ও পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে। গত বুধবার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং জানিয়েছিলেন, ১০ হাজারের বেশি মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাদের খাদ্য, কাপড়-চোপড় ও আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তিনি উত্তরাখণ্ডের ত্রাণকাজের জন্য এক হাজার কোটি রুপি বরাদ্দ দেওয়ারও ঘোষণা দেন। নিহত প্রত্যেক ব্যক্তির পরিবারকে দুই লাখ রুপি ও আহত প্রত্যেক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার রুপি দেওয়া হবে। এ ছাড়া যাদের বাড়িঘর সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে তাদের এক লাখ রুপি করে এবং যাদের বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের ৫০ হাজার রুপি করে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
উত্তরাখণ্ডের কয়েকটি জেলা কর্তৃপক্ষ বুধবার যমুনা ও হিন্দোন নদীর পাড়ের আশপাশের ৩০টি গ্রামের জন্য সতর্কতা জারি করে গ্রামবাসীকে নিরাপদে সরে যেতে বলেছে। বুধবার যমুনার পানি বিপৎসীমার ২০৭ দশমিক ২০ মিটারের ওপর দিয়ে বইছিল। ১৯৭৮ সালের পর এটাই সর্বোচ্চ সীমা। আশপাশের গঙ্গা, শারদা, ঘাঙরা, রাপ্তি ও কুয়ানন নদীর পানির স্তর ক্রমেই বাড়ছে। কেদারনাথ ও বদ্রিনাথ মন্দির আগামী তিন বছরের জন্য বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির দুটি বুধবার এক বছরের জন্য বন্ধ রাখার কথা জানানো হয়েছিল। তবে মন্দির কর্তৃপক্ষ গতকাল জানায়, তিন বছরের আগে সেখানে তীর্থযাত্রীদের নিয়ে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু করা সম্ভব হবে না। সূত্র : পিটিআই, জিনিউজ।
আবহাওয়ার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে গতকাল থেকে উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল দুই রাজ্যেই উদ্ধার তৎপরতা জোরালো করা হয়েছে। এতে যোগ দিয়েছে প্রায় ১০ হাজার সেনা। ১৮টি হেলিকপ্টার ও পরিবহন বিমান মোতায়েন করা হয়েছে। এখনো দুর্গত এলাকায় প্রায় ৬৫ হাজার মানুষ আটকা পড়ে আছে। এদের অধিকাংশই আটকা পড়েছে দুর্গম পাহাড়ি এলাকার বিভিন্ন মন্দির ও এর আশপাশ এলাকায়।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও উত্তরাখণ্ডের দুর্যোগ মোকাবিলাবিষয়ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথ মন্দির এলাকা ও এর পাশের রুদ্রপ্রয়াগ জেলার প্রায় ৯০টি ধর্মশালায় বন্যার পানির তোড়ে ভেসে গেছে। এ ছাড়ার রাজ্যের বিভিন্ন অংশের অনেক বাড়িঘর ও রাস্তঘাট ধসে পড়েছে। অনেক সেতু ভেঙে পড়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।
উত্তরাখণ্ডের পুলিশের মহাপরিচালক আর এস মিনা জানান, অনেক গ্রাম পানির নিচে সম্পূর্ণ তলিয়ে গেছে। সেগুলো ঠিকঠাক চেনাই যাচ্ছে না। এই 'মারাত্মক ধ্বংসযজ্ঞের' ফলে এখনই হতাহতের সংখ্যা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি। তবে কেদারনাথ ও বদ্রিনাথের মন্দিরগুলোর পরিচালনা কর্তৃপক্ষের প্রধান গণেশ গোড়িয়াল বলেন, 'আমাদের অনুমান, এক হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে।' কেদারনাথ এলাকার জনপ্রতিনিধি শায়লা রানী রাওয়াতের দাবি, মৃতের সংখ্যা দুই হাজার হবে। রাজ্যের দুর্যোগ মোকাবিলা বিষয়ক কর্তৃপক্ষ অবশ্য ব্যাপারটি নিশ্চিত করেনি। তবে সীমান্তের ওপারে নেপাল অংশে মারা গেছে ৩৯ জন।
মিনা জানান, কেদারনাথ ও গোবিন্দঘাটে আটক পড়া ১৫ হাজারের বেশি তীর্থযাত্রী ও পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে। গত বুধবার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং জানিয়েছিলেন, ১০ হাজারের বেশি মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাদের খাদ্য, কাপড়-চোপড় ও আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তিনি উত্তরাখণ্ডের ত্রাণকাজের জন্য এক হাজার কোটি রুপি বরাদ্দ দেওয়ারও ঘোষণা দেন। নিহত প্রত্যেক ব্যক্তির পরিবারকে দুই লাখ রুপি ও আহত প্রত্যেক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার রুপি দেওয়া হবে। এ ছাড়া যাদের বাড়িঘর সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে তাদের এক লাখ রুপি করে এবং যাদের বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের ৫০ হাজার রুপি করে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
উত্তরাখণ্ডের কয়েকটি জেলা কর্তৃপক্ষ বুধবার যমুনা ও হিন্দোন নদীর পাড়ের আশপাশের ৩০টি গ্রামের জন্য সতর্কতা জারি করে গ্রামবাসীকে নিরাপদে সরে যেতে বলেছে। বুধবার যমুনার পানি বিপৎসীমার ২০৭ দশমিক ২০ মিটারের ওপর দিয়ে বইছিল। ১৯৭৮ সালের পর এটাই সর্বোচ্চ সীমা। আশপাশের গঙ্গা, শারদা, ঘাঙরা, রাপ্তি ও কুয়ানন নদীর পানির স্তর ক্রমেই বাড়ছে। কেদারনাথ ও বদ্রিনাথ মন্দির আগামী তিন বছরের জন্য বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির দুটি বুধবার এক বছরের জন্য বন্ধ রাখার কথা জানানো হয়েছিল। তবে মন্দির কর্তৃপক্ষ গতকাল জানায়, তিন বছরের আগে সেখানে তীর্থযাত্রীদের নিয়ে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু করা সম্ভব হবে না। সূত্র : পিটিআই, জিনিউজ।
No comments