শ্রমিক আমদানিতে স্পন্সরশিপ বাতিল করছে কুয়েত

কুয়েতে শ্রমিক আমদানি ও নিয়োগের ক্ষমতা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের হাতে আর থাকছে না। সমাজসেবা ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের (এমএসএএল) অধীনে একটি বিভাগ প্রতিষ্ঠা করে তাদের হাতে এ দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।
মূলত ভিসা জালিয়াতি ও অদক্ষ শ্রমিক আমদানি ঠেকাতে এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম গতকাল বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছে।
কুয়েতে বেসরকারি খাতে শ্রমিক নিয়োগের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে বিদেশ থেকে শ্রমিক আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়ে থাকে। এ প্রতিষ্ঠানগুলো বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ, কাজের অনুমতি (ওয়ার্ক পারমিট) ও তাদের ভিসা দেওয়ার ব্যবস্থা করে থাকে। কিন্তু বিগত দিনগুলোতে শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে নানা অনিয়ম ধরা পড়ে। প্রতিষ্ঠানগুলো শ্রমিক আমদানির নামে অদক্ষ লোকদের কাছে ভিসা বিক্রি করে আসছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
এমএসএএলের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে কুয়েত টাইমস পত্রিকা জানায়, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রমিক স্পন্সর সিস্টেম তুলে দেওয়া হচ্ছে। মন্ত্রণালয় শ্রমবিষয়ক আলাদা একটি সংস্থা সৃষ্টি করবে। এ প্রতিষ্ঠান শ্রমিক নিয়োগ, আমদানি, শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোসহ বেসরকারি খাতের শ্রমসংক্রান্ত সব বিষয় দেখবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ''বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের স্পন্সরশিপ (শ্রমিক জামিনদার) ব্যবস্থা তুলে দেওয়া হবে। এর জায়গায় এমন ব্যবস্থা দাঁড় করানো হবে, যাতে বিদেশি শ্রমিকদের সব বিষয় দেখার দায়িত্ব থাকবে এমএসএএলের। স্পন্সরশিপ বা 'কাফালা' ব্যবস্থায় আইনের অনেক ফাঁকফোকর আছে। প্রতিষ্ঠানগুলো শ্রমিক আমদানির ব্যাপারে এসব ফাঁকফোকর ব্যবহার করছে। তারা বিভিন্ন ভুয়া কম্পানির নামে বিদেশি অদক্ষ কর্মীদের নিয়োগ দিয়ে তাদের কাছে ভিসা বিক্রি করে থাকে। ওই ভিসায় লোকগুলো কুয়েত আসে।" সূত্র : পিটিআই।



No comments

Powered by Blogger.