এ বিপর্যয়ের দায় মানুষেরই by সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রকৃতির রোষ অবশ্যই, কিন্তু উত্তর ভারতের
ভয়ংকর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পেছনের কারণ যে মানুষই, সেই অভিমত বা দাবি
ক্রমশই জোরালো হচ্ছে। দেশের পরিবেশবিদেরা একযোগে বলতে শুরু করেছেন,
প্রকৃতিকে উপেক্ষা করে উন্নয়নের নামে যা চলছে, প্রকৃতি তারই শোধ তুলেছে।
ভারতের
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে গতকাল বৃহস্পতিবার এই বিপর্যয় নিয়ে আলোচনার
সময় লাগামছাড়া প্রকৃতি-নিধন বন্ধ করা নিয়েও কথা হয়। পরিবেশবিদদের অভিমত,
এখনই রাশ না টানলে হিমালয়কে রক্ষা করা কঠিন হবে।
নদীবিশেষজ্ঞ কল্যাণ রুদ্র প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘এ দেশের উন্নয়নের মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘লজিক অব প্রফিট’। অর্থাৎ, পরিবেশ, প্রকৃতি চুলোয় যাক, প্রকল্পটা লাভজনক হচ্ছে কি না, সেটাই আসল কথা। এই মনোভাবের জন্য নদীর পাড়ে পাড়ে দেদার বাড়ি, হোটেল তৈরি হয়েছে, যথেচ্ছ গাছ কাটা হয়েছে, নদীর গতিপথ বদলে তৈরি হচ্ছে একের পর এক জলবিদ্যুৎকেন্দ্র। প্রকৃতি শোধ নেবে না?
একই অভিমত উত্তরাখন্ডের প্রবীণ পরিবেশবিদ স্বামী জ্ঞানস্বরূপ ও সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের (সিএসই) ডিরেক্টর জেনারেল সুনীতা নারায়ণের। সুনীতার মতে, গোটা পার্বত্য অঞ্চলে কোথাও কোনো বিজ্ঞানভিত্তিক পরিকল্পনা নেই। সরকার স্রেফ দর্শক সেজে থাকছে।
স্বামী জ্ঞানস্বরূপও এই বিপর্যয়ের জন্য সরকারকে প্রধান দায়ী করে বলেছেন, উত্তরাখন্ডে অলকনন্দা ও মন্দাকিনীর ধারে অন্তত ৭০টা ছোট-বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প হয়েছে ও হচ্ছে। পরিবেশবিদদের দাবি ও অভিযোগের সত্যতা ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) রিপোর্টেও স্পষ্ট। সেই অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে বলা হয়েছে, গোটা হিমালয়জুড়েই নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ নষ্ট করা হয়েছে। সিএসইর রিপোর্টে পরিবহনজনিত দূষণের ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, ২০০৫ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত যানবাহনের সংখ্যা তিন গুণ বেড়ে গেছে।
কল্যাণ রুদ্রর মতে, গোটা উপমহাদেশই সার্বিকভাবে এক অকল্পনীয় বিপর্যয়ের প্রতীক্ষায় রয়েছে। এখনই সজাগ না হলে যেকোনো দিন তা ঘটে যাবে।
নদীবিশেষজ্ঞ কল্যাণ রুদ্র প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘এ দেশের উন্নয়নের মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘লজিক অব প্রফিট’। অর্থাৎ, পরিবেশ, প্রকৃতি চুলোয় যাক, প্রকল্পটা লাভজনক হচ্ছে কি না, সেটাই আসল কথা। এই মনোভাবের জন্য নদীর পাড়ে পাড়ে দেদার বাড়ি, হোটেল তৈরি হয়েছে, যথেচ্ছ গাছ কাটা হয়েছে, নদীর গতিপথ বদলে তৈরি হচ্ছে একের পর এক জলবিদ্যুৎকেন্দ্র। প্রকৃতি শোধ নেবে না?
একই অভিমত উত্তরাখন্ডের প্রবীণ পরিবেশবিদ স্বামী জ্ঞানস্বরূপ ও সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের (সিএসই) ডিরেক্টর জেনারেল সুনীতা নারায়ণের। সুনীতার মতে, গোটা পার্বত্য অঞ্চলে কোথাও কোনো বিজ্ঞানভিত্তিক পরিকল্পনা নেই। সরকার স্রেফ দর্শক সেজে থাকছে।
স্বামী জ্ঞানস্বরূপও এই বিপর্যয়ের জন্য সরকারকে প্রধান দায়ী করে বলেছেন, উত্তরাখন্ডে অলকনন্দা ও মন্দাকিনীর ধারে অন্তত ৭০টা ছোট-বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্প হয়েছে ও হচ্ছে। পরিবেশবিদদের দাবি ও অভিযোগের সত্যতা ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) রিপোর্টেও স্পষ্ট। সেই অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে বলা হয়েছে, গোটা হিমালয়জুড়েই নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ নষ্ট করা হয়েছে। সিএসইর রিপোর্টে পরিবহনজনিত দূষণের ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, ২০০৫ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত যানবাহনের সংখ্যা তিন গুণ বেড়ে গেছে।
কল্যাণ রুদ্রর মতে, গোটা উপমহাদেশই সার্বিকভাবে এক অকল্পনীয় বিপর্যয়ের প্রতীক্ষায় রয়েছে। এখনই সজাগ না হলে যেকোনো দিন তা ঘটে যাবে।
No comments