নখদন্তহীন দুদক!কার্যকর ও শক্তিশালী করার ব্যবস্থা নিন
চার বছর আগে দায়িত্ব নেওয়ার সময় যা
বলেছিলেন, বিদায়বেলাতেও সেই কথা প্রতিধ্বনিত হলো দুদক চেয়ারম্যানের মুখে।
প্রতিষ্ঠান হিসেবে দুদক যে শক্তিশালী ও কার্যকর হতে পারেনি, সে কথা স্বীকার
করে নিলেন।
যে প্রতিষ্ঠানটির কাছে দেশের মানুষের সবচেয়ে
বেশি আশা ছিল, সেই দুদক কার্যকর ও শক্তিশালী না হওয়ার কারণও উল্লেখ করেছেন
বিদায়ী চেয়ারম্যান।
দুর্নীতিতে বারবার চ্যাম্পিয়ন হওয়া বাংলাদেশে দুদকের মতো একটি প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। সেই প্রয়োজনীয়তা থেকেই প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু। কিন্তু দুর্নীতি দমনে কতটুকু কার্যকর ভূমিকা রাখতে পেরেছে দুদক- এ প্রশ্নটাই এখন সবচেয়ে বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। এমন প্রশ্ন দেখা দিলে আরেকটি প্রশ্ন সামনে এসে দাঁড়ায়। তা হচ্ছে, দুদক কেন কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না। দুদকের কার্যকর ভূমিকা রাখতে না পারার নেপথ্য কারণ হিসেবে অনেক কিছুই বলা যেতে পারে। প্রথমত ধরে নেওয়া যেতে পারে, প্রতিষ্ঠানটিকে কার্যকর করে তোলার ক্ষেত্রে আন্তরিকতার অভাব ছিল। নামে স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হলেও একে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হয়নি। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজস্ব আইনে চলার কথা থাকলেও দুদক চলতে পেরেছে বা পারছে কি না, সেটা বিবেচনার দাবি রাখে।
দুদক চেয়ারম্যান স্পষ্টভাবেই বলেছেন, চার বছর আগে তিনি যখন প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্ব নিয়েছিলেন, তখন এটা ছিল নখদন্তহীন বাঘ। চার বছরে সে অবস্থার উন্নতি হয়েছে, এমন দাবিও তিনি করেননি। এর কারণ হিসেবে তিনি 'আইনগত সীমাবদ্ধতা ও বিচারব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রতার' কথা উল্লেখ করেছেন। হলমার্কের ঋণ জালিয়াতি, রেলের নিয়োগ-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ঘটনার তদন্ত শুরু হলেও এর একটি ঘটনারও চূড়ান্ত বিচার হয়নি। পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি ষড়যন্ত্রের তদন্ত দুদক করলেও তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। দুদকের চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর উপলব্ধি প্রণিধানযোগ্য। দেশের দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষদের শাস্তি হয়েছে, এমনটি দেখে যেতে পারেননি, এমন আক্ষেপও রয়ে গেছে তাঁর। এর পরও তিনি আশাবাদী এই ভেবে যে দুদক দেশের মানুষের মনে একটি আশার জায়গা তৈরি করতে পেরেছে।
দুদককে নিয়ে দেশের মানুষের মধ্যে আশাবাদ ছিল, কিন্তু সেই আশার জায়গাটিতে নৈরাশ্য দেখা দেওয়া অস্বাভাবিক নয়। দুদককে সত্যিকার অর্থে কার্যকর ও শক্তিশালী না করলে দেশ থেকে দুর্নীতি দূর করা যাবে না বলে আমরা মনে করি।
দুর্নীতিতে বারবার চ্যাম্পিয়ন হওয়া বাংলাদেশে দুদকের মতো একটি প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। সেই প্রয়োজনীয়তা থেকেই প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু। কিন্তু দুর্নীতি দমনে কতটুকু কার্যকর ভূমিকা রাখতে পেরেছে দুদক- এ প্রশ্নটাই এখন সবচেয়ে বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। এমন প্রশ্ন দেখা দিলে আরেকটি প্রশ্ন সামনে এসে দাঁড়ায়। তা হচ্ছে, দুদক কেন কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না। দুদকের কার্যকর ভূমিকা রাখতে না পারার নেপথ্য কারণ হিসেবে অনেক কিছুই বলা যেতে পারে। প্রথমত ধরে নেওয়া যেতে পারে, প্রতিষ্ঠানটিকে কার্যকর করে তোলার ক্ষেত্রে আন্তরিকতার অভাব ছিল। নামে স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হলেও একে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হয়নি। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজস্ব আইনে চলার কথা থাকলেও দুদক চলতে পেরেছে বা পারছে কি না, সেটা বিবেচনার দাবি রাখে।
দুদক চেয়ারম্যান স্পষ্টভাবেই বলেছেন, চার বছর আগে তিনি যখন প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্ব নিয়েছিলেন, তখন এটা ছিল নখদন্তহীন বাঘ। চার বছরে সে অবস্থার উন্নতি হয়েছে, এমন দাবিও তিনি করেননি। এর কারণ হিসেবে তিনি 'আইনগত সীমাবদ্ধতা ও বিচারব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রতার' কথা উল্লেখ করেছেন। হলমার্কের ঋণ জালিয়াতি, রেলের নিয়োগ-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ঘটনার তদন্ত শুরু হলেও এর একটি ঘটনারও চূড়ান্ত বিচার হয়নি। পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি ষড়যন্ত্রের তদন্ত দুদক করলেও তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। দুদকের চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর উপলব্ধি প্রণিধানযোগ্য। দেশের দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষদের শাস্তি হয়েছে, এমনটি দেখে যেতে পারেননি, এমন আক্ষেপও রয়ে গেছে তাঁর। এর পরও তিনি আশাবাদী এই ভেবে যে দুদক দেশের মানুষের মনে একটি আশার জায়গা তৈরি করতে পেরেছে।
দুদককে নিয়ে দেশের মানুষের মধ্যে আশাবাদ ছিল, কিন্তু সেই আশার জায়গাটিতে নৈরাশ্য দেখা দেওয়া অস্বাভাবিক নয়। দুদককে সত্যিকার অর্থে কার্যকর ও শক্তিশালী না করলে দেশ থেকে দুর্নীতি দূর করা যাবে না বলে আমরা মনে করি।
No comments