রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সচল যন্ত্রপাতি, অচল সেবা by আরিফুল হক
অনৈতিক সুবিধা নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালের চিকিৎসকেরা এখনো রোগীদের বাইরের রোগ নির্ণয় কেন্দ্র থেকে
পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরামর্শ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সরকারি
এ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রায় অর্ধেক রোগী হাসপাতালের বাইরের রোগ
নির্ণয় কেন্দ্র থেকে পরীক্ষা করে থাকেন। বাইরে পরীক্ষা করাতে গিয়ে
রোগীদের দ্বিগুণ থেকে চার গুণ অর্থ বেশি গুনতে হচ্ছে।
এ নিয়ে ২০১১ সালের ৬ ডিসেম্বর প্রথম আলোতে ‘রংপুর মেডিকেল কলেজ: সরকারি হাসপাতালে রোগ নির্ণয় করে ডায়াগনস্টিক সেন্টার!’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
ওই সময় রোগনির্ণয়ের বেশির ভাগ যন্ত্রপাতি বিকল ছিল। সেই অজুহাতে চিকিৎসকেরা রোগীদের বাইরে পাঠাতেন। এখন হাসপাতালে রোগনির্ণয়ের প্রায় সব ধরনের আধুনিক যন্ত্রপাতি থাকা সত্ত্বেও অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি।
হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তর থেকে জানা গেছে, মাথা, হাড় এবং কোমড়ের পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে রয়েছে আধুনিক এমআরআই যন্ত্র। মাথার জটিল রোগ নির্ণয়ের জন্য রয়েছে সিটিস্ক্যান যন্ত্র। রয়েছে ছয় চ্যানেলের একাধিক আধুনিক ইসিজি যন্ত্র। এ ছাড়া রয়েছে ডিজিটাল এক্স-রে যন্ত্র। প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার জন্য রয়েছে ইউরিন ল্যাব অটোমেশন, এক্সপান্ড ২০০০ ও ব্লাড গ্যাস অ্যানালাইজার।
রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা জানান, চিকিৎসকেরা কোন রোগ নির্ণয় কেন্দ্রে কী পরীক্ষা করাতে হবে তা সাদা কাগজে লিখে দিচ্ছেন। ওই কাগজে কৌশলগত কারণে চিকিৎসকেরা তাঁদের নাম লিখেন না। রংপুরের হারাগাছের ফারুক মিয়া (৩৮) গত ৪ জুন হাসপাতালের নিউরো মেডিসিন বিভাগের সাত নম্বর শয্যায় ভর্তি হন। এরপর তাঁকে বাইরে থেকে এমআরআই পরীক্ষা করতে হয়েছে। এতে তাঁর খরচ পড়েছে সাড়ে ছয় হাজার টাকা। হাসপাতালে এ পরীক্ষা করাতে লাগে তিন হাজার টাকা। তিনি বলেন, ‘এই হাসপাতালোত এতো ভালো যন্ত্র থাকার পরও বাইরোত থাকি টেস্ট করা লাগেছে।’
১১ জুন নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার কুলিরহাট গ্রামের আনারুল ইসলাম (৪৫) নিউরোমেডিসিন বিভাগের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের এন-৮ নম্বর শয্যায় ভর্তি হন। ওই দিনই তাঁকে সাড়ে তিন হাজার টাকায় বাইরে থেকে সিটিস্ক্যান করাতে হয়েছে। অথচ হাসপাতালে এই পরীক্ষায় ব্যয় হতো দুই হাজার টাকা।
রোগীদের অভিযোগ, একশ্রেণীর চিকিৎসক অবৈধ সুবিধা নিতে দালাল চক্রের সহায়তায় রোগীদের বাইরে থেকে রোগ নির্ণয় করাচ্ছেন। ১৯ জুন হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লিটন মিয়া হাসপাতালের হূদেরাগ ওয়ার্ড থেকে রোগীদের রক্ত সংগ্রহ করছেন। লিটন মিয়া বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে ফোন দিয়ে রক্ত সংগ্রহের জন্য ডাকা হয়। তাই এসেছি।’
প্যাথলজি বিভাগের প্রধান আফরোজা বলেন, রক্ত, মলমূত্রসহ নানা ধরনের পরীক্ষার ব্যবস্থা এই হাসপাতালেই আছে। এখানে খরচও অনেক কম পড়ে। কিন্তু এর পরও কেন রোগীদের বাইরে থেকে পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা তো আমারও প্রশ্ন।’ রেডিওলজি বিভাগের প্রধান আলতাফ হোসেন বলেন, আধুনিক এক্স-রে যন্ত্র থাকা সত্ত্বেও কেন যে বাইরে থেকে এ পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেওয়া হয় তা তাঁর বোধগম্য নয়।
যোগাযোগ করা হলে হাসপাতালের পরিচালক গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘সবার সহযোগিতা না পেলে আমারই বা কী করার আছে। হাসপাতালে আধুনিক যন্ত্র থাকার পরও কেন রোগীদের বাইরে থেকে পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, তা অনেকটাই স্পষ্ট।’
এ নিয়ে ২০১১ সালের ৬ ডিসেম্বর প্রথম আলোতে ‘রংপুর মেডিকেল কলেজ: সরকারি হাসপাতালে রোগ নির্ণয় করে ডায়াগনস্টিক সেন্টার!’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
ওই সময় রোগনির্ণয়ের বেশির ভাগ যন্ত্রপাতি বিকল ছিল। সেই অজুহাতে চিকিৎসকেরা রোগীদের বাইরে পাঠাতেন। এখন হাসপাতালে রোগনির্ণয়ের প্রায় সব ধরনের আধুনিক যন্ত্রপাতি থাকা সত্ত্বেও অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি।
হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তর থেকে জানা গেছে, মাথা, হাড় এবং কোমড়ের পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে রয়েছে আধুনিক এমআরআই যন্ত্র। মাথার জটিল রোগ নির্ণয়ের জন্য রয়েছে সিটিস্ক্যান যন্ত্র। রয়েছে ছয় চ্যানেলের একাধিক আধুনিক ইসিজি যন্ত্র। এ ছাড়া রয়েছে ডিজিটাল এক্স-রে যন্ত্র। প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার জন্য রয়েছে ইউরিন ল্যাব অটোমেশন, এক্সপান্ড ২০০০ ও ব্লাড গ্যাস অ্যানালাইজার।
রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা জানান, চিকিৎসকেরা কোন রোগ নির্ণয় কেন্দ্রে কী পরীক্ষা করাতে হবে তা সাদা কাগজে লিখে দিচ্ছেন। ওই কাগজে কৌশলগত কারণে চিকিৎসকেরা তাঁদের নাম লিখেন না। রংপুরের হারাগাছের ফারুক মিয়া (৩৮) গত ৪ জুন হাসপাতালের নিউরো মেডিসিন বিভাগের সাত নম্বর শয্যায় ভর্তি হন। এরপর তাঁকে বাইরে থেকে এমআরআই পরীক্ষা করতে হয়েছে। এতে তাঁর খরচ পড়েছে সাড়ে ছয় হাজার টাকা। হাসপাতালে এ পরীক্ষা করাতে লাগে তিন হাজার টাকা। তিনি বলেন, ‘এই হাসপাতালোত এতো ভালো যন্ত্র থাকার পরও বাইরোত থাকি টেস্ট করা লাগেছে।’
১১ জুন নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার কুলিরহাট গ্রামের আনারুল ইসলাম (৪৫) নিউরোমেডিসিন বিভাগের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের এন-৮ নম্বর শয্যায় ভর্তি হন। ওই দিনই তাঁকে সাড়ে তিন হাজার টাকায় বাইরে থেকে সিটিস্ক্যান করাতে হয়েছে। অথচ হাসপাতালে এই পরীক্ষায় ব্যয় হতো দুই হাজার টাকা।
রোগীদের অভিযোগ, একশ্রেণীর চিকিৎসক অবৈধ সুবিধা নিতে দালাল চক্রের সহায়তায় রোগীদের বাইরে থেকে রোগ নির্ণয় করাচ্ছেন। ১৯ জুন হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লিটন মিয়া হাসপাতালের হূদেরাগ ওয়ার্ড থেকে রোগীদের রক্ত সংগ্রহ করছেন। লিটন মিয়া বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে ফোন দিয়ে রক্ত সংগ্রহের জন্য ডাকা হয়। তাই এসেছি।’
প্যাথলজি বিভাগের প্রধান আফরোজা বলেন, রক্ত, মলমূত্রসহ নানা ধরনের পরীক্ষার ব্যবস্থা এই হাসপাতালেই আছে। এখানে খরচও অনেক কম পড়ে। কিন্তু এর পরও কেন রোগীদের বাইরে থেকে পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা তো আমারও প্রশ্ন।’ রেডিওলজি বিভাগের প্রধান আলতাফ হোসেন বলেন, আধুনিক এক্স-রে যন্ত্র থাকা সত্ত্বেও কেন যে বাইরে থেকে এ পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেওয়া হয় তা তাঁর বোধগম্য নয়।
যোগাযোগ করা হলে হাসপাতালের পরিচালক গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘সবার সহযোগিতা না পেলে আমারই বা কী করার আছে। হাসপাতালে আধুনিক যন্ত্র থাকার পরও কেন রোগীদের বাইরে থেকে পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, তা অনেকটাই স্পষ্ট।’
No comments