দারিদ্র্য ও অপুষ্টিবিরোধী কার্যক্রম জোরদার হোক সাফল্যের স্বীকৃতি
ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও অপুষ্টি দূর করতে
বাংলাদেশের অগ্রগতি সারা বিশ্বেই প্রশংসিত। এই সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে
সম্প্রতি জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) আরও ২০টি দেশের সঙ্গে
বাংলাদেশকে পুরস্কারে ভূষিত করেছে।
এটি নিঃসন্দেহে আনন্দের বিষয়। এ জন্য সরকার ধন্যবাদ পেতে পারে।
জাতিসংঘ সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০১৫ সালের মধ্যে চরম দরিদ্র মানুষের সংখ্য অর্ধেকে নামিয়ে আনা। সময়সীমার তিন বছর আগেই বাংলাদেশ সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। ১৯৯০-৯২ সালে বাংলাদেশে চরম দরিদ্র লোকের সংখ্যা ছিল তিন কোটি ৭২ লাখ। ২০১২ সালে এই সংখ্যা হয়েছে দুই কোটি ৫৩ লাখ (ইতিমধ্যে জনসংখ্যাও বেড়েছে)। শতকরা হিসাবে চরম দারিদ্র্য ৩৭ দশমিক ৬ থেকে ১৬ দশমিক ৮-এ আনা সম্ভব হয়েছে।
অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন বাংলাদেশের মানবসম্পদ উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। এফএওর পুরস্কার নিশ্চয়ই আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ মানবসম্পদ উন্নয়নের অন্যান্য সূচকেও বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি আছে। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনা করলে আমরা অনেক ক্ষেত্রেই এগিয়ে আছি।
তবে আমাদের এখানে থেমে থাকলে চলবে না। আরও অনেক দূর যেতে হবে। যত দিন বাংলাদেশে একজন নাগরিক বা একটি শিশুও দারিদ্র্য ও অপুষ্টির শিকার হবে, তত দিন দারিদ্র্যবিরোধী কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। প্রত্যেক মানুষের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান ও শিক্ষা পাওয়ার যে মৌলিক অধিকার, তা নিশ্চিত করতে হবে।
তাই জাতিসংঘের লক্ষ্য অর্জন কিংবা এফএওর পুরস্কারপ্রাপ্তিতে আত্মসন্তুষ্টির সুযোগ নেই। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা হতে হবে দারিদ্র্য বা অতিদারিদ্র্য অর্ধেক নয়, শূন্যে নামিয়ে আনা। আর এ জন্য চাই টেকসই পরিকল্পনা এবং তা বাস্তবায়নের দৃঢ় প্রত্যয়।
বর্তমান সরকারের আমলে কৃষি, শিক্ষা, জনস্বাস্থ্যসহ অনেক ক্ষেত্রে যেমন প্রভূত উন্নতি আছে, তেমনি এসব ক্ষেত্রে আছে দুর্নীতি ও অনিয়মের গুরুতর অভিযোগও। সেগুলো বন্ধ করতে যদি সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নিত, তাহলে মানব উন্নয়নের সূচক আরও ঊর্ধ্বমুখী হতো।
জাতিসংঘ সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০১৫ সালের মধ্যে চরম দরিদ্র মানুষের সংখ্য অর্ধেকে নামিয়ে আনা। সময়সীমার তিন বছর আগেই বাংলাদেশ সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। ১৯৯০-৯২ সালে বাংলাদেশে চরম দরিদ্র লোকের সংখ্যা ছিল তিন কোটি ৭২ লাখ। ২০১২ সালে এই সংখ্যা হয়েছে দুই কোটি ৫৩ লাখ (ইতিমধ্যে জনসংখ্যাও বেড়েছে)। শতকরা হিসাবে চরম দারিদ্র্য ৩৭ দশমিক ৬ থেকে ১৬ দশমিক ৮-এ আনা সম্ভব হয়েছে।
অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন বাংলাদেশের মানবসম্পদ উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। এফএওর পুরস্কার নিশ্চয়ই আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ মানবসম্পদ উন্নয়নের অন্যান্য সূচকেও বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি আছে। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনা করলে আমরা অনেক ক্ষেত্রেই এগিয়ে আছি।
তবে আমাদের এখানে থেমে থাকলে চলবে না। আরও অনেক দূর যেতে হবে। যত দিন বাংলাদেশে একজন নাগরিক বা একটি শিশুও দারিদ্র্য ও অপুষ্টির শিকার হবে, তত দিন দারিদ্র্যবিরোধী কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। প্রত্যেক মানুষের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান ও শিক্ষা পাওয়ার যে মৌলিক অধিকার, তা নিশ্চিত করতে হবে।
তাই জাতিসংঘের লক্ষ্য অর্জন কিংবা এফএওর পুরস্কারপ্রাপ্তিতে আত্মসন্তুষ্টির সুযোগ নেই। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা হতে হবে দারিদ্র্য বা অতিদারিদ্র্য অর্ধেক নয়, শূন্যে নামিয়ে আনা। আর এ জন্য চাই টেকসই পরিকল্পনা এবং তা বাস্তবায়নের দৃঢ় প্রত্যয়।
বর্তমান সরকারের আমলে কৃষি, শিক্ষা, জনস্বাস্থ্যসহ অনেক ক্ষেত্রে যেমন প্রভূত উন্নতি আছে, তেমনি এসব ক্ষেত্রে আছে দুর্নীতি ও অনিয়মের গুরুতর অভিযোগও। সেগুলো বন্ধ করতে যদি সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নিত, তাহলে মানব উন্নয়নের সূচক আরও ঊর্ধ্বমুখী হতো।
No comments