অনলাইন থেকে-গোপন কূটনীতি
কয়েক মাসব্যাপী দৌড়ঝাঁপ করে ইসলামাবাদ ও
ওয়াশিংটন গোপন সমঝোতার মাধ্যমে একটি রোডম্যাপ প্রস্তুত করেছে, যার মাধ্যমে
পাঁচজন আফগান তালেবানের গুয়ানতানামো বে থেকে মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হবে
এবং বিনিময়ে তালেবানের হাতে আটক যুক্তরাষ্ট্রের সেনা সদস্য বো বার্গদালকে
ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
কাতারের রাজধানী দোহায় তালেবানের অনলাইন
খোলা নিয়ে যখন সারা বিশ্বের কাগজে শিরোনাম তৈরি হলো, উচ্চ পর্যায়ের
কূটনীতিক, সেনাবাহিনী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে
সাক্ষাৎকার থেকে এটা বের হয়ে এসেছে যে এ অফিস একটি জটিল কার্য সম্পাদনের
স্থান এবং এর শেষ পর্যন্ত লক্ষ্য আফগানিস্তানের সংবিধানে পরিবর্তন এনে
দেশটির সব পক্ষের মধ্যে সমন্বয় করে নির্বাচন প্রক্রিয়া তৈরি করা।
এ প্রক্রিয়ার একটি বড় বিষয় হলো, মোল্লা মোহাম্মদ ওমরের নেতৃত্বাধীন তালেবানের সঙ্গে মিটমাট। এ ছাড়া তালেবান ও নন-পশতুন গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে আলোচনা, আমেরিকার বের হয়ে যাওয়ার পর একটি সাংবিধানিক কাঠামোর ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছা, ক্রমান্বয়ে হামলা কমিয়ে আনা এ প্রক্রিয়ারই অংশ।
এ ব্যাপারে কারো কোনো সন্দেহ নেই যে এ প্রক্রিয়া পিচ্ছিল এবং এর কোনো নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু বিভিন্ন সূত্র মনে করে, মিডিয়ার চোখ ফাঁকি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে দৃষ্টিভঙ্গির জায়গায় অস্বাভাবিকভাবে একই সরলরেখায় শক্তভাবে উপনীত হওয়াটা একটি সুযোগ করে দিয়েছে বন্ধ্যত্ব দূর করার ক্ষেত্রে।
দুই পক্ষই মোল্লা ওমরের নেতৃত্বাধীন তালেবানকে কেন্দ্র করে আলোচনা আঁকড়ে ধরেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তালেবান সমস্যা নিয়ে তিনটি সমাধানের চিন্তা ছিল আমেরিকার। প্রথমটি হলো আলফা সমাধান। সেটি হলো তালেবানকে পরাজিত করে আনুগত্য প্রকাশে বাধ্য করা এবং তাদের যুদ্ধ করার ক্ষমতা স্থায়ীভাবে দমন করা। সেটা ব্যর্থ হয়েছে। দ্বিতীয়টি হলো ব্র্যাভো সমাধান। তা হলো, তাদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে আফগানিস্তানের নতুন বাস্তবতা মেনে নিতে বাধ্য করা; যেমন বর্তমান আফগান সংবিধান ও প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের নেতৃত্ব মেনে নিতে বাধ্য করা। সেটিও কাজে আসেনি। আর তৃতীয়টি হলো চার্লি সমাধান। এটি হলো আফগানিস্তানে তালেবানকে বৈধ শক্তি হিসেবে মেনে নেওয়া। তাদের সঙ্গে আলোচনা করা এবং দাবিগুলোর প্রতি কর্ণপাত করা। আমার মনে হয়, তারা এখন চার্লি সমাধানেই মনোযোগ দিয়েছে।
লেখক : সৈয়দ তালাত হুসাইন
এক্সপ্রেস ট্রিবিউন থেকে সংক্ষেপিত ভাষান্তর : মহসীন হাবিব
এ প্রক্রিয়ার একটি বড় বিষয় হলো, মোল্লা মোহাম্মদ ওমরের নেতৃত্বাধীন তালেবানের সঙ্গে মিটমাট। এ ছাড়া তালেবান ও নন-পশতুন গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে আলোচনা, আমেরিকার বের হয়ে যাওয়ার পর একটি সাংবিধানিক কাঠামোর ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছা, ক্রমান্বয়ে হামলা কমিয়ে আনা এ প্রক্রিয়ারই অংশ।
এ ব্যাপারে কারো কোনো সন্দেহ নেই যে এ প্রক্রিয়া পিচ্ছিল এবং এর কোনো নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু বিভিন্ন সূত্র মনে করে, মিডিয়ার চোখ ফাঁকি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে দৃষ্টিভঙ্গির জায়গায় অস্বাভাবিকভাবে একই সরলরেখায় শক্তভাবে উপনীত হওয়াটা একটি সুযোগ করে দিয়েছে বন্ধ্যত্ব দূর করার ক্ষেত্রে।
দুই পক্ষই মোল্লা ওমরের নেতৃত্বাধীন তালেবানকে কেন্দ্র করে আলোচনা আঁকড়ে ধরেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তালেবান সমস্যা নিয়ে তিনটি সমাধানের চিন্তা ছিল আমেরিকার। প্রথমটি হলো আলফা সমাধান। সেটি হলো তালেবানকে পরাজিত করে আনুগত্য প্রকাশে বাধ্য করা এবং তাদের যুদ্ধ করার ক্ষমতা স্থায়ীভাবে দমন করা। সেটা ব্যর্থ হয়েছে। দ্বিতীয়টি হলো ব্র্যাভো সমাধান। তা হলো, তাদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে আফগানিস্তানের নতুন বাস্তবতা মেনে নিতে বাধ্য করা; যেমন বর্তমান আফগান সংবিধান ও প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের নেতৃত্ব মেনে নিতে বাধ্য করা। সেটিও কাজে আসেনি। আর তৃতীয়টি হলো চার্লি সমাধান। এটি হলো আফগানিস্তানে তালেবানকে বৈধ শক্তি হিসেবে মেনে নেওয়া। তাদের সঙ্গে আলোচনা করা এবং দাবিগুলোর প্রতি কর্ণপাত করা। আমার মনে হয়, তারা এখন চার্লি সমাধানেই মনোযোগ দিয়েছে।
লেখক : সৈয়দ তালাত হুসাইন
এক্সপ্রেস ট্রিবিউন থেকে সংক্ষেপিত ভাষান্তর : মহসীন হাবিব
No comments