ভারতে ফিরতে চান উলফার নেতা অনুপ চেটিয়া
দীর্ঘদিন বাংলাদেশের কারাগারে বন্দী
উত্তর-পূর্ব ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সাধারণ সম্পাদক অনুপ
চেটিয়া এখন নিজ দেশে ফিরে যেতে চান। এ আগ্রহের কথা জানিয়ে কারা কর্তৃপক্ষের
মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশ সরকারের কাছে চিঠি দিয়েছেন।
চিঠিতে তিনি ইতিপূর্বে বাংলাদেশে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য করা আবেদন
প্রত্যাহারের কথাও বলেছেন বলে কারাগারসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে।
অনুপ চেটিয়া বর্তমানে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে নিরাপত্তা হেফাজতে রয়েছেন। জানতে চাইলে রাজশাহীর কারাগারের কারাধ্যক্ষ ইসমাইল হোসেন প্রথম আলোর কাছে অনুপ চেটিয়ার এই চিঠির কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, অনুপ চেটিয়ার আবেদন গত ১৩ মে ঢাকায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামের (উলফা) শীর্ষ নেতা অনুপ চেটিয়া চিঠিতে লিখেছেন, রাজশাহী কারাগারে থাকা তাঁর দুই সহচর লক্ষ্মীপ্রসাদ গোস্বামী ও বাবুল শর্মাকে নিয়ে তিনি নিজ দেশে ফিরতে চান।
১৯৯৭ সালের ২১ ডিসেম্বর ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার একটি বাসা থেকে অনুপ চেটিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান এবং অবৈধভাবে বিদেশি মুদ্রা ও একটি স্যাটেলাইট ফোন রাখার অভিযোগে তিনটি মামলা হয়। পরে তিনটি মামলায় তাঁকে যথাক্রমে তিন, চার ও সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন বাংলাদেশের আদালত। ২০০৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তাঁর সাজার মেয়াদ শেষ হয়।
অতীতে বিভিন্ন সময়ে অনুপ চেটিয়াকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করার জন্য ওই দেশের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারের ওপর চাপ ছিল। কিন্তু বাংলাদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে ২০০৩ সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্টে আবেদন করেন অনুপ চেটিয়া। এ কারণে তাঁকে হস্তান্তরে আইনি জটিলতা ও দুই দেশের মধ্যে বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকার কথাও বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল। বর্তমান সরকার আমলে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়, যা এখনো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের স্বাধীনতার লক্ষ্যে ১৯৭৯ সালে গঠিত হয় উলফা। এরপর দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে সশস্ত্র তৎপরতা চালায় সংগঠনটি।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ২০০৯ সালের শেষ দিকে উলফার চেয়ারম্যান অরবিন্দ রাজখোয়াসহ সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের প্রায় সব নেতাকে বাংলাদেশ থেকে ধরে ভারতের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর ২০১০ সাল থেকে দিল্লিতে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে উলফার শান্তি আলোচনা চলছে। এমন অবস্থায় অনুপ চেটিয়া ভারতে ফিরে যাওয়ার আগ্রহ জানিয়ে চিঠি দিলেন।
অনুপ চেটিয়া বর্তমানে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে নিরাপত্তা হেফাজতে রয়েছেন। জানতে চাইলে রাজশাহীর কারাগারের কারাধ্যক্ষ ইসমাইল হোসেন প্রথম আলোর কাছে অনুপ চেটিয়ার এই চিঠির কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, অনুপ চেটিয়ার আবেদন গত ১৩ মে ঢাকায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামের (উলফা) শীর্ষ নেতা অনুপ চেটিয়া চিঠিতে লিখেছেন, রাজশাহী কারাগারে থাকা তাঁর দুই সহচর লক্ষ্মীপ্রসাদ গোস্বামী ও বাবুল শর্মাকে নিয়ে তিনি নিজ দেশে ফিরতে চান।
১৯৯৭ সালের ২১ ডিসেম্বর ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার একটি বাসা থেকে অনুপ চেটিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান এবং অবৈধভাবে বিদেশি মুদ্রা ও একটি স্যাটেলাইট ফোন রাখার অভিযোগে তিনটি মামলা হয়। পরে তিনটি মামলায় তাঁকে যথাক্রমে তিন, চার ও সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন বাংলাদেশের আদালত। ২০০৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তাঁর সাজার মেয়াদ শেষ হয়।
অতীতে বিভিন্ন সময়ে অনুপ চেটিয়াকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করার জন্য ওই দেশের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারের ওপর চাপ ছিল। কিন্তু বাংলাদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে ২০০৩ সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্টে আবেদন করেন অনুপ চেটিয়া। এ কারণে তাঁকে হস্তান্তরে আইনি জটিলতা ও দুই দেশের মধ্যে বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকার কথাও বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল। বর্তমান সরকার আমলে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়, যা এখনো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের স্বাধীনতার লক্ষ্যে ১৯৭৯ সালে গঠিত হয় উলফা। এরপর দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে সশস্ত্র তৎপরতা চালায় সংগঠনটি।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ২০০৯ সালের শেষ দিকে উলফার চেয়ারম্যান অরবিন্দ রাজখোয়াসহ সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের প্রায় সব নেতাকে বাংলাদেশ থেকে ধরে ভারতের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর ২০১০ সাল থেকে দিল্লিতে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে উলফার শান্তি আলোচনা চলছে। এমন অবস্থায় অনুপ চেটিয়া ভারতে ফিরে যাওয়ার আগ্রহ জানিয়ে চিঠি দিলেন।
No comments