খুলনা প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দেড় মাস ধরে শিক্ষকদের ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন
শিক্ষার্থীদের হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার
প্রতিবাদে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষকেরা
প্রায় দেড় মাস ধরে ক্লাস ও পরীক্ষা নেওয়া, এমনকি প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড থেকে
বিরত রয়েছেন। ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবিতে শিক্ষক সমিতির
ব্যানারে শিক্ষকেরা এ কর্মসূচি পালন করছেন।
এতে
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন হুমকির মুখে
পড়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের
সামনে মৌন অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন। যত দিন ক্লাস ও পরীক্ষা শুরু না
হচ্ছে, তত দিন তাঁরা এই অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষক বলেন, ‘শিক্ষক সমিতির সদস্য হয়েও বলব, এভাবে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ করা ঠিক নয়। কারণ, এতে শিক্ষার্থীরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’
শিক্ষক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ এপ্রিল পুরকৌশল বিভাগের মৌখিক পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ওই বিভাগের শিক্ষক আরিফ হোসেনকে অপমান করেন বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী। ২৭ এপ্রিল যন্ত্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মুহম্মদ মাছুদকে নিয়ে মিথ্যা ও আপত্তিকর স্লোগান এবং একই দিন তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষক মো. শাহজানকে লাঞ্ছিত করেন কয়েকজন শিক্ষার্থী।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক হোসেন জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন কার্যকর ভূমিকা পালন না করায় শিক্ষকেরা সম্মানের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। দোষী ছাত্রদের শাস্তির দাবিতে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজে সহযোগিতা করা থেকে বিরত থাকছেন তাঁরা। তিনি বলেন, ‘ছাত্ররা বারবার শিক্ষকদের অপমান করছে। যত দিন এর সুরাহা না হবে, তত দিন আমাদের আন্দোলন চলবে।’
শিক্ষকদের এই অভিযোগের সঙ্গে একমত নন কুয়েটের রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্ব) জি এম শহিদুল আলম। তিনি জানান, ৪ এপ্রিলের ঘটনায় ১৯ জন শিক্ষার্থীকে শাস্তি দেওয়া হয়। এর মধ্যে পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়। ওই পাঁচজন গত ২৮ এপ্রিল হাইকোর্টে রিট করেন। শুনানির পর আদালত তাঁদের শাস্তির আদেশ স্থগিত করেন এবং সব ধরনের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া, ফলাফল প্রকাশ, ক্লাস করতে দেওয়ার আদেশ দেন। রেজিস্ট্রার বলেন, ‘কোর্ট থেকে অনুমতি নিয়ে তারা ক্লাসে ফিরে এসেছে। আমরা ওই রায়ের বিরুদ্ধে আবার আপিল করেছি। এখন আমাদের আর কী করার আছে?’
বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র অতনু বাড়ৈ বলেন, ‘পরীক্ষা দুটি দিয়েছি, তিনটি বাকি। এর মধ্যেই দেড় মাস পিছিয়ে পড়েছি। সেশনজট তৈরি হচ্ছে। পরীক্ষা শেষ না হওয়ায় এসব সমস্যা তৈরি হচ্ছে।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মুহাম্মদ আলমগীর প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষক লাঞ্ছনার যে সব অভিযোগ শিক্ষক সমিতি দিয়েছে, তার প্রতিটি তদন্ত করে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমি বলেছি, আসেন সবাই মিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কাজ করি, তাহলে সব ঠিক হয়ে যাবে। এরপর প্রশাসন আর কী করতে পারে?’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষক বলেন, ‘শিক্ষক সমিতির সদস্য হয়েও বলব, এভাবে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ করা ঠিক নয়। কারণ, এতে শিক্ষার্থীরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’
শিক্ষক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ এপ্রিল পুরকৌশল বিভাগের মৌখিক পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ওই বিভাগের শিক্ষক আরিফ হোসেনকে অপমান করেন বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী। ২৭ এপ্রিল যন্ত্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মুহম্মদ মাছুদকে নিয়ে মিথ্যা ও আপত্তিকর স্লোগান এবং একই দিন তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষক মো. শাহজানকে লাঞ্ছিত করেন কয়েকজন শিক্ষার্থী।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক হোসেন জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন কার্যকর ভূমিকা পালন না করায় শিক্ষকেরা সম্মানের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। দোষী ছাত্রদের শাস্তির দাবিতে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজে সহযোগিতা করা থেকে বিরত থাকছেন তাঁরা। তিনি বলেন, ‘ছাত্ররা বারবার শিক্ষকদের অপমান করছে। যত দিন এর সুরাহা না হবে, তত দিন আমাদের আন্দোলন চলবে।’
শিক্ষকদের এই অভিযোগের সঙ্গে একমত নন কুয়েটের রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্ব) জি এম শহিদুল আলম। তিনি জানান, ৪ এপ্রিলের ঘটনায় ১৯ জন শিক্ষার্থীকে শাস্তি দেওয়া হয়। এর মধ্যে পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়। ওই পাঁচজন গত ২৮ এপ্রিল হাইকোর্টে রিট করেন। শুনানির পর আদালত তাঁদের শাস্তির আদেশ স্থগিত করেন এবং সব ধরনের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া, ফলাফল প্রকাশ, ক্লাস করতে দেওয়ার আদেশ দেন। রেজিস্ট্রার বলেন, ‘কোর্ট থেকে অনুমতি নিয়ে তারা ক্লাসে ফিরে এসেছে। আমরা ওই রায়ের বিরুদ্ধে আবার আপিল করেছি। এখন আমাদের আর কী করার আছে?’
বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র অতনু বাড়ৈ বলেন, ‘পরীক্ষা দুটি দিয়েছি, তিনটি বাকি। এর মধ্যেই দেড় মাস পিছিয়ে পড়েছি। সেশনজট তৈরি হচ্ছে। পরীক্ষা শেষ না হওয়ায় এসব সমস্যা তৈরি হচ্ছে।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মুহাম্মদ আলমগীর প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষক লাঞ্ছনার যে সব অভিযোগ শিক্ষক সমিতি দিয়েছে, তার প্রতিটি তদন্ত করে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমি বলেছি, আসেন সবাই মিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কাজ করি, তাহলে সব ঠিক হয়ে যাবে। এরপর প্রশাসন আর কী করতে পারে?’
No comments