স্মরণ-সাংবাদিক মানিক সাহা by গৌরাঙ্গ নন্দী
সাংবাদিক মানিক সাহা জন্মগ্রহণ করেন ১৯৫৬ সালের ১০ জুন এক অজপাড়াগাঁয়ে, নাম চালিতাতলা। বর্তমান নড়াইল জেলার কালিয়া থানার মধ্যে একটি গ্রাম। পারিবারিক পাঠশালায় তাঁর লেখাপড়া শুরু। ১৯৬৬ সালে চালিতাতলা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তিনি পঞ্চম শ্রেণী উত্তীর্ণ হন।
মুক্তিযু্দ্ধকালে তিনি ছিলেন এসএসসি পরীক্ষার্থী। ১৯৭২ সালে অনুষ্ঠিত সেই পরীক্ষায় তিনি এসএসসি পাস করেন। উচ্চমাধ্যমিক পড়েন কালিয়ারই শহীদ আবদুস সালাম কলেজে। তারপর চলে আসেন খুলনায়। পড়েন সিটি কলেজ ও বিএল কলেজে।
ছাত্রাবস্থা থেকেই তিনি ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতিতে যুক্ত হন। ১৯৯০ সাল থেকে তিনি সাংবাদিকতায় বেশি সময় দিতে শুরু করেন। সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরে সরে আসেন। কাজ করেছেন ইটিভির খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি ও বিবিসির সংবাদদাতা হিসেবে। ২০০৩-এর শেষের দিকে যোগ দেন ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ-এ। তবে সংবাদের সঙ্গে তখনো সম্পর্ক ছিন্ন হয়নি। শুধু পেশাজীবী হিসেবে নয়, একজন রাজনীতি-সচেতন সাংবাদিক হিসেবে রাজনীতির পাঠ নিয়েছিলেন যে রতন সেনের কাছ থেকে, তিনি খুন হওয়ার পর তাঁর কীর্তি বাঁচিয়ে রাখার জন্য আরো অনেককে নিয়ে গড়ে তোলেন রতন সেন পাবলিক লাইব্রেরি।
এই মানুষটিকে থামিয়ে দেওয়া হলো। সেই কালো দিনটি ২০০৪ সালের ১৫ জানুয়ারি। শহীদ হাদিস পার্কে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের মহানগর কমিটির সম্মেলন দেখে প্রেসক্লাবে আসেন। সামনের কক্ষেই বসেন। সামান্য পরই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন একজন আগন্তুক। মানিক সাহা আগন্তুককে নিয়ে বেশ শশব্যস্ত হয়ে দোতলার অতিথি কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ তাঁদের মধ্যে কথা হয়। আগন্তুক বিদায় নিলে তিনিও বেরিয়ে পড়েন। প্রেসক্লাবের পিয়নই তাঁকে রিকশা ঠিক করে দেয়। রিকশা চলতে শুরু করে আহসান আহমেদ রোডে তাঁর বাসার দিকে। খুলনা প্রেসক্লাবের গেট থেকে বেরিয়ে ডান দিকে সড়কটি ৫০ গজের মতো গিয়ে দুই ভাগ হয়েছে। এক ভাগ সোজা গেছে ছোট মির্জাপুরের দিকে (ওই সড়কটির বর্তমান নাম মানিক সাহা সড়ক)। ছোট মির্জাপুরের দিকের রাস্তায় তাঁকে বহনকারী রিকশাটি উঠলে কে যেন তাঁকে ডেকে থামায়। পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখে মনে হয়, তিনি রিকশা থেকে নেমে দাঁড়িয়েছিলেন। এর পরই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ! উপুড় হয়ে পড়ে আছে মানিক সাহার দেহটি। মাথাটি যেন শরীর থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন। মনে হচ্ছে, কেউ যেন মাথাটি কিছু একটা দিয়ে থেঁতলে গুঁড়ো করে দিয়েছে।
গৌরাঙ্গ নন্দী
ছাত্রাবস্থা থেকেই তিনি ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতিতে যুক্ত হন। ১৯৯০ সাল থেকে তিনি সাংবাদিকতায় বেশি সময় দিতে শুরু করেন। সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরে সরে আসেন। কাজ করেছেন ইটিভির খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি ও বিবিসির সংবাদদাতা হিসেবে। ২০০৩-এর শেষের দিকে যোগ দেন ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ-এ। তবে সংবাদের সঙ্গে তখনো সম্পর্ক ছিন্ন হয়নি। শুধু পেশাজীবী হিসেবে নয়, একজন রাজনীতি-সচেতন সাংবাদিক হিসেবে রাজনীতির পাঠ নিয়েছিলেন যে রতন সেনের কাছ থেকে, তিনি খুন হওয়ার পর তাঁর কীর্তি বাঁচিয়ে রাখার জন্য আরো অনেককে নিয়ে গড়ে তোলেন রতন সেন পাবলিক লাইব্রেরি।
এই মানুষটিকে থামিয়ে দেওয়া হলো। সেই কালো দিনটি ২০০৪ সালের ১৫ জানুয়ারি। শহীদ হাদিস পার্কে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের মহানগর কমিটির সম্মেলন দেখে প্রেসক্লাবে আসেন। সামনের কক্ষেই বসেন। সামান্য পরই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন একজন আগন্তুক। মানিক সাহা আগন্তুককে নিয়ে বেশ শশব্যস্ত হয়ে দোতলার অতিথি কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ তাঁদের মধ্যে কথা হয়। আগন্তুক বিদায় নিলে তিনিও বেরিয়ে পড়েন। প্রেসক্লাবের পিয়নই তাঁকে রিকশা ঠিক করে দেয়। রিকশা চলতে শুরু করে আহসান আহমেদ রোডে তাঁর বাসার দিকে। খুলনা প্রেসক্লাবের গেট থেকে বেরিয়ে ডান দিকে সড়কটি ৫০ গজের মতো গিয়ে দুই ভাগ হয়েছে। এক ভাগ সোজা গেছে ছোট মির্জাপুরের দিকে (ওই সড়কটির বর্তমান নাম মানিক সাহা সড়ক)। ছোট মির্জাপুরের দিকের রাস্তায় তাঁকে বহনকারী রিকশাটি উঠলে কে যেন তাঁকে ডেকে থামায়। পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখে মনে হয়, তিনি রিকশা থেকে নেমে দাঁড়িয়েছিলেন। এর পরই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ! উপুড় হয়ে পড়ে আছে মানিক সাহার দেহটি। মাথাটি যেন শরীর থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন। মনে হচ্ছে, কেউ যেন মাথাটি কিছু একটা দিয়ে থেঁতলে গুঁড়ো করে দিয়েছে।
গৌরাঙ্গ নন্দী
No comments