ফরিদপুরে স্কুলছাত্রী চম্পার লাশ তোলা হবে শনিবার
সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের কাশিমাবাদ গ্রাম থেকে পুরদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী জাকিয়া আক্তার চম্পার লাশ শনিবার সকালে কবর থেকে তোলা হবে।
৩ ডিসেম্বর আদালতের দেওয়া পুনঃময়না তদন্তের নিদের্শে লাশ তোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট সাইদুল ইসলাম।চম্পার পরিবারের পক্ষ থেকে গত ৩১ ডিসেম্বর ফরিদপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচারের জন্য কবর থেকে চম্পার লাশ উঠিয়ে পুনঃময়না তদন্তের আবেদন জানানো হলে আদালত এ রায় দেন।
উল্লেখ্য, গত ১৩ ডিসেম্বর রাতে নিখোঁজ হন চম্পা। ১৪ ডিসেম্বর কাশিমাবাদ গ্রামের এক গাছে গলায় শাড়ি পেঁচানো অবস্থায় স্কুলছাত্রী চম্পার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে লাশ পাঠানো হয়।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক ডা. অঞ্জন কুমার দাস চম্পার লাশের ময়নাতদন্ত করেন। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে চিকিৎসক চম্পার মৃত্যুর কারণ আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করেন।
মামলার বাদী চম্পার ভাই হাসিবুল বলেন, “প্রকৃতপক্ষে আমার বোনকে ধর্ষণের পরে হত্যা করে ফেলে রেখে গেলেও অর্থের বিনিময়ে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে চম্পাকে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি বলেও উল্লেখ করা হয়। এরপর চিকিৎসকের দেওয়া ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আপত্তি জানিয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠনের মাধ্যমে পুনঃময়না তদন্তের দাবি জানানো হয়।”
এ বিষয়ে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মইনউদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, আদালত থেকে বৃহস্পতিবার নির্দেশ পাওয়া মাত্রই ওইদিন রাতেই ম্যাজিস্ট্রেট সাইদুল ইসলামকে মামলাতদন্ত কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে সম্বনয় করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
No comments