পবিত্র কোরআনের আলো-যে কাজ আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে করা হয়, আখিরাতে শুধু এরই ফল পাওয়া যাবে
১৩। আম ইয়াক্বূলূনা-ফ্তারা-হু্; ক্বুল ফা'তূ বিআ'শরি ছুওয়ারিম্ মিছলিহী মুফ্তারাইয়া-তিন ওয়াদ্ঊ' মানিছ্তাত্বা'তুম্ মিন দূনিল্লা-হি ইন কুনতুম ছ্বা-দিক্বীন।
১৪। ফাইল্লাম ইয়াছ্তাজীবূ লাকুম ফা'লামূ আন্নামা- উনযিলা বিই'লমিল্লা-হি ওয়া আন লা-ইলা-হা ইল্লা- হুয়া; ফাহাল আনতুম্ মুছলিমূন।
১৫। মান কা-না ইউরীদুল্-হায়া-তাদ দুনিয়া ওয়া যীনাতাহা- নুওয়াফ্ফি ইলাইহিম 'আমা-লাহুম ফীহা ওয়া হুম ফীহা লা-ইউবখাছূন।
১৬। উলা-য়িকাল্লাযীনা লাইছা লাহুম ফিল আ-খিরাতি ইল্লান না-রু; ওয়া হ্বাবিত্বা মা ছ্বানাঊ' ফীহা ওয়া বাতি্বলুম্ মা কা-নূ ইয়া'মালূন।
[সুরা : হুদ, আয়াত : ১৩-১৬]
অনুবাদ : ১৩. তাহলে কি তারা বলে যে নবী মুহাম্মদ (সা.) নিজের পক্ষ থেকে এই ওহি রচনা করেছেন? হে নবী, আপনি তাদের বলে দিন, তাহলে তোমরাও এর মতো ১০টি স্বরচিত সুরা এনে উপস্থিত করো এবং এ কাজে সাহায্যের জন্য আল্লাহ ছাড়া যাকে ডাকতে পারো, ডেকে নাও_যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাকো।
১৪. এর পরও যদি তারা আপনার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ না করে, তবে মানুষের তো নিশ্চিতভাবে জানা উচিত যে এ ওহি কেবল আল্লাহর জ্ঞান থেকেই অবতীর্ণ হয়েছে এবং আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত আর কেউ নেই। সুতরাং তোমরা কি মুসলিম বা আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণকারী হবে না?
১৫. যারা কেবল পার্থিব জীবন ও এর জাঁকজমক চায়, আমি তাদের কর্মের ফল এ দুনিয়ায়ই ভোগ করতে দেব এবং এখানে তাদের প্রাপ্য কম দেওয়া হবে না।
১৬. এসব লোকের জন্য আখিরাতে জাহান্নাম ছাড়া আর কিছু নেই। তারা যা কিছু করেছিল (যদি ভালোও কিছু করে থাকে) আখিরাতে তা নিষ্ফল হয়ে যাবে। আর তারা (স্রেফ বর্তমান লাভের জন্য) যে কাজ করছে, আখিরাতের বিচারে তা না করারই শামিল।
ব্যাখ্যা : ১৪ নম্বর আয়াতে কোরআনের অভ্রান্ততা সম্পর্কে কাফিরদের প্রতি চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে। প্রথমদিকে অর্থাৎ এই সুরায় তাদের কোরআনের ১০টি সুরা রচনা করার চ্যালেঞ্জ দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে এই চ্যালেঞ্জ আরো সহজ করে দেওয়া হয়। সুরা বাক্বারা (২ : ২৩) ও সুরা ইউনূসে (১০ : ৩৮) কেবল একটি সুরা তৈরি করে আনতে বলা হয়েছে। কিন্তু মুশরিকরা যারা নিজেদের কাব্যজ্ঞান ও সাহিত্যালংকার নিয়ে গর্ব করত, তারা এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে সম্মত হয়নি। এরই উপসংহারে মানবজাতিকে উদ্দেশ করে বলা হয়েছে, মানুষের উচিত এ কথা বিশ্বাস করা যে কোরআন আল্লাহর জ্ঞান থেকে নাজিল হয়েছে, এটা নবী মুহাম্মদ (সা.) বা অন্য কোনো মানুষের রচনা নয়।
১৫ নম্বর আয়াতে এ কথা পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে যে যারা উপস্থিত লাভের জন্য সব কিছু করে এবং আখিরাতে বিশ্বাস করে না, তাদের দান-খয়রাত বা সৎকর্মের প্রতিদান দুনিয়ায়ই দিয়ে দেওয়া হয়। আখেরাতে এর বিনিময়ে তারা কিছু পাবে না।
অনুরূপ কোনো মুসলিমও যদি পার্থিব সুনাম-সুখ্যাতি, অর্থ-সম্পদ বা ক্ষমতা ইত্যাদি লাভের উদ্দেশ্যে কোনো সৎ কাজ করে, তবে এর বিনিময়ে দুনিয়ায় তার লাভ হতে পারে; কিন্তু আখিরাতে সে এর বিনিময়ে কোনো সওয়াব পাবে না। আখিরাতে কেবল সেই সৎকর্মই গ্রহণযোগ্য, যা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে করা হয়।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
১৫। মান কা-না ইউরীদুল্-হায়া-তাদ দুনিয়া ওয়া যীনাতাহা- নুওয়াফ্ফি ইলাইহিম 'আমা-লাহুম ফীহা ওয়া হুম ফীহা লা-ইউবখাছূন।
১৬। উলা-য়িকাল্লাযীনা লাইছা লাহুম ফিল আ-খিরাতি ইল্লান না-রু; ওয়া হ্বাবিত্বা মা ছ্বানাঊ' ফীহা ওয়া বাতি্বলুম্ মা কা-নূ ইয়া'মালূন।
[সুরা : হুদ, আয়াত : ১৩-১৬]
অনুবাদ : ১৩. তাহলে কি তারা বলে যে নবী মুহাম্মদ (সা.) নিজের পক্ষ থেকে এই ওহি রচনা করেছেন? হে নবী, আপনি তাদের বলে দিন, তাহলে তোমরাও এর মতো ১০টি স্বরচিত সুরা এনে উপস্থিত করো এবং এ কাজে সাহায্যের জন্য আল্লাহ ছাড়া যাকে ডাকতে পারো, ডেকে নাও_যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাকো।
১৪. এর পরও যদি তারা আপনার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ না করে, তবে মানুষের তো নিশ্চিতভাবে জানা উচিত যে এ ওহি কেবল আল্লাহর জ্ঞান থেকেই অবতীর্ণ হয়েছে এবং আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের উপযুক্ত আর কেউ নেই। সুতরাং তোমরা কি মুসলিম বা আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণকারী হবে না?
১৫. যারা কেবল পার্থিব জীবন ও এর জাঁকজমক চায়, আমি তাদের কর্মের ফল এ দুনিয়ায়ই ভোগ করতে দেব এবং এখানে তাদের প্রাপ্য কম দেওয়া হবে না।
১৬. এসব লোকের জন্য আখিরাতে জাহান্নাম ছাড়া আর কিছু নেই। তারা যা কিছু করেছিল (যদি ভালোও কিছু করে থাকে) আখিরাতে তা নিষ্ফল হয়ে যাবে। আর তারা (স্রেফ বর্তমান লাভের জন্য) যে কাজ করছে, আখিরাতের বিচারে তা না করারই শামিল।
ব্যাখ্যা : ১৪ নম্বর আয়াতে কোরআনের অভ্রান্ততা সম্পর্কে কাফিরদের প্রতি চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে। প্রথমদিকে অর্থাৎ এই সুরায় তাদের কোরআনের ১০টি সুরা রচনা করার চ্যালেঞ্জ দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে এই চ্যালেঞ্জ আরো সহজ করে দেওয়া হয়। সুরা বাক্বারা (২ : ২৩) ও সুরা ইউনূসে (১০ : ৩৮) কেবল একটি সুরা তৈরি করে আনতে বলা হয়েছে। কিন্তু মুশরিকরা যারা নিজেদের কাব্যজ্ঞান ও সাহিত্যালংকার নিয়ে গর্ব করত, তারা এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে সম্মত হয়নি। এরই উপসংহারে মানবজাতিকে উদ্দেশ করে বলা হয়েছে, মানুষের উচিত এ কথা বিশ্বাস করা যে কোরআন আল্লাহর জ্ঞান থেকে নাজিল হয়েছে, এটা নবী মুহাম্মদ (সা.) বা অন্য কোনো মানুষের রচনা নয়।
১৫ নম্বর আয়াতে এ কথা পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে যে যারা উপস্থিত লাভের জন্য সব কিছু করে এবং আখিরাতে বিশ্বাস করে না, তাদের দান-খয়রাত বা সৎকর্মের প্রতিদান দুনিয়ায়ই দিয়ে দেওয়া হয়। আখেরাতে এর বিনিময়ে তারা কিছু পাবে না।
অনুরূপ কোনো মুসলিমও যদি পার্থিব সুনাম-সুখ্যাতি, অর্থ-সম্পদ বা ক্ষমতা ইত্যাদি লাভের উদ্দেশ্যে কোনো সৎ কাজ করে, তবে এর বিনিময়ে দুনিয়ায় তার লাভ হতে পারে; কিন্তু আখিরাতে সে এর বিনিময়ে কোনো সওয়াব পাবে না। আখিরাতে কেবল সেই সৎকর্মই গ্রহণযোগ্য, যা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে করা হয়।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
No comments