চীন ও ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে তৎপর বিএনপি by মোশাররফ বাবলু
নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে মাঠে নেমেছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। বিশেষ করে ভারত ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে মরিয়া দলটি। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দুজনই এখন দেশের বাইরে।
খালেদা জিয়া গেছেন চীন সফরে। সেখান থেকে ফিরে ২৮ অক্টোবর তিনি যাবেন ভারতে। মির্জা ফখরুল বেলজিয়াম হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যান। জার্মানি ও যুক্তরাজ্য ঘুরে তাঁর দেশে ফেরার কথা।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়ার দাবির প্রতি ভারত ও চীনের সমর্থন আদায় এবং সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের বিষয়টি সরাসরি তদারক করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে এবং সেই নির্বাচনে ক্ষমতায় গেলে বিএনপি কিভাবে দেশ পরিচালনা করবে, এর একটি রূপরেখাও বিদেশিদের কাছে তুলে ধরা হবে বলে জানা গেছে।
দলের একজন নীতিনির্ধারক জানান, যুক্তরাষ্ট্র বা সৌদি আরবের মতো বিশেষ বিশেষ দেশের সঙ্গে শুধু সম্পর্ক রেখে চলতে চায় না বিএনপি। সব দেশের সঙ্গে আস্থার সম্পর্ক রাখাই দলটির লক্ষ্য। সে লক্ষ্য নিয়েই বিএনপি চেয়ারপারসনের চীন ও ভারত সফর।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন সম্প্রতি কালের কণ্ঠকে জানান, ঈদের পর ভারত সফরে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া। এই নেতা বলেন, 'জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশে এখন রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। এ সময়ে চীন ও ভারতের মতো দুটি বৃহৎ দেশের সরকার বাংলাদেশের বিরোধীদলীয় নেতাকে সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছে- এটা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে এ দুই দেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এ দুটি দেশের সঙ্গে রাজনৈতিক, অথনৈতিকসহ বিভিন্ন বিষয়ে সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলে মনে করেন তিনি।
গত রবিবার দুপুরে খালেদা জিয়া ঢাকা থেকে ব্যাংকক যান। সেখান থেকে তিনি চীনে পৌঁছেন। দলের একাধিক নেতা জানান, নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবির প্রতি বিভিন্ন দেশের সমর্থন আদায় এবং ওই সব দেশের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানোর লক্ষ্যেই তাঁর এ সফর। দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা এ লক্ষ্যে দেশে-বিদেশে কাজ শুরু করছেন। ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও দাতাসংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক হচ্ছে বিএনপি নেতাদের। তবে বিষয়টি সম্পূর্ণ দেখভাল করছেন দলীয় চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।
জানা যায়, খালেদা জিয়ার নির্দেশে মির্জা ফখরুল ইউরোপ সফরে যান। তিনি ৭ অক্টোবর রাতে ব্রাসেলস গেছেন। সেখানে ৯ অক্টোবর ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এক সভায় বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ওপর বক্তব্য দেন তিনি। ১৪ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে 'টেকসই গণতন্ত্র' শীর্ষক এক সেমিনারেও তিনি বক্তব্য দেন।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাকালে ভারত ও চীন সরকারের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক তেমন ভালো ছিল না। বিশেষ করে তাইওয়ানে বিজনেস ট্রেড সেন্টারে ব্যবসাসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে চীনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। নির্বাচনকে সামনে রেখে তাই সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে দলটি। সেই উদ্দেশ্য নিয়েই এক সপ্তাহের চীন সফরে গেছেন দলের চেয়ারপারসন।
সূত্র মতে, প্রতিদেশী দেশ ভারতে বিজেপি ক্ষমতায় থাকাকালে তাদের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের উন্নতি ঘটেছিল; কিন্তু দেশটির বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সম্পর্ক ততটা ভালো নয় বিএনপির। জানা যায়, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে বাংলাদেশে ১০ ট্রাক অস্ত্রের চালান ধরা পর ভারতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের অবনতি ঘটে। পরে সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে বহু আলোচনা হলেও তেমন একটা অগ্রগতি দেখা যায়নি। বর্তমানে নির্বাচন সামনে রেখে দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিএনপি। ঈদের পর ভারত সফরে যাবেন দলীয়প্রধান। সফরকালে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি আগামী দিনে ক্ষমতায় গেলে পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে কিভাবে সুসম্পর্ক গড়ে তুলে দেশ পরিচালনা করা হবে, এর একটি রূপরেখাও তুলে ধরতে পারেন খালেদা জিয়া ভারতের সরকারপ্রধানের কাছে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়ার দাবির প্রতি ভারত ও চীনের সমর্থন আদায় এবং সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের বিষয়টি সরাসরি তদারক করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে এবং সেই নির্বাচনে ক্ষমতায় গেলে বিএনপি কিভাবে দেশ পরিচালনা করবে, এর একটি রূপরেখাও বিদেশিদের কাছে তুলে ধরা হবে বলে জানা গেছে।
দলের একজন নীতিনির্ধারক জানান, যুক্তরাষ্ট্র বা সৌদি আরবের মতো বিশেষ বিশেষ দেশের সঙ্গে শুধু সম্পর্ক রেখে চলতে চায় না বিএনপি। সব দেশের সঙ্গে আস্থার সম্পর্ক রাখাই দলটির লক্ষ্য। সে লক্ষ্য নিয়েই বিএনপি চেয়ারপারসনের চীন ও ভারত সফর।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন সম্প্রতি কালের কণ্ঠকে জানান, ঈদের পর ভারত সফরে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া। এই নেতা বলেন, 'জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশে এখন রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। এ সময়ে চীন ও ভারতের মতো দুটি বৃহৎ দেশের সরকার বাংলাদেশের বিরোধীদলীয় নেতাকে সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছে- এটা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে এ দুই দেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এ দুটি দেশের সঙ্গে রাজনৈতিক, অথনৈতিকসহ বিভিন্ন বিষয়ে সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলে মনে করেন তিনি।
গত রবিবার দুপুরে খালেদা জিয়া ঢাকা থেকে ব্যাংকক যান। সেখান থেকে তিনি চীনে পৌঁছেন। দলের একাধিক নেতা জানান, নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবির প্রতি বিভিন্ন দেশের সমর্থন আদায় এবং ওই সব দেশের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানোর লক্ষ্যেই তাঁর এ সফর। দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা এ লক্ষ্যে দেশে-বিদেশে কাজ শুরু করছেন। ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও দাতাসংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক হচ্ছে বিএনপি নেতাদের। তবে বিষয়টি সম্পূর্ণ দেখভাল করছেন দলীয় চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।
জানা যায়, খালেদা জিয়ার নির্দেশে মির্জা ফখরুল ইউরোপ সফরে যান। তিনি ৭ অক্টোবর রাতে ব্রাসেলস গেছেন। সেখানে ৯ অক্টোবর ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এক সভায় বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ওপর বক্তব্য দেন তিনি। ১৪ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে 'টেকসই গণতন্ত্র' শীর্ষক এক সেমিনারেও তিনি বক্তব্য দেন।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাকালে ভারত ও চীন সরকারের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক তেমন ভালো ছিল না। বিশেষ করে তাইওয়ানে বিজনেস ট্রেড সেন্টারে ব্যবসাসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে চীনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। নির্বাচনকে সামনে রেখে তাই সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে দলটি। সেই উদ্দেশ্য নিয়েই এক সপ্তাহের চীন সফরে গেছেন দলের চেয়ারপারসন।
সূত্র মতে, প্রতিদেশী দেশ ভারতে বিজেপি ক্ষমতায় থাকাকালে তাদের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের উন্নতি ঘটেছিল; কিন্তু দেশটির বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সম্পর্ক ততটা ভালো নয় বিএনপির। জানা যায়, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে বাংলাদেশে ১০ ট্রাক অস্ত্রের চালান ধরা পর ভারতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের অবনতি ঘটে। পরে সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে বহু আলোচনা হলেও তেমন একটা অগ্রগতি দেখা যায়নি। বর্তমানে নির্বাচন সামনে রেখে দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিএনপি। ঈদের পর ভারত সফরে যাবেন দলীয়প্রধান। সফরকালে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি আগামী দিনে ক্ষমতায় গেলে পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে কিভাবে সুসম্পর্ক গড়ে তুলে দেশ পরিচালনা করা হবে, এর একটি রূপরেখাও তুলে ধরতে পারেন খালেদা জিয়া ভারতের সরকারপ্রধানের কাছে।
No comments