ভেজাল প্রতিরোধের দায়িত্ব শুধু সরকারের নয়ঃ আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেছেন, “ভেজাল প্রতিরোধের দায়িত্ব শুধু সরকারের নয়, ভুক্তভোগী হিসেবে নাগরিকদেরও আইনের আশ্রয় গ্রহণের সুযোগ রয়েছে, সেটা কেউ করছেন না। এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে।”
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘ভেজাল ও রাসায়নিক বিষমুক্ত খাদ্য নিশ্চিতকরণের পন্থা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি একথা বলেন। ‘সবার জন্য খাদ্য প্রচারাভিযান’-এর উদ্বোধনী কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই সেমিনারের আয়োজন করে ‘দারিদ্র্যবিরোধী মঞ্চ’।
মঞ্চের আহ্বায়ক ও ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলীর সঞ্চালনায় সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক আ ব ম ফারুক।
সেমিনারে অন্য বক্তারা ভেজাল প্রতিরোধে আইনের প্রয়োগ না থাকায় সরকারের সমালোচনা করেন।
জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, “ভেজাল প্রতিরোধে দেশের আইনে কোনো ঘাটতি আছে বলে মনে করি না। প্রচলিত আইন কার্যকরে মূল দায়িত্ব নাগরিকদেরই। প্রয়োজনে আরো কঠোর আইনের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রয়োগে সরকার প্রস্তুত। যারা এ বিষয়ে সচেতনতামূলক কাজ করছেন তারা বড় বড় বাজার বা বিক্রয়কেন্দ্রের আশেপাশে এ ধরনের আলোচনা সভার আয়োজন করতে পারেন।”
ভবিষ্যত প্রজন্মের কথা মাথায় রেখে খাদ্যে ভেজাল না মেশানোর জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আরো সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন, “বৃটিশ আমল থেকেই খাদ্যে ভেজালের প্রবণতা চলে এলেও বর্তমানে তা একটি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। ভেজাল প্রতিরোধে সরকার বিশেষজ্ঞদের না নিয়ে আমলাদের ওপর নির্ভর করছে। এক্ষেত্র সরকারের জনবল সংকটসহ বেশ কিছু সীমাবদ্ধতাও রয়েছে।”
ভোক্তাদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে গণমাধ্যমের জোরালো ভূমিকা রাখার ব্যাপারেও তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইসরাফিল আলম এমপি, তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর সভাপতি কাজী ফারুক, দোহার উপজেলা পরিষদের ইউএনও মোহাম্মদ আল-আমীন।
এছাড়াও মুহম্মদ হিলালউদ্দিন, ড. নিলুফার বানুসহ দারিদ্র্যবিরোধী মঞ্চের নেতারা সেমিনারে বক্তব্য রাখেন।
সেমিনারে অন্য বক্তারা ভেজাল প্রতিরোধে আইনের প্রয়োগ না থাকায় সরকারের সমালোচনা করেন।
জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, “ভেজাল প্রতিরোধে দেশের আইনে কোনো ঘাটতি আছে বলে মনে করি না। প্রচলিত আইন কার্যকরে মূল দায়িত্ব নাগরিকদেরই। প্রয়োজনে আরো কঠোর আইনের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রয়োগে সরকার প্রস্তুত। যারা এ বিষয়ে সচেতনতামূলক কাজ করছেন তারা বড় বড় বাজার বা বিক্রয়কেন্দ্রের আশেপাশে এ ধরনের আলোচনা সভার আয়োজন করতে পারেন।”
ভবিষ্যত প্রজন্মের কথা মাথায় রেখে খাদ্যে ভেজাল না মেশানোর জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আরো সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন, “বৃটিশ আমল থেকেই খাদ্যে ভেজালের প্রবণতা চলে এলেও বর্তমানে তা একটি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। ভেজাল প্রতিরোধে সরকার বিশেষজ্ঞদের না নিয়ে আমলাদের ওপর নির্ভর করছে। এক্ষেত্র সরকারের জনবল সংকটসহ বেশ কিছু সীমাবদ্ধতাও রয়েছে।”
ভোক্তাদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে গণমাধ্যমের জোরালো ভূমিকা রাখার ব্যাপারেও তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইসরাফিল আলম এমপি, তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর সভাপতি কাজী ফারুক, দোহার উপজেলা পরিষদের ইউএনও মোহাম্মদ আল-আমীন।
এছাড়াও মুহম্মদ হিলালউদ্দিন, ড. নিলুফার বানুসহ দারিদ্র্যবিরোধী মঞ্চের নেতারা সেমিনারে বক্তব্য রাখেন।
No comments