হল মার্কের প্রতি সোনালী ব্যাংক বোর্ড ॥ ১৫ দিনের মধ্যে অর্ধেক অর্থ ফেরত দিন -০ ব্যাংক চায় নগদ অর্থ -০ হলমার্কের সম্পত্তির মূল্যমান তাদের নির্ধারণ মানবে না ব্যাংক -০ ব্যাংক নিজেই মূল্য নির্ধারণ করবে by শাহ্ আলম খান
হাতিয়ে নেয়া অর্থের অর্ধেক আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নগদ পরিশোধের জন্য আজ হলমার্ক কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিতে যাচ্ছে সোনালী ব্যাংক পর্ষদ। ইতোমধ্যে চিঠির ড্রাফ্ট তৈরি করা হয়েছে। আজ ব্যাংক পর্ষদের সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত যাচাইবাছাই শেষে হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদের কাছে এ চিঠি পাঠানো হবে।
খবর সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সূত্রের।
জালিয়াতির মাধ্যমে হলমার্ক সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখাসহ দুইটি শাখা থেকে ২ হাজার ৬৬৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এ ঘটনায় তোলপাড় এখন দেশজুড়ে। টনক নড়েছে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষেরও। এরই ধারাবাহিকতায় লুণ্ঠিত অর্থের ৫০ শতাংশ অর্থাৎ ১৩শ’ ৩৪ কোটি ১৯ লাখ টাকা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নগদ পরিশোধের জন্য হলমার্ককে চিঠি দেয়া হচ্ছে। অপরদিকে লুণ্ঠিত অর্র্থের বাকি অর্ধেক আদায়ের জন্য হলমার্কের সম্পদ জামানতের আওতায় বন্ধক রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সাভারের হেমায়েতপুরে অবস্থিত হলমার্কের সাড়ে ৪৬ একর জমি বন্ধকীর আওতায় আনা হয়েছে। একই এলাকায় সোমবার নতুন করে হলমার্ক আরও ১৩ একর জমি সোনালী ব্যাংককে দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। এ সকল জমির দলিলাদি সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত ২৭৭ কোটি টাকা নগদ আদায় করা হয়েছে। এর বাইরে সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে এলসিকৃত হলমার্কের সমুদয় রফতানি আয় ব্যাংকের এ্যাকাউন্টে ট্রান্সফারের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ সোনালী ব্যাংককে জানিয়েছেন, সোনালী ব্যাংকের কাছে বন্ধকী রাখা জমির সবই নিষ্কণ্টক। বর্তমান বাজারমূল্যে সাড়ে ৪৬ একর জমির মূল্য প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। আর ১৩ একর জমির বাজারমূল্য রয়েছে ৬৫০ কোটি টাকা।
তবে বন্ধকী নিতে যাওয়া জমির বাজারমূল্য আর হলমার্কের হাতিয়ে নেয়া অর্থের মূল্য সমপরিমাণ কিনা জানতে চাইলে সোনালী ব্যাংকের দায়িত্বশীল একটি মাধ্যম দাবি করেছে, হলমার্ক তাদের এ্যাসেসমেন্ট ব্যাংককে জানিয়েছে। কিন্তু ব্যাংক তো কারও এ্যাসেসমেন্টে চলে না। ব্যাংকের দরকার হচ্ছে নগদ অর্থ। আর ধর্ম হচ্ছে গ্রাহকের আমানতের নিরাপত্তা দেয়া। এই দুইটির সমন্বয় করতে হলে ব্যাংককে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে যেতে হয়। এক্ষেত্রে ব্যাংক নিষ্কণ্টক জমির বাজারমূল্য দুইভাবে বিবেচনায় নিতে পারে। প্রথমত মার্কেট ভ্যালুর ওপর ভিত্তি করে আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে ফোর্সড সেল ভ্যালুর ওপর ভিত্তি করে। এ অবস্থায় ব্যাংক ওই জমি কালই বিক্রি করতে গেলে যে দাম পাওয়া যাবে সেটিই প্রকৃত আদায় হিসাবে বিবেচনায় আনা হবে। সোনালী ব্যাংক সূত্র জানায়, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এখন এসব বিষয়ে চুলচেরা বিচার-বিশ্লেষণ করছে।
এদিকে জামানত থাকাকালীন হলমার্কের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক কর্মকা- চালিয়ে যেতে পারবে কিনা কিংবা ঋণ পাবে কিনা জানতে চাইলে পর্ষদের সদস্য কাসেম হুমায়ুন জনকণ্ঠকে জানান, সেটি নির্ভর করবে ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্ক, ব্যাংক বিধি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শের ওপর। তবে এটাই বাস্তবতা, সোনালী ব্যাংক লুণ্ঠিত অর্থ উদ্ধারে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে চায়। এতবড় জালিয়াতির ঘটনায় কোন বিষয়ে ছাড় দিতে রাজি নয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
অর্থ উদ্ধারে হলমার্কের কাছে সোনালী ব্যাংক চিঠি দিতে যাচ্ছে প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কাসেম হুমায়ুন বলেন, ‘হ্যাঁ সোনালী ব্যাংক পর্ষদ আজ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে হলমার্ককে চিঠি পাঠাবে।’ তিনি জানান, হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ গত রবিবার দুদকের জিজ্ঞাসা শেষে গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন তিনি সোনালী ব্যাংক থেকে ২৬শ’ কোটি টাকা ঋণ হিসাবে নিয়েছেন। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে সোনালী ব্যাংক এটাকে কিছুতেই ঋণ হিসাবে দেখছে না। এটি একটি জালিয়াতি। এ বিষয়ে দুদকের তদন্ত চলছে। এরপরই আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে দুদক।
কাসেম হুমায়ুন জানান, এ মুহূর্তে সোনালী ব্যাংক পর্ষদ লুণ্ঠিত অর্থ উদ্ধার ছাড়া অন্য কিছু ভাবছে না। যেহেতু তিনি গণমাধ্যমে নিজে স্বীকার করেছেন যে পরিমাণ ঋণ তিনি নিয়েছেন তার চেয়ে ২০ গুণ বেশি পরিমাণ সম্পত্তি তার রয়েছে। এতে প্রমাণিত হয় তিনি ঋণ পরিশোধে সক্ষম। তাই সোনালী ব্যাংক পর্ষদ হলমার্ককে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ঋণের অর্ধেক পরিশোধ করতে চিঠি দিতে যাচ্ছে। বাকি অর্ধেক ঋণ সম্পত্তি জামানতের আওতায় বন্ধকে রেখে আদায়ের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
জালিয়াতির মাধ্যমে হলমার্ক সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখাসহ দুইটি শাখা থেকে ২ হাজার ৬৬৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এ ঘটনায় তোলপাড় এখন দেশজুড়ে। টনক নড়েছে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষেরও। এরই ধারাবাহিকতায় লুণ্ঠিত অর্থের ৫০ শতাংশ অর্থাৎ ১৩শ’ ৩৪ কোটি ১৯ লাখ টাকা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নগদ পরিশোধের জন্য হলমার্ককে চিঠি দেয়া হচ্ছে। অপরদিকে লুণ্ঠিত অর্র্থের বাকি অর্ধেক আদায়ের জন্য হলমার্কের সম্পদ জামানতের আওতায় বন্ধক রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সাভারের হেমায়েতপুরে অবস্থিত হলমার্কের সাড়ে ৪৬ একর জমি বন্ধকীর আওতায় আনা হয়েছে। একই এলাকায় সোমবার নতুন করে হলমার্ক আরও ১৩ একর জমি সোনালী ব্যাংককে দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। এ সকল জমির দলিলাদি সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত ২৭৭ কোটি টাকা নগদ আদায় করা হয়েছে। এর বাইরে সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে এলসিকৃত হলমার্কের সমুদয় রফতানি আয় ব্যাংকের এ্যাকাউন্টে ট্রান্সফারের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ সোনালী ব্যাংককে জানিয়েছেন, সোনালী ব্যাংকের কাছে বন্ধকী রাখা জমির সবই নিষ্কণ্টক। বর্তমান বাজারমূল্যে সাড়ে ৪৬ একর জমির মূল্য প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। আর ১৩ একর জমির বাজারমূল্য রয়েছে ৬৫০ কোটি টাকা।
তবে বন্ধকী নিতে যাওয়া জমির বাজারমূল্য আর হলমার্কের হাতিয়ে নেয়া অর্থের মূল্য সমপরিমাণ কিনা জানতে চাইলে সোনালী ব্যাংকের দায়িত্বশীল একটি মাধ্যম দাবি করেছে, হলমার্ক তাদের এ্যাসেসমেন্ট ব্যাংককে জানিয়েছে। কিন্তু ব্যাংক তো কারও এ্যাসেসমেন্টে চলে না। ব্যাংকের দরকার হচ্ছে নগদ অর্থ। আর ধর্ম হচ্ছে গ্রাহকের আমানতের নিরাপত্তা দেয়া। এই দুইটির সমন্বয় করতে হলে ব্যাংককে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে যেতে হয়। এক্ষেত্রে ব্যাংক নিষ্কণ্টক জমির বাজারমূল্য দুইভাবে বিবেচনায় নিতে পারে। প্রথমত মার্কেট ভ্যালুর ওপর ভিত্তি করে আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে ফোর্সড সেল ভ্যালুর ওপর ভিত্তি করে। এ অবস্থায় ব্যাংক ওই জমি কালই বিক্রি করতে গেলে যে দাম পাওয়া যাবে সেটিই প্রকৃত আদায় হিসাবে বিবেচনায় আনা হবে। সোনালী ব্যাংক সূত্র জানায়, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এখন এসব বিষয়ে চুলচেরা বিচার-বিশ্লেষণ করছে।
এদিকে জামানত থাকাকালীন হলমার্কের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক কর্মকা- চালিয়ে যেতে পারবে কিনা কিংবা ঋণ পাবে কিনা জানতে চাইলে পর্ষদের সদস্য কাসেম হুমায়ুন জনকণ্ঠকে জানান, সেটি নির্ভর করবে ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্ক, ব্যাংক বিধি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শের ওপর। তবে এটাই বাস্তবতা, সোনালী ব্যাংক লুণ্ঠিত অর্থ উদ্ধারে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে চায়। এতবড় জালিয়াতির ঘটনায় কোন বিষয়ে ছাড় দিতে রাজি নয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
অর্থ উদ্ধারে হলমার্কের কাছে সোনালী ব্যাংক চিঠি দিতে যাচ্ছে প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কাসেম হুমায়ুন বলেন, ‘হ্যাঁ সোনালী ব্যাংক পর্ষদ আজ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে হলমার্ককে চিঠি পাঠাবে।’ তিনি জানান, হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ গত রবিবার দুদকের জিজ্ঞাসা শেষে গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন তিনি সোনালী ব্যাংক থেকে ২৬শ’ কোটি টাকা ঋণ হিসাবে নিয়েছেন। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে সোনালী ব্যাংক এটাকে কিছুতেই ঋণ হিসাবে দেখছে না। এটি একটি জালিয়াতি। এ বিষয়ে দুদকের তদন্ত চলছে। এরপরই আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে দুদক।
কাসেম হুমায়ুন জানান, এ মুহূর্তে সোনালী ব্যাংক পর্ষদ লুণ্ঠিত অর্থ উদ্ধার ছাড়া অন্য কিছু ভাবছে না। যেহেতু তিনি গণমাধ্যমে নিজে স্বীকার করেছেন যে পরিমাণ ঋণ তিনি নিয়েছেন তার চেয়ে ২০ গুণ বেশি পরিমাণ সম্পত্তি তার রয়েছে। এতে প্রমাণিত হয় তিনি ঋণ পরিশোধে সক্ষম। তাই সোনালী ব্যাংক পর্ষদ হলমার্ককে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ঋণের অর্ধেক পরিশোধ করতে চিঠি দিতে যাচ্ছে। বাকি অর্ধেক ঋণ সম্পত্তি জামানতের আওতায় বন্ধকে রেখে আদায়ের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
No comments