১ অক্টোবর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তানভীর
তানভীর রহমান ১ অক্টোবর বাসা থেকে বের হওয়ার পর আর ফেরেননি। পরিবারের সদস্যরা পুলিশ-র্যাবের কাছে ধরনা দিয়েও তাঁর খোঁজ পাননি। অবশেষে ৯ অক্টোবর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন থেকে তাঁরা জানলেন, তানভীরকে সাগর-রুনি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তানভীরের বাবা মাহাবুবুর রহমান বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী। তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় তানভীর। গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুল, রাইফেলস কলেজ ও এআইইউবি থেকে পড়াশোনা শেষ করে স্কলাসটিকা স্কুলের শিক্ষার্থীবিষয়ক কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছেন তিনি।
তানভীরের মা তাহমিনা রহমানের সঙ্গে কথা হয় গতকাল তাঁদের উত্তরার বাড়িতে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে সাগর-রুনির সঙ্গে তানভীরের পরিচয় হয়। মাঝেমধ্যে ফোনে কথা হতো। ১০ ফেব্রুয়ারি রাত (যে রাতে সাগর-রুনি খুন হন) ১২টা পর্যন্ত তিনি ও তানভীর একসঙ্গে টিভি দেখেন। তখন তানভীর তাঁর মাকে জানান, পরদিন সকালে তিনি স্কুলের ছেলে-মেয়েদের নিয়ে পুবাইলে পিকনিকে যাবেন। এটা বলে তানভীর নিজের ঘরে ঘুমোতে চলে যান।
১১ ফেব্রুয়ারি সকালে তানভীর পিকনিকে যান। ওই দিন দুপুরে টিভিতে সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের কথা জানতে পারেন তাহমিনা। ফেরার পর সন্ধ্যায় তিনি (মা) তানভীরকে বিষয়টি জানালে আঁতকে ওঠেন তানভীর। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর মুঠোফোন থেকে রুনির মুঠোফোনে ফোন করে তানভীর কিছুটা আবেগে জিজ্ঞেস করেন ‘ঘটনা কি সত্যি, ঘটনা কি সত্যি! রুনির ফোন থেকে কেউ একজন ঘটনা সত্য বলে তানভীরকে জানায়। সঙ্গে সঙ্গে ওই প্রান্ত থেকে তানভীরের নাম-পরিচয় জানতে চাওয়া হয়। বাবার নামসহ তানভীর নাম-পরিচয় বলেন।
১২ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে ডিবির সহকারী কমিশনার সোলায়মানের নেতৃত্বে একটি দল তানভীরকে বাসা থেকে তাঁকে আটক করে নিয়ে যায় বলে জানান তাহমিনা রহমান।
১৪ ফেব্রুয়ারি দুই দিন জিজ্ঞাসাবাদের পর তানভীরকে ছেড়ে দেয় ডিবি। তানভীরের বাবাকে ডিবির কর্মকর্তারা বলেন, তানভীর এ ঘটনায় জড়িত নন। তবে তদন্তের স্বার্থে তথ্যের প্রয়োজন হলে তানভীরকে ডাকা হবে। তখন যেন তানভীর ডিবি কার্যালয়ে আসেন। এরপর অন্তত ১০ বার তানভীরকে ডিবি কার্যালয়ে ডাকা হয়।
মে মাসের মাঝামাঝি কোনো একদিন তানভীরকে র্যাব-১-এর একটি দল ধরে নিয়ে যায় বলে জানান তাহমিনা। তাঁকে একদিন আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেয় র্যাব। এর কয়েক দিন পর র্যাব তাঁর ব্যবহূত দুটি মুঠোফোন, ল্যাপটপ ও কম্পিউটার নিয়ে যায়। ওই দিনই মুঠোফোনসহ তানভীরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। প্রায় দেড় মাস পর একদিন র্যাব থেকে ফোন করে তানভীরকে ল্যাপটপ ও কম্পিউটার নিয়ে আসতে বলা হয়। তানভীর সেগুলো বাসায় নিয়ে আসে। এর কিছুদিন পরেই আবার র্যাব-২ থেকে তানভীরকে ডেকে নিয়ে সেদিনই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিছুদিন পর র্যাবের সদর দপ্তর থেকে হাবিবুর রহমান নামের একজন ফোন করে তানভীরকে ডাকেন। মাঝেমধ্যেই তানভীরকে র্যাবের সদর দপ্তরে ডেকে নিয়ে বিভিন্ন তথ্য জানতে চাইতেন হাবিবুর। রোজার মাসে তানভীরকে একদিন তাঁর বাসায় ডেকে নিয়ে যান হাবিবুর। তানভীর সারা দিন সেখানেই ছিলেন। তানভীরের কাছে রুনির কর্মস্থল বিষয়ে নানা কথা বলেন হাবিবুর। তানভীর তখন হাবিবুরকে বলেন, রুনি একবার তাঁকে বলেছিলেন, এটিএনে ঝামেলা হচ্ছে, তিনি চাকরি ছাড়তে চান। কয়েক দিন পরেই আবার রুনি বলেন, ঝামেলা মিটে গেছে। এরপর একদিন র্যাবের এএসপি জাফর তাঁকে ডেকে নিয়ে যান। তানভীর জাফরের কাছে গেলে জাফর তাঁকে নিয়ে ৭১ টিভির এক নারী সাংবাদিকের কাছে নিয়ে যান। ওই সাংবাদিক এ ঘটনা নিয়ে অনুসন্ধানী অনুষ্ঠান তৈরি করছেন বলে তানভীরকে জানানো হয়।
৩০ সেপ্টেম্বর আবারও র্যাব সদর দপ্তর থেকে ফোন করে তানভীর ১১ ফেব্রুয়ারি কোথায় ছিলেন, তা জানতে চাওয়া হয়। তানভীরের পিকনিকের সিডি চান কর্মকর্তারা। এরপর তানভীর সিডি নিয়ে র্যাব সদর দপ্তরে যায়। সেদিন তানভীরকে তাঁর পরিবার ও ব্যক্তিগত অনেক প্রশ্ন করেন র্যাবের কর্মকর্তারা। এই প্রশ্ন-উত্তর ভিডিও করা হয়।
তাহমিনা জানান, ২ অক্টোবর স্কুলের একটা অনুষ্ঠানে বাচ্চাদের নিয়ে তানভীরের ভারতের বেঙ্গালুরু যাওয়ার কথা ছিল। এ কারণে তানভীর ব্যস্ত ছিলেন।
১ অক্টোবর সকাল সোয়া সাতটায় বাসা থেকে বের হন তানভীর। বাসার গেট পার হওয়ার সময় তাঁর ফোন বেজে ওঠে। তানভীরকে কথা বলতে বলতে যেতে দেখেন দারোয়ান। কিছুক্ষণ পর তানভীরের প্রতিষ্ঠান থেকে একজন তাঁর বাবার মোবাইলে ফোন করে বলেন, তানভীর অফিসে আসেননি, তাঁর ফোন বন্ধ। এর পর থেকেই তানভীর নিখোঁজ। বিষয়টি নিয়ে ১ অক্টোবর উত্তরা পশ্চিম থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তানভীরের বাবা। র্যাব-ডিবি সব জায়গাতেই খোঁজাখুঁজি করা হয়। ৭ অক্টোবর তাঁরা র্যাব-১-এ এই বিষয়ে অভিযোগ দেন। এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখ থেকে তানভীরের গ্রেপ্তারের খবর পান।
পরিবারের সদস্যরা জানান, নয় দিন ধরে তানভীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক থাকলেও তারা তা স্বীকার করেনি। অথচ সংবিধান অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তিকে আটকের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে নিকটস্থ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হাজির করতে হবে।
তানভীরের মা তাহমিনা রহমানের সঙ্গে কথা হয় গতকাল তাঁদের উত্তরার বাড়িতে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে সাগর-রুনির সঙ্গে তানভীরের পরিচয় হয়। মাঝেমধ্যে ফোনে কথা হতো। ১০ ফেব্রুয়ারি রাত (যে রাতে সাগর-রুনি খুন হন) ১২টা পর্যন্ত তিনি ও তানভীর একসঙ্গে টিভি দেখেন। তখন তানভীর তাঁর মাকে জানান, পরদিন সকালে তিনি স্কুলের ছেলে-মেয়েদের নিয়ে পুবাইলে পিকনিকে যাবেন। এটা বলে তানভীর নিজের ঘরে ঘুমোতে চলে যান।
১১ ফেব্রুয়ারি সকালে তানভীর পিকনিকে যান। ওই দিন দুপুরে টিভিতে সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের কথা জানতে পারেন তাহমিনা। ফেরার পর সন্ধ্যায় তিনি (মা) তানভীরকে বিষয়টি জানালে আঁতকে ওঠেন তানভীর। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর মুঠোফোন থেকে রুনির মুঠোফোনে ফোন করে তানভীর কিছুটা আবেগে জিজ্ঞেস করেন ‘ঘটনা কি সত্যি, ঘটনা কি সত্যি! রুনির ফোন থেকে কেউ একজন ঘটনা সত্য বলে তানভীরকে জানায়। সঙ্গে সঙ্গে ওই প্রান্ত থেকে তানভীরের নাম-পরিচয় জানতে চাওয়া হয়। বাবার নামসহ তানভীর নাম-পরিচয় বলেন।
১২ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে ডিবির সহকারী কমিশনার সোলায়মানের নেতৃত্বে একটি দল তানভীরকে বাসা থেকে তাঁকে আটক করে নিয়ে যায় বলে জানান তাহমিনা রহমান।
১৪ ফেব্রুয়ারি দুই দিন জিজ্ঞাসাবাদের পর তানভীরকে ছেড়ে দেয় ডিবি। তানভীরের বাবাকে ডিবির কর্মকর্তারা বলেন, তানভীর এ ঘটনায় জড়িত নন। তবে তদন্তের স্বার্থে তথ্যের প্রয়োজন হলে তানভীরকে ডাকা হবে। তখন যেন তানভীর ডিবি কার্যালয়ে আসেন। এরপর অন্তত ১০ বার তানভীরকে ডিবি কার্যালয়ে ডাকা হয়।
মে মাসের মাঝামাঝি কোনো একদিন তানভীরকে র্যাব-১-এর একটি দল ধরে নিয়ে যায় বলে জানান তাহমিনা। তাঁকে একদিন আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেয় র্যাব। এর কয়েক দিন পর র্যাব তাঁর ব্যবহূত দুটি মুঠোফোন, ল্যাপটপ ও কম্পিউটার নিয়ে যায়। ওই দিনই মুঠোফোনসহ তানভীরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। প্রায় দেড় মাস পর একদিন র্যাব থেকে ফোন করে তানভীরকে ল্যাপটপ ও কম্পিউটার নিয়ে আসতে বলা হয়। তানভীর সেগুলো বাসায় নিয়ে আসে। এর কিছুদিন পরেই আবার র্যাব-২ থেকে তানভীরকে ডেকে নিয়ে সেদিনই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিছুদিন পর র্যাবের সদর দপ্তর থেকে হাবিবুর রহমান নামের একজন ফোন করে তানভীরকে ডাকেন। মাঝেমধ্যেই তানভীরকে র্যাবের সদর দপ্তরে ডেকে নিয়ে বিভিন্ন তথ্য জানতে চাইতেন হাবিবুর। রোজার মাসে তানভীরকে একদিন তাঁর বাসায় ডেকে নিয়ে যান হাবিবুর। তানভীর সারা দিন সেখানেই ছিলেন। তানভীরের কাছে রুনির কর্মস্থল বিষয়ে নানা কথা বলেন হাবিবুর। তানভীর তখন হাবিবুরকে বলেন, রুনি একবার তাঁকে বলেছিলেন, এটিএনে ঝামেলা হচ্ছে, তিনি চাকরি ছাড়তে চান। কয়েক দিন পরেই আবার রুনি বলেন, ঝামেলা মিটে গেছে। এরপর একদিন র্যাবের এএসপি জাফর তাঁকে ডেকে নিয়ে যান। তানভীর জাফরের কাছে গেলে জাফর তাঁকে নিয়ে ৭১ টিভির এক নারী সাংবাদিকের কাছে নিয়ে যান। ওই সাংবাদিক এ ঘটনা নিয়ে অনুসন্ধানী অনুষ্ঠান তৈরি করছেন বলে তানভীরকে জানানো হয়।
৩০ সেপ্টেম্বর আবারও র্যাব সদর দপ্তর থেকে ফোন করে তানভীর ১১ ফেব্রুয়ারি কোথায় ছিলেন, তা জানতে চাওয়া হয়। তানভীরের পিকনিকের সিডি চান কর্মকর্তারা। এরপর তানভীর সিডি নিয়ে র্যাব সদর দপ্তরে যায়। সেদিন তানভীরকে তাঁর পরিবার ও ব্যক্তিগত অনেক প্রশ্ন করেন র্যাবের কর্মকর্তারা। এই প্রশ্ন-উত্তর ভিডিও করা হয়।
তাহমিনা জানান, ২ অক্টোবর স্কুলের একটা অনুষ্ঠানে বাচ্চাদের নিয়ে তানভীরের ভারতের বেঙ্গালুরু যাওয়ার কথা ছিল। এ কারণে তানভীর ব্যস্ত ছিলেন।
১ অক্টোবর সকাল সোয়া সাতটায় বাসা থেকে বের হন তানভীর। বাসার গেট পার হওয়ার সময় তাঁর ফোন বেজে ওঠে। তানভীরকে কথা বলতে বলতে যেতে দেখেন দারোয়ান। কিছুক্ষণ পর তানভীরের প্রতিষ্ঠান থেকে একজন তাঁর বাবার মোবাইলে ফোন করে বলেন, তানভীর অফিসে আসেননি, তাঁর ফোন বন্ধ। এর পর থেকেই তানভীর নিখোঁজ। বিষয়টি নিয়ে ১ অক্টোবর উত্তরা পশ্চিম থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তানভীরের বাবা। র্যাব-ডিবি সব জায়গাতেই খোঁজাখুঁজি করা হয়। ৭ অক্টোবর তাঁরা র্যাব-১-এ এই বিষয়ে অভিযোগ দেন। এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখ থেকে তানভীরের গ্রেপ্তারের খবর পান।
পরিবারের সদস্যরা জানান, নয় দিন ধরে তানভীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক থাকলেও তারা তা স্বীকার করেনি। অথচ সংবিধান অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তিকে আটকের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে নিকটস্থ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হাজির করতে হবে।
No comments