হেনরীর সম্পদের খোঁজে ব্যাংকে ব্যাংকে চিঠি
সোনালী ব্যাংকের সদ্য বিদায়ী পরিচালক জান্নাত আরা তালুকদার হেনরীর সম্পদের খোঁজে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ছাড়া তাঁর ফ্ল্যাট ও গাড়ির তথ্য জানতে রিহ্যাব ও বিআরটিএতেও চিঠি দেওয়া হয়েছে।
দুদকের অনুসন্ধান-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিগগিরই হেনরীকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তলব করা হবে। পাশাপাশি নোটিশ পাঠানো হবে তাঁর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব চেয়েও।
হেনরীর যাবতীয় সম্পদের তথ্য সরবরাহের অনুরোধ জানিয়ে দুদকের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম গতকাল বুধবার ঢাকা ও সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়েছেন বলে জানা গেছে। চিঠি দেওয়া হয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, সিরাজগঞ্জের সবুজ কানন হাই স্কুল এবং সিরাজগঞ্জ জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে।
হেনরীর জানা আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য গত ৩০ সেপ্টেম্বর জাহাঙ্গীর আলমকে নতুন করে দায়িত্ব দেয় দুদক। এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে হেনরীর নিজ জেলা সিরাজগঞ্জে সংশ্লিষ্ট দুদক অফিস থেকে তাঁর সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তবে হেনরী একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের পরিচালক হওয়ায় সে সময় তাঁর সম্পদের তদন্তের বিষয়ে দুদক প্রধান কার্যালয়ের অনুমতি চাওয়া হয়। এরপরই তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলমকে।
স্কুল শিক্ষক থেকে ব্যাংক পরিচালক : জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী ছিলেন জেলা শহরের একটি মধ্যমমানের হাই স্কুলের শিক্ষক। বছর চারেক আগেও তাঁর জীবনযাপন ছিল খুবই সাদামাটা। চলাফেরা করতেন রিকশায়। সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের নেতা প্রয়াত মোতাহার হোসেন তালুকদারের পুত্রবধূ হিসেবে ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-২ (সদর) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান হেনরী। কিন্তু পরাজিত হন বিএনপির প্রার্থী রুমানা মাহমুদের কাছে।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ক্ষমতা গ্রহণের পর রাতারাতি পাল্টে যেতে থাকে হেনরীর জীবনধারা। সরকারের উঁচু মহলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের সুবাদেই হেনরীর দ্রুত উত্থান হয় বলে জানা গেছে।
সিরাজগঞ্জ শহরের সবুজ কানন হাই স্কুলের শিক্ষক হেনরী ২০০৯ সালে সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হন। এরপর দ্রুত মালিক হন বিপুল পরিমাণ অর্থ-বিত্তের। গাড়ি-বাড়ি আর সামাজিক অবস্থানেরও পরিবর্তন হয় রাতারাতি। হেনরী বর্তমানে মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদিকা।
গত সংসদ নির্বাচনের সময় দেওয়া হলফনামায় স্কুল শিক্ষিকা জান্নাত আরা হেনরী তাঁর মাসিক আয় উল্লেখ করেছিলেন ১০ হাজার টাকা। হলফনামা অনুযায়ী তাঁদের স্বামী-স্ত্রীর কাছে নগদ সাড়ে চার লাখ টাকা ছিল। তখন স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ দেখিয়েছিলেন চার বিঘার কিছু কম, যার মূল্য ছয় লাখ টাকা। অভিযোগ রয়েছে, সোনালী ব্যাংকের পরিচালক হওয়ার পর থেকে ঋণ দেওয়া, নিয়োগ-বাণিজ্য, কর্মকর্তাদের পদোন্নতি ও বদলি, ঋণ মওকুফ, শাখা খোলাসহ বিভিন্ন কাজে তদবির করে সাড়ে তিন বছরে হেনরী প্রায় শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।
হেনরীর যাবতীয় সম্পদের তথ্য সরবরাহের অনুরোধ জানিয়ে দুদকের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম গতকাল বুধবার ঢাকা ও সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়েছেন বলে জানা গেছে। চিঠি দেওয়া হয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, সিরাজগঞ্জের সবুজ কানন হাই স্কুল এবং সিরাজগঞ্জ জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে।
হেনরীর জানা আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য গত ৩০ সেপ্টেম্বর জাহাঙ্গীর আলমকে নতুন করে দায়িত্ব দেয় দুদক। এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে হেনরীর নিজ জেলা সিরাজগঞ্জে সংশ্লিষ্ট দুদক অফিস থেকে তাঁর সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তবে হেনরী একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের পরিচালক হওয়ায় সে সময় তাঁর সম্পদের তদন্তের বিষয়ে দুদক প্রধান কার্যালয়ের অনুমতি চাওয়া হয়। এরপরই তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলমকে।
স্কুল শিক্ষক থেকে ব্যাংক পরিচালক : জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী ছিলেন জেলা শহরের একটি মধ্যমমানের হাই স্কুলের শিক্ষক। বছর চারেক আগেও তাঁর জীবনযাপন ছিল খুবই সাদামাটা। চলাফেরা করতেন রিকশায়। সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের নেতা প্রয়াত মোতাহার হোসেন তালুকদারের পুত্রবধূ হিসেবে ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-২ (সদর) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান হেনরী। কিন্তু পরাজিত হন বিএনপির প্রার্থী রুমানা মাহমুদের কাছে।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ক্ষমতা গ্রহণের পর রাতারাতি পাল্টে যেতে থাকে হেনরীর জীবনধারা। সরকারের উঁচু মহলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের সুবাদেই হেনরীর দ্রুত উত্থান হয় বলে জানা গেছে।
সিরাজগঞ্জ শহরের সবুজ কানন হাই স্কুলের শিক্ষক হেনরী ২০০৯ সালে সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হন। এরপর দ্রুত মালিক হন বিপুল পরিমাণ অর্থ-বিত্তের। গাড়ি-বাড়ি আর সামাজিক অবস্থানেরও পরিবর্তন হয় রাতারাতি। হেনরী বর্তমানে মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদিকা।
গত সংসদ নির্বাচনের সময় দেওয়া হলফনামায় স্কুল শিক্ষিকা জান্নাত আরা হেনরী তাঁর মাসিক আয় উল্লেখ করেছিলেন ১০ হাজার টাকা। হলফনামা অনুযায়ী তাঁদের স্বামী-স্ত্রীর কাছে নগদ সাড়ে চার লাখ টাকা ছিল। তখন স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ দেখিয়েছিলেন চার বিঘার কিছু কম, যার মূল্য ছয় লাখ টাকা। অভিযোগ রয়েছে, সোনালী ব্যাংকের পরিচালক হওয়ার পর থেকে ঋণ দেওয়া, নিয়োগ-বাণিজ্য, কর্মকর্তাদের পদোন্নতি ও বদলি, ঋণ মওকুফ, শাখা খোলাসহ বিভিন্ন কাজে তদবির করে সাড়ে তিন বছরে হেনরী প্রায় শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।
No comments