তদন্ত প্রতিবেদন আজ-রোহিঙ্গা, জামায়াত-শিবিরও জড়িত, প্রশাসন ব্যর্থ by পারভেজ খান ও তোফায়েল আহমদ
রামুর বৌদ্ধপল্লীতে হামলার ঘটনাটি পরিকল্পিত এবং এর সঙ্গে আরাকান রোহিঙ্গা ইউনিয়ন নামের মিয়ানমারভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনসহ জামায়াত-শিবির ও ইসলামী ঐক্যজোটের ক্যাডারদের জড়িত থাকার কথা উঠে এসেছে সরকার গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে।
একই সঙ্গে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের স্থানীয় পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের প্রতিবাদ মিছিলকে কাজে লাগায় হামলাকারীরা। এ সময় দায়িত্ব পালনে চরম গাফিলতি করে প্রশাসন।
চার সদস্যের কমিটির প্রতিবেদনটি গতকাল বুধবার জমা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আগের রাতে মোকতাদির আরিফ (১৮) নামের গ্রেপ্তার হওয়া তরুণের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার আশায় প্রতিবেদন দেওয়া স্থগিত রাখা হয়। মোকতাদিরকে এক বৌদ্ধ যুবকের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পবিত্র কোরআন অবমাননার ছবি ডাউন লোড করে লোকজনকে দেখানোর অভিযোগে গত মঙ্গলবার গভীর রাতে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল সারা দিন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত কমিটি। জিজ্ঞাসাবাদের সঙ্গে জড়িত সূত্রে জানা যায়, তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য না পেয়ে কমিটি হতাশা প্রকাশ করেছে। তাই আগামীকালই (আজ বৃহস্পতিবার) প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
কী থাকছে তদন্ত প্রতিবেদনে : সূত্রে জানা যায়, তদন্ত কমিটি জানতে পেরেছে- গত ২৯ সেপ্টেম্বরের বৌদ্ধপল্লীর হামলার ঘটনাটি ছিল পরিকল্পিত। এ ঘটনার নেপথ্যে অর্থের জোগান দিয়েছে মিয়ানমারের আরাকানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও)। সংগঠনটি নতুন করে আরাকান রোহিঙ্গা ইউনিয়ন নামে বর্তমানে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে রোহিঙ্গারাও ছিল। আরএসওর শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত থেকেই এ ঘটনা ঘটিয়েছে। সালামত উল্লাহ নামের আরএসওর সাবেক সাধারণ সম্পাদকসহ ঘটনার সময় সংগঠনটির আরো একজনের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।
ওই দিন ফেসবুকের অবমাননাকর ছবি নিয়ে সর্বপ্রথম মিছিল বের করেন রামুর আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তাঁদের মিছিলের খবর ছিল রোহিঙ্গা জঙ্গি, জামায়াত-শিবির ক্যাডারসহ কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কাছে। ওই প্রতিবাদ মিছিলের সুযোগ নিয়েই মোটরসাইকেলে আসা জামায়াত-শিবিরের ক্যাডার ও রোহিঙ্গা জঙ্গিরা বৌদ্ধপল্লীতে হামলা, লুট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায়।
রামুর বৌদ্ধপল্লীতে হামলায় অংশগ্রহণকারী প্রায় দুই শতাধিক ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে তদন্ত কমিটি। ওই রাতের ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের শনাক্ত করা হয়। তাঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের স্থানীয় পর্যায়ের নেতা-কর্মীও রয়েছেন।
তদন্ত কমিটির সদস্যরা রামুর বৌদ্ধপল্লীর ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়হীনতার ব্যাপারটি জানতে পেরে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও থানা এবং গোয়েন্দা সংস্থাসহ সরকারি কর্মকর্তারা নজিরবিহীন নিষ্ক্রিয়তার মাধ্যমে ওই হামলা ঠেকাতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। সেই রাতে কক্সবাজার জেলা শহরে ছিল জেলা প্রশাসকের বিদায় অনুষ্ঠান। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জয়নুল বারী ঘটনার আগেই বদলির নির্দেশ পান চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক হিসেবে। এ কারণে কয়েক দিন থেকেই বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছিল। ঘটনার রাতে তাঁর বিদায় অনুষ্ঠানেই আসে রামুর সহিংস পরিস্থিতির খবর। অনুষ্ঠানে রামুর নির্বাহী কর্মকর্তা দেবী চন্দও উপস্থিত ছিলেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে সংবাদ পেয়ে তিনি রামুতে ফিরে যান। কিন্তু রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপার যাননি মাত্র ১৭ কিলোমিটার দূরে ঘটনাস্থলে। তাঁরা ঘটনাস্থলে যান সহিংসতা শেষ হলে, রাত সাড়ে ৩টার পর।
রামু থেকে সেই বিভীষিকার খবরও যথাযথভাবে পেঁৗছানো হয়নি কক্সবাজার জেলা শহরে। রামু থানার ওসি নজিবুল ইসলাম (বর্তমানে প্রত্যাহারকৃত) তাঁর দায়িত্ব পালন করেননি ঠিকভাবে। তেমনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা থেকে শুরু করে অন্যরাও দায়িত্ব পালনে চরম গাফিলতি দেখান।
সূত্র জানায়, স্থানীয় আওয়ামী লীগের অন্তর্দ্বন্দ্ব তথা রামুর 'দুই ভাইয়ের' দলাদলির কারণও এ সহিংস ঘটনায় প্রভাব ফেলেছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে। বড় ভাই সোহেল সরোয়ার কাজল রামু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। আর ছোট ভাই সাইমুম সরোয়ার কমল স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা। দুই ভাইয়ের মধ্যে মুখ দেখাদেখি নেই বহু বছর। ২৯ সেপ্টেম্বরের ঘটনায় এ দুই ভাইয়ের অন্তঃকলহও কাজ করেছে বলে তথ্য পেয়েছেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ নুরুল ইসলামকে প্রধান করে গঠিত তদন্ত কমিটির অন্য তিন সদস্য হলেন বান্দরবানের পুলিশ সুপার কামরুল হাসান, কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবদুর রউফ এবং কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বাবুল আকতার। রামুর সহিংস ঘটনার এক দিন পরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ কমিটি গঠন করে। কমিটিকে ১০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট প্রদানের কথা বলা হয়।
মোকতাদিরকে জিজ্ঞাসাবাদ : মঙ্গলবার রাতে আটক মোকতাদির চট্টগ্রামের শ্যামলী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কম্পিউটার ডিপ্লোমা বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারের ছাত্র। বৌদ্ধ যুবকের ফেসবুকের ধর্মীয় অবমাননাকর ছবির সঙ্গে তার সম্পর্ক বের করার জন্য তদন্ত কর্মকর্তারা চেষ্টা চালান। তবে গত রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সে তেমন গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্য দেয়নি। সূত্র জানায়, রামুর শ্রীকূল গ্রামের শাহাবুদ্দিনের ছেলে মোকতাদির শুধু বলেছে, বৌদ্ধ যুবকটির ফেসবুক ফ্রেন্ড হচ্ছে ফারুক। তার কাছ থেকে হয়তো অনেক কিছু জানা যেতে পারে। রামুর কম্পিউটার দোকানি ফারুক আগেই গ্রেপ্তার হয়েছে।
আমাদের চট্টগ্রাম অফিস জানায়, মঙ্গলবার গভীর রাতে চট্টগ্রামের মুরাদপুর এলাকা থেকে মোকতাদিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বাবুল আকতার বলেন, 'মোকতাদিরই প্রথম ফেসবুক থেকে ছবি ডাউনলোড করে স্থানীয় লোকজনকে দেখিয়েছিল।' তিনি বলেন, 'ঘটনার দিন বিকেলে মোকতাদির রামু বাজারে একটি মোবাইল ফোনের দোকানে বসে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে বৌদ্ধ যুবকটির প্রোফাইলে যায় এবং সেই সব অবমাননাকর ছবি ডাউনলোড করে স্থানীয় লোকজনকে দেখায়।'
চার সদস্যের কমিটির প্রতিবেদনটি গতকাল বুধবার জমা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আগের রাতে মোকতাদির আরিফ (১৮) নামের গ্রেপ্তার হওয়া তরুণের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার আশায় প্রতিবেদন দেওয়া স্থগিত রাখা হয়। মোকতাদিরকে এক বৌদ্ধ যুবকের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পবিত্র কোরআন অবমাননার ছবি ডাউন লোড করে লোকজনকে দেখানোর অভিযোগে গত মঙ্গলবার গভীর রাতে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল সারা দিন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত কমিটি। জিজ্ঞাসাবাদের সঙ্গে জড়িত সূত্রে জানা যায়, তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য না পেয়ে কমিটি হতাশা প্রকাশ করেছে। তাই আগামীকালই (আজ বৃহস্পতিবার) প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
কী থাকছে তদন্ত প্রতিবেদনে : সূত্রে জানা যায়, তদন্ত কমিটি জানতে পেরেছে- গত ২৯ সেপ্টেম্বরের বৌদ্ধপল্লীর হামলার ঘটনাটি ছিল পরিকল্পিত। এ ঘটনার নেপথ্যে অর্থের জোগান দিয়েছে মিয়ানমারের আরাকানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও)। সংগঠনটি নতুন করে আরাকান রোহিঙ্গা ইউনিয়ন নামে বর্তমানে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে রোহিঙ্গারাও ছিল। আরএসওর শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত থেকেই এ ঘটনা ঘটিয়েছে। সালামত উল্লাহ নামের আরএসওর সাবেক সাধারণ সম্পাদকসহ ঘটনার সময় সংগঠনটির আরো একজনের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।
ওই দিন ফেসবুকের অবমাননাকর ছবি নিয়ে সর্বপ্রথম মিছিল বের করেন রামুর আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তাঁদের মিছিলের খবর ছিল রোহিঙ্গা জঙ্গি, জামায়াত-শিবির ক্যাডারসহ কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কাছে। ওই প্রতিবাদ মিছিলের সুযোগ নিয়েই মোটরসাইকেলে আসা জামায়াত-শিবিরের ক্যাডার ও রোহিঙ্গা জঙ্গিরা বৌদ্ধপল্লীতে হামলা, লুট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায়।
রামুর বৌদ্ধপল্লীতে হামলায় অংশগ্রহণকারী প্রায় দুই শতাধিক ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে তদন্ত কমিটি। ওই রাতের ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের শনাক্ত করা হয়। তাঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের স্থানীয় পর্যায়ের নেতা-কর্মীও রয়েছেন।
তদন্ত কমিটির সদস্যরা রামুর বৌদ্ধপল্লীর ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়হীনতার ব্যাপারটি জানতে পেরে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও থানা এবং গোয়েন্দা সংস্থাসহ সরকারি কর্মকর্তারা নজিরবিহীন নিষ্ক্রিয়তার মাধ্যমে ওই হামলা ঠেকাতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। সেই রাতে কক্সবাজার জেলা শহরে ছিল জেলা প্রশাসকের বিদায় অনুষ্ঠান। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জয়নুল বারী ঘটনার আগেই বদলির নির্দেশ পান চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক হিসেবে। এ কারণে কয়েক দিন থেকেই বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছিল। ঘটনার রাতে তাঁর বিদায় অনুষ্ঠানেই আসে রামুর সহিংস পরিস্থিতির খবর। অনুষ্ঠানে রামুর নির্বাহী কর্মকর্তা দেবী চন্দও উপস্থিত ছিলেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে সংবাদ পেয়ে তিনি রামুতে ফিরে যান। কিন্তু রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপার যাননি মাত্র ১৭ কিলোমিটার দূরে ঘটনাস্থলে। তাঁরা ঘটনাস্থলে যান সহিংসতা শেষ হলে, রাত সাড়ে ৩টার পর।
রামু থেকে সেই বিভীষিকার খবরও যথাযথভাবে পেঁৗছানো হয়নি কক্সবাজার জেলা শহরে। রামু থানার ওসি নজিবুল ইসলাম (বর্তমানে প্রত্যাহারকৃত) তাঁর দায়িত্ব পালন করেননি ঠিকভাবে। তেমনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা থেকে শুরু করে অন্যরাও দায়িত্ব পালনে চরম গাফিলতি দেখান।
সূত্র জানায়, স্থানীয় আওয়ামী লীগের অন্তর্দ্বন্দ্ব তথা রামুর 'দুই ভাইয়ের' দলাদলির কারণও এ সহিংস ঘটনায় প্রভাব ফেলেছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে। বড় ভাই সোহেল সরোয়ার কাজল রামু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। আর ছোট ভাই সাইমুম সরোয়ার কমল স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা। দুই ভাইয়ের মধ্যে মুখ দেখাদেখি নেই বহু বছর। ২৯ সেপ্টেম্বরের ঘটনায় এ দুই ভাইয়ের অন্তঃকলহও কাজ করেছে বলে তথ্য পেয়েছেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ নুরুল ইসলামকে প্রধান করে গঠিত তদন্ত কমিটির অন্য তিন সদস্য হলেন বান্দরবানের পুলিশ সুপার কামরুল হাসান, কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবদুর রউফ এবং কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বাবুল আকতার। রামুর সহিংস ঘটনার এক দিন পরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ কমিটি গঠন করে। কমিটিকে ১০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট প্রদানের কথা বলা হয়।
মোকতাদিরকে জিজ্ঞাসাবাদ : মঙ্গলবার রাতে আটক মোকতাদির চট্টগ্রামের শ্যামলী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কম্পিউটার ডিপ্লোমা বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারের ছাত্র। বৌদ্ধ যুবকের ফেসবুকের ধর্মীয় অবমাননাকর ছবির সঙ্গে তার সম্পর্ক বের করার জন্য তদন্ত কর্মকর্তারা চেষ্টা চালান। তবে গত রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সে তেমন গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্য দেয়নি। সূত্র জানায়, রামুর শ্রীকূল গ্রামের শাহাবুদ্দিনের ছেলে মোকতাদির শুধু বলেছে, বৌদ্ধ যুবকটির ফেসবুক ফ্রেন্ড হচ্ছে ফারুক। তার কাছ থেকে হয়তো অনেক কিছু জানা যেতে পারে। রামুর কম্পিউটার দোকানি ফারুক আগেই গ্রেপ্তার হয়েছে।
আমাদের চট্টগ্রাম অফিস জানায়, মঙ্গলবার গভীর রাতে চট্টগ্রামের মুরাদপুর এলাকা থেকে মোকতাদিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বাবুল আকতার বলেন, 'মোকতাদিরই প্রথম ফেসবুক থেকে ছবি ডাউনলোড করে স্থানীয় লোকজনকে দেখিয়েছিল।' তিনি বলেন, 'ঘটনার দিন বিকেলে মোকতাদির রামু বাজারে একটি মোবাইল ফোনের দোকানে বসে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে বৌদ্ধ যুবকটির প্রোফাইলে যায় এবং সেই সব অবমাননাকর ছবি ডাউনলোড করে স্থানীয় লোকজনকে দেখায়।'
No comments