পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে ঢিলেমি
সরকার প্রতিশ্রুতি ও আশাবাদের কথা যতই বলুক, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি শিগগিরই বাস্তবায়িত হচ্ছে না। চুক্তি বাস্তবায়নের কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের মধ্যে একপ্রকার ঢিলেমি রয়েছে। এ অবস্থায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) নতুন করণীয় নির্ধারণের উদ্যোগ নিয়েছে।
সরকারি-বেসরকারি সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো থেকে এ খবর জানা গেছে। সরকারের ঢিলেমি সম্পর্কে জানতে চাইলে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা প্রথম আলোকে বলেন, চুক্তি বাস্তবায়নের কাজ থেমে নেই। পর্যায়ক্রমে তা এগোচ্ছে।
আর ওই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদার একাধিকবার বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে যে জট পাকিয়েছে, তা খুলে চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নে কিছুটা সময় লাগবে। তবে বর্তমান সরকার চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নের পথেই হাঁটছে।
তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, অতীতের কথা বাদ দিলেও সরকারের গৃহীত সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলোও বিলম্বিত হতে হতে শেষ পর্যন্ত অকার্যকরই থেকে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছে। গত ৩০ জুলাই পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন, ২০০১-এর সংশোধনী চূড়ান্ত করা হয়েছিল যে আন্তমন্ত্রণালয় সভায়, সেই সভার কার্যবিবরণী এখন পর্যন্ত তৈরি করা হয়নি।
অথচ সংসদের গত অধিবেশনেই ওই সংশোধনী বিল আকারে উত্থাপিত হওয়ার কথা ছিল। ভূমি মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, এখন যা অবস্থা, তাতে সংসদের আগামী অধিবেশনেও তা উঠবে কি না, সে ব্যাপারে সন্দেহ আছে। কিন্তু ওই আইন সংশোধনের মাধ্যমে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের মূল কাজটি শুরু হবে না।
ওই আন্তমন্ত্রণালয় সভার পর জেএসএসের একটি সূত্র প্রথম আলোকে বলেছিল, আইনের সংশোধনী চূড়ান্ত হলেও এখনো অনেক বাধা আসতে পারে। সভায় যেভাবে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেভাবে কার্যবিবরণী না-ও লেখা হতে পারে। সংসদে উত্থাপনের জন্য বিলে কী লেখা হয়, সেটাও দেখার বিষয় হবে। অতীতে এ রকম নানাভাবে বিষয়টি বিলম্বিত করা হয়েছে।
সরকারি-বেসরকারি সূত্রগুলো চুক্তি বাস্তবায়ন পরিস্থিতি সম্পর্কে আরও একটি বিষয়ের উল্লেখ করে। তারা বলে, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভীর উপস্থিতিতে গত জুলাই মাসের শুরুতে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পর্যায়ক্রমে ১৮টি মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে সভা করা হয়। উদ্দেশ্য ছিল, আগস্টের মধ্যে তিন পার্বত্য জেলার সব সরকারি দপ্তর ও বিভাগ সংশ্লিষ্ট জেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তর।
তিন দিনের ওই সভায় আলোচনা করা হয়েছিল, আগস্ট মাসের শেষ দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে একসঙ্গে সব বিষয় জেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তিন দিনের মধ্যে দ্বিতীয় দিনের (গত ২ জুলাই) সভায় গওহর রিজভী বলেছিলেন, আগস্টের মধ্যে অহস্তান্তরিত সব বিষয় জেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তর করতে হবে। যেসব মন্ত্রণালয় তা পারবে না, কেন পারবে না এবং কত দিনে পারবে, তা লিখিতভাবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে জানাবে।
সেই আগস্টের পর সেপ্টেম্বর শেষে অক্টোবের দ্বিতীয় সপ্তাহে গড়িয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত অধিকাংশ মন্ত্রণালয় হস্তান্তর সম্পর্কে কোনো প্রস্তাবই তৈরি করেনি বলে জানা গেছে। অথচ স্থানীয় পর্যায়ের এ বিভাগগুলো পার্বত্য জেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তর পার্বত্য চুক্তিরই অংশ।
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সরকার ও জেএসএসের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের পর এ পর্যন্ত ১৭টি দপ্তর ও বিভাগের কিছু কিছু বিষয় জেলা পরিষদগুলোর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে দুটি পার্বত্য জেলা পরিষদের কাছে মাত্র দুটি বিষয় হস্তান্তর করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে রাঙামাটি জেলার নার্সিং প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ও খাগড়াছড়ি জেলার যুব উন্নয়ন কার্যালয়।
চুক্তি বাস্তবায়নের এ অবস্থায় জেএসএস নতুন করে করণীয় নির্ধারণের উদ্যোগ নিয়েছে। সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের সভায় আলোচনার মাধ্যমে জেএসএস এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে হরতাল-অবরোধের মতো প্রচলিত ধারার আন্দোলনে চুক্তি বাস্তবায়ন হবে না।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে জেএসএসের কেন্দ্রীয় সহকারী তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সজীব চাকমা রাঙামাটিতে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক হরি কিশোর চাকমাকে বলেন, জেএসএসের প্রধান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমা গত বছরের ২৯ নভেম্বর ঢাকায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। আন্দোলনের প্রস্তুতি হিসেবে এ বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত বিভিন্ন সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। কিন্তু পার্বত্য এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি ও প্রধানমন্ত্রীর দূত হিসেবে তাঁর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভীর রাঙামাটি এসে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের আশ্বাস প্রদান এবং ঢাকায় পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠানের পর বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। তবে যেকোনো সময় চূড়ান্ত আন্দোলনের প্রস্তুতি জেএসএসের রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত রাঙামাটি জেলা পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সন্তু লারমা বলেন, চুক্তি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াকে প্রলম্বিত করতে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। সরকারের মেয়াদ প্রায় শেষ হয়ে এলেও চুক্তি বাস্তবায়নে সরকার এগিয়ে আসছে না। তিনি ছাত্রসমাজকে আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘যেভাবে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে চুক্তিতে উপনীত হতে বাধ্য করেছি, সেভাবেই বাস্তবায়নে বাধ্য করতে হবে।’
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সরকার ও জেএসএসের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরের পর ওই অঞ্চলের ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ২০০১ সালে সংসদ একটি আইন পাস করে। এরপর জেএসএস ওই আইন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির মধ্যে ২৩টি অসামঞ্জস্য বের করে সেগুলো সংশোধনের জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব দেয় এবং এসব সংশোধন ছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশন কার্যকর না করার দাবি তোলে।
২০০২ সাল থেকে প্রতিটি সরকার জেএসএসের ওই সংশোধনী প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেছে এবং সংশোধনের বিষয়ে একমত পোষণ করেছে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে কখনই বিষয়টি চূড়ান্ত করে আইনটি পাস করা হয়নি। ফলে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশনও কার্যকর হতে পারেনি। ওই অঞ্চলের মানুষের প্রধান সমস্যা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির অন্যতম প্রধান বিষয় ভূমি বিরোধও নিষ্পত্তি হয়নি।
আর ওই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদার একাধিকবার বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে যে জট পাকিয়েছে, তা খুলে চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নে কিছুটা সময় লাগবে। তবে বর্তমান সরকার চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নের পথেই হাঁটছে।
তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, অতীতের কথা বাদ দিলেও সরকারের গৃহীত সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলোও বিলম্বিত হতে হতে শেষ পর্যন্ত অকার্যকরই থেকে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছে। গত ৩০ জুলাই পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন, ২০০১-এর সংশোধনী চূড়ান্ত করা হয়েছিল যে আন্তমন্ত্রণালয় সভায়, সেই সভার কার্যবিবরণী এখন পর্যন্ত তৈরি করা হয়নি।
অথচ সংসদের গত অধিবেশনেই ওই সংশোধনী বিল আকারে উত্থাপিত হওয়ার কথা ছিল। ভূমি মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, এখন যা অবস্থা, তাতে সংসদের আগামী অধিবেশনেও তা উঠবে কি না, সে ব্যাপারে সন্দেহ আছে। কিন্তু ওই আইন সংশোধনের মাধ্যমে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের মূল কাজটি শুরু হবে না।
ওই আন্তমন্ত্রণালয় সভার পর জেএসএসের একটি সূত্র প্রথম আলোকে বলেছিল, আইনের সংশোধনী চূড়ান্ত হলেও এখনো অনেক বাধা আসতে পারে। সভায় যেভাবে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেভাবে কার্যবিবরণী না-ও লেখা হতে পারে। সংসদে উত্থাপনের জন্য বিলে কী লেখা হয়, সেটাও দেখার বিষয় হবে। অতীতে এ রকম নানাভাবে বিষয়টি বিলম্বিত করা হয়েছে।
সরকারি-বেসরকারি সূত্রগুলো চুক্তি বাস্তবায়ন পরিস্থিতি সম্পর্কে আরও একটি বিষয়ের উল্লেখ করে। তারা বলে, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভীর উপস্থিতিতে গত জুলাই মাসের শুরুতে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পর্যায়ক্রমে ১৮টি মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে সভা করা হয়। উদ্দেশ্য ছিল, আগস্টের মধ্যে তিন পার্বত্য জেলার সব সরকারি দপ্তর ও বিভাগ সংশ্লিষ্ট জেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তর।
তিন দিনের ওই সভায় আলোচনা করা হয়েছিল, আগস্ট মাসের শেষ দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে একসঙ্গে সব বিষয় জেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তিন দিনের মধ্যে দ্বিতীয় দিনের (গত ২ জুলাই) সভায় গওহর রিজভী বলেছিলেন, আগস্টের মধ্যে অহস্তান্তরিত সব বিষয় জেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তর করতে হবে। যেসব মন্ত্রণালয় তা পারবে না, কেন পারবে না এবং কত দিনে পারবে, তা লিখিতভাবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে জানাবে।
সেই আগস্টের পর সেপ্টেম্বর শেষে অক্টোবের দ্বিতীয় সপ্তাহে গড়িয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত অধিকাংশ মন্ত্রণালয় হস্তান্তর সম্পর্কে কোনো প্রস্তাবই তৈরি করেনি বলে জানা গেছে। অথচ স্থানীয় পর্যায়ের এ বিভাগগুলো পার্বত্য জেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তর পার্বত্য চুক্তিরই অংশ।
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সরকার ও জেএসএসের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের পর এ পর্যন্ত ১৭টি দপ্তর ও বিভাগের কিছু কিছু বিষয় জেলা পরিষদগুলোর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে দুটি পার্বত্য জেলা পরিষদের কাছে মাত্র দুটি বিষয় হস্তান্তর করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে রাঙামাটি জেলার নার্সিং প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ও খাগড়াছড়ি জেলার যুব উন্নয়ন কার্যালয়।
চুক্তি বাস্তবায়নের এ অবস্থায় জেএসএস নতুন করে করণীয় নির্ধারণের উদ্যোগ নিয়েছে। সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের সভায় আলোচনার মাধ্যমে জেএসএস এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে হরতাল-অবরোধের মতো প্রচলিত ধারার আন্দোলনে চুক্তি বাস্তবায়ন হবে না।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে জেএসএসের কেন্দ্রীয় সহকারী তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সজীব চাকমা রাঙামাটিতে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক হরি কিশোর চাকমাকে বলেন, জেএসএসের প্রধান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমা গত বছরের ২৯ নভেম্বর ঢাকায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। আন্দোলনের প্রস্তুতি হিসেবে এ বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত বিভিন্ন সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। কিন্তু পার্বত্য এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি ও প্রধানমন্ত্রীর দূত হিসেবে তাঁর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভীর রাঙামাটি এসে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের আশ্বাস প্রদান এবং ঢাকায় পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠানের পর বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। তবে যেকোনো সময় চূড়ান্ত আন্দোলনের প্রস্তুতি জেএসএসের রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত রাঙামাটি জেলা পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সন্তু লারমা বলেন, চুক্তি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াকে প্রলম্বিত করতে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। সরকারের মেয়াদ প্রায় শেষ হয়ে এলেও চুক্তি বাস্তবায়নে সরকার এগিয়ে আসছে না। তিনি ছাত্রসমাজকে আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘যেভাবে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে চুক্তিতে উপনীত হতে বাধ্য করেছি, সেভাবেই বাস্তবায়নে বাধ্য করতে হবে।’
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সরকার ও জেএসএসের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরের পর ওই অঞ্চলের ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ২০০১ সালে সংসদ একটি আইন পাস করে। এরপর জেএসএস ওই আইন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির মধ্যে ২৩টি অসামঞ্জস্য বের করে সেগুলো সংশোধনের জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব দেয় এবং এসব সংশোধন ছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশন কার্যকর না করার দাবি তোলে।
২০০২ সাল থেকে প্রতিটি সরকার জেএসএসের ওই সংশোধনী প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেছে এবং সংশোধনের বিষয়ে একমত পোষণ করেছে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে কখনই বিষয়টি চূড়ান্ত করে আইনটি পাস করা হয়নি। ফলে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশনও কার্যকর হতে পারেনি। ওই অঞ্চলের মানুষের প্রধান সমস্যা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির অন্যতম প্রধান বিষয় ভূমি বিরোধও নিষ্পত্তি হয়নি।
No comments