প্রশ্নপত্র ফাঁস-'মুখস্থ পদ্ধতি' ঠেকানোর কৌশল খুঁজছে বিজি প্রেস
রাষ্ট্রের অত্যন্ত স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠান বিজি প্রেসের গোপনীয় শাখায় আর্চওয়ে এবং মেটাল ডিটেক্টর বসানো হয়েছে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মতো ঘটনা রোধের লক্ষ্যে। সাধারণত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা বিধানে আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক বা বিপজ্জনক বস্তু শনাক্ত করার জন্য এসব যন্ত্র বসানো হয়।
বিজি প্রেসের গোপনীয় শাখায়ও এ ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু স্বাভাবিক কারণেই এসব যন্ত্র কাগজে ছাপানো প্রশ্নপত্র শনাক্ত করার ক্ষেত্রে কোনো কাজে আসে না। এ ছাড়া সেখানে নিবিড় পর্যবেক্ষণের জন্য সিসি ক্যামেরা বসানো হলেও তা সার্বক্ষণিক তদারকের দায়িত্বে কেউ নেই।সর্বশেষ ৩৩তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের পর বিজি প্রেসের সার্বিক সুরক্ষা ব্যবস্থার বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় এসেছে। বিশেষ করে গত মঙ্গলবার কালের কণ্ঠে 'বিজি প্রেসে মুখস্থ হয়ে প্রশ্ন ফাঁস, ছাত্রলীগের বাণিজ্য'- শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিজি প্রেসের এ-সংক্রান্ত নিরাপত্তার বিষয়টিতে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়। মুখস্থ করে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মতো বাণিজ্য কিভাবে ঠেকানো যায়, তা নিয়ে ওই দিনই বাংলাদেশ ফরম ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দপ্তরে এক জরুরি সভা ডাকা হয়। সেখানে কালের কণ্ঠের প্রতিবেদনের তথ্যগুলো পর্যালোচনা করা হয় বলে বৈঠক সূত্রে জানা যায়।
বাংলাদেশ ফরম ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আ ল ম আবদুর রহমান এনডিসি বলেন, 'এভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁস হলে তো বর্তমান নিরাপত্তাব্যবস্থা কোনো কাজ করবে না। বিষয়টি নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা করতে হবে। কারণ কেউ মুখস্থ করে তা বাইরে পাচার করে দিলে তো ঠেকানো সম্ভব নয়।' মুখস্থ পদ্ধতিতে ফাঁস হওয়ার ঘটনা ঠেকাতে নিজস্ব মত তুলে ধরে তিনি বলেন, 'এর জন্য প্রযুক্তিনির্ভর একটি ব্যবস্থার মধ্যে যেতে হবে। বিজি প্রেস থেকে কোনো কিছু ফাঁস না হওয়া নিশ্চিত করতে হলে যেসব প্রতিষ্ঠানের মুদ্রণকাজ এখানে সম্পন্ন করা হয় তাদেরও সংশ্লিষ্ট করতে হবে। সে ক্ষেত্রে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রশ্নপত্র বা নথি কম্পোজ করা থেকে প্রুফ দেখানো পর্যন্ত পুরো কাজটা করে দেবেন। বিজি প্রেস কেবল তা ছেপে তাৎক্ষণিকভাবে সিলগালা করে সেগুলো সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে হস্তান্তর করবে।' এ ছাড়া বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র যেহেতু অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়, তাই সেগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিজের উদ্যোগে ছাপানোর ব্যবস্থা করা যায় কি না- এ রকম একটি প্রস্তাব নিয়েও ভাবছেন বলে জানান মহাপরিচালক।
বাংলাদেশ ফরম ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আরো বলেন, 'বিজি প্রেসের মূল সমস্যা হলো বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস। এসব ঘটনায় অধিদপ্তরকে প্রায়ই বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হচ্ছে। সে জন্যই প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ফটকে নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মীর পাশাপাশি পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। কিন্তু সমস্যা হলো, আর্চওয়ে কিংবা মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে কখনো কাগজ জাতীয় কিছু শনাক্ত করা যায় না। পৃথিবীর কোথাও কাগজপত্র শনাক্ত করার কোনো যন্ত্রপাতি আবিষ্কার হয়েছে কি না, তাও জানা নেই।'
সরেজমিন তদন্তে দেখা যায়, বিজি প্রেসের চারদিক ঘিরে উঁচু নিরাপত্তা প্রাচীর এবং ভবনের দরজা-জানালাগুলো লোহার জাল দিয়ে মোড়ানো। ভবনের গায়ে লেখা আছে- প্রতিষ্ঠানটি রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, অর্থাৎ কেপিআই (কি পয়েন্ট ইনস্টলেশন) তালিকাভুক্ত। অথচ এর ফটক অনেকটাই অরক্ষিত। সেখানে কোনো আর্চওয়ে কিংবা মেটাল ডিটেক্টর নেই। একজন পুলিশ, একজন দারোয়ান এবং একজন কম্পোজিটর (মুদ্রাক্ষরিক) দায়িত্ব পালন করেন।
ফটকে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কনস্টেবল আবদুর রাজ্জাক ও নিরাপত্তা প্রহরী শরীফুল ইসলাম বলেন, কাউকে সন্দেহ হলে তার দেহ তল্লাশি করা হয়। সেটা খালি হাতেই করতে হচ্ছে। গোপনীয় শাখায় আর্চওয়ে এবং মেটাল ডিটেক্টর রয়েছে। কিন্তু রাষ্ট্রীয় সব গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ফটকেই আধুনিক যন্ত্রপাতি থাকা বাধ্যতামূলক বলে মন্তব্য করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজি প্রেসের এক কর্মকর্তা। কম্পোজিটর আবদুল কুদ্দুস জানান, প্রেসে হাতে কম্পোজ করার পদ্ধতি উঠে যাওয়ায় কম্পোজিটরদের পালাক্রমে ফটকে দায়িত্ব পালন করতে হয়। তিনি জানান, দর্শনার্থীদের ভিজিটর কার্ড বিতরণ করাই তাঁর কাজ।
এদিকে ২০১০ সালে প্রশ্নপত্র ফাঁস কেলেঙ্কারির পর গঠিত তদন্ত কমিটির যে ১১টি নির্দেশনা ছিল, তাতে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল বিজি প্রেসের নিরাপত্তার বিষয়টি। সে নির্দেশনা মতে গোপনীয় শাখার দরজায় মূল্যবান যন্ত্রপাতি বসানো হলেও প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া বন্ধ হয়নি। কারণ এসব যন্ত্রপাতি দিয়ে কখনো কাগজে ছাপানো প্রশ্নপত্র চিহ্নিত করা সম্ভব নয়।
রাষ্ট্রের সব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নপত্র, দলিল, নথি ইত্যাদি ছাপানো হয় বিজি প্রেস থেকে। কিন্তু এ প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা কর্মকর্তার কোনো পদই নেই। দারোয়ান এবং নাইট গার্ড দিয়ে নিরাপত্তার কাজ করানো হচ্ছে। বিজি প্রেস সূত্রে জানা যায়, সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর হোসেন বর্তমানে নিরাপত্তা কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন। তবে তাঁর বিরুদ্ধেই নিরাপত্তা ভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় তাঁর নাম বিভিন্ন সময়ে উঠে এসেছে। এ ব্যাপারে মহাপরিচালক বলেন, কিভাবে নিরাপত্তাব্যবস্থা কার্যকর করা যায় সে জন্য নতুন পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।
প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাব্য কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো, গোপন ক্যামেরার ব্যবহার। বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে কলম, চশমা এমনকি শার্টের বোতামেও বিশেষ ক্যামেরা লাগিয়ে যে কোনো নথির ছবি তোলা সম্ভব। গোপনীয় শাখার প্রুফ রিডারদের বিশেষ পোশাক (পকেটবিহীন জোড়াতালি ছাড়া থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট) পরে খালি গায়ে দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া হয় বলে মহাপরিচালক জানান। মোবাইল ফোনও জমা রাখা হয়। তবে তাঁরা প্রুফ দেখার জন্য কলম এবং চমশা ব্যবহারের সুযোগ পান। কাজেই গোপন ক্যামেরা ব্যবহারের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এখন থেকে গোপন ক্যামেরার বিষয় নিয়ে তদারকি করা হবে বলে তিনি জানান।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা বন্ধ করার জন্য গোপনীয় শাখার কর্মচারীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে রাখা উচিত বলে মনে করেন বিজি প্রেসের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী। তাঁদের মতে, গোপনীয় শাখায় প্রবেশের বিষয়ে মহাপরিচালক থেকে নৈশ প্রহরী পর্যন্ত সবাইকে তল্লাশির আওতায় আনতে হবে। এমনকি বিজি প্রেসের উপপরিচালক, সহকারী পরিচালক, ম্যানেজার (প্রেস) এবং গোপনীয় শাখার ইনচার্জসহ সবাইকেই নজরদারির আওতায় রাখা যুক্তিসংগত বলে অভিমত দেন বাংলাদেশ ফরম ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আ ল ম আবদুর রহমান এনডিসি।
বাংলাদেশ ফরম ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আ ল ম আবদুর রহমান এনডিসি বলেন, 'এভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁস হলে তো বর্তমান নিরাপত্তাব্যবস্থা কোনো কাজ করবে না। বিষয়টি নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা করতে হবে। কারণ কেউ মুখস্থ করে তা বাইরে পাচার করে দিলে তো ঠেকানো সম্ভব নয়।' মুখস্থ পদ্ধতিতে ফাঁস হওয়ার ঘটনা ঠেকাতে নিজস্ব মত তুলে ধরে তিনি বলেন, 'এর জন্য প্রযুক্তিনির্ভর একটি ব্যবস্থার মধ্যে যেতে হবে। বিজি প্রেস থেকে কোনো কিছু ফাঁস না হওয়া নিশ্চিত করতে হলে যেসব প্রতিষ্ঠানের মুদ্রণকাজ এখানে সম্পন্ন করা হয় তাদেরও সংশ্লিষ্ট করতে হবে। সে ক্ষেত্রে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রশ্নপত্র বা নথি কম্পোজ করা থেকে প্রুফ দেখানো পর্যন্ত পুরো কাজটা করে দেবেন। বিজি প্রেস কেবল তা ছেপে তাৎক্ষণিকভাবে সিলগালা করে সেগুলো সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে হস্তান্তর করবে।' এ ছাড়া বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র যেহেতু অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়, তাই সেগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিজের উদ্যোগে ছাপানোর ব্যবস্থা করা যায় কি না- এ রকম একটি প্রস্তাব নিয়েও ভাবছেন বলে জানান মহাপরিচালক।
বাংলাদেশ ফরম ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আরো বলেন, 'বিজি প্রেসের মূল সমস্যা হলো বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস। এসব ঘটনায় অধিদপ্তরকে প্রায়ই বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হচ্ছে। সে জন্যই প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ফটকে নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মীর পাশাপাশি পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। কিন্তু সমস্যা হলো, আর্চওয়ে কিংবা মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে কখনো কাগজ জাতীয় কিছু শনাক্ত করা যায় না। পৃথিবীর কোথাও কাগজপত্র শনাক্ত করার কোনো যন্ত্রপাতি আবিষ্কার হয়েছে কি না, তাও জানা নেই।'
সরেজমিন তদন্তে দেখা যায়, বিজি প্রেসের চারদিক ঘিরে উঁচু নিরাপত্তা প্রাচীর এবং ভবনের দরজা-জানালাগুলো লোহার জাল দিয়ে মোড়ানো। ভবনের গায়ে লেখা আছে- প্রতিষ্ঠানটি রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, অর্থাৎ কেপিআই (কি পয়েন্ট ইনস্টলেশন) তালিকাভুক্ত। অথচ এর ফটক অনেকটাই অরক্ষিত। সেখানে কোনো আর্চওয়ে কিংবা মেটাল ডিটেক্টর নেই। একজন পুলিশ, একজন দারোয়ান এবং একজন কম্পোজিটর (মুদ্রাক্ষরিক) দায়িত্ব পালন করেন।
ফটকে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কনস্টেবল আবদুর রাজ্জাক ও নিরাপত্তা প্রহরী শরীফুল ইসলাম বলেন, কাউকে সন্দেহ হলে তার দেহ তল্লাশি করা হয়। সেটা খালি হাতেই করতে হচ্ছে। গোপনীয় শাখায় আর্চওয়ে এবং মেটাল ডিটেক্টর রয়েছে। কিন্তু রাষ্ট্রীয় সব গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ফটকেই আধুনিক যন্ত্রপাতি থাকা বাধ্যতামূলক বলে মন্তব্য করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজি প্রেসের এক কর্মকর্তা। কম্পোজিটর আবদুল কুদ্দুস জানান, প্রেসে হাতে কম্পোজ করার পদ্ধতি উঠে যাওয়ায় কম্পোজিটরদের পালাক্রমে ফটকে দায়িত্ব পালন করতে হয়। তিনি জানান, দর্শনার্থীদের ভিজিটর কার্ড বিতরণ করাই তাঁর কাজ।
এদিকে ২০১০ সালে প্রশ্নপত্র ফাঁস কেলেঙ্কারির পর গঠিত তদন্ত কমিটির যে ১১টি নির্দেশনা ছিল, তাতে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল বিজি প্রেসের নিরাপত্তার বিষয়টি। সে নির্দেশনা মতে গোপনীয় শাখার দরজায় মূল্যবান যন্ত্রপাতি বসানো হলেও প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া বন্ধ হয়নি। কারণ এসব যন্ত্রপাতি দিয়ে কখনো কাগজে ছাপানো প্রশ্নপত্র চিহ্নিত করা সম্ভব নয়।
রাষ্ট্রের সব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নপত্র, দলিল, নথি ইত্যাদি ছাপানো হয় বিজি প্রেস থেকে। কিন্তু এ প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা কর্মকর্তার কোনো পদই নেই। দারোয়ান এবং নাইট গার্ড দিয়ে নিরাপত্তার কাজ করানো হচ্ছে। বিজি প্রেস সূত্রে জানা যায়, সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর হোসেন বর্তমানে নিরাপত্তা কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন। তবে তাঁর বিরুদ্ধেই নিরাপত্তা ভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় তাঁর নাম বিভিন্ন সময়ে উঠে এসেছে। এ ব্যাপারে মহাপরিচালক বলেন, কিভাবে নিরাপত্তাব্যবস্থা কার্যকর করা যায় সে জন্য নতুন পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।
প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাব্য কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো, গোপন ক্যামেরার ব্যবহার। বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে কলম, চশমা এমনকি শার্টের বোতামেও বিশেষ ক্যামেরা লাগিয়ে যে কোনো নথির ছবি তোলা সম্ভব। গোপনীয় শাখার প্রুফ রিডারদের বিশেষ পোশাক (পকেটবিহীন জোড়াতালি ছাড়া থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট) পরে খালি গায়ে দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া হয় বলে মহাপরিচালক জানান। মোবাইল ফোনও জমা রাখা হয়। তবে তাঁরা প্রুফ দেখার জন্য কলম এবং চমশা ব্যবহারের সুযোগ পান। কাজেই গোপন ক্যামেরা ব্যবহারের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এখন থেকে গোপন ক্যামেরার বিষয় নিয়ে তদারকি করা হবে বলে তিনি জানান।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা বন্ধ করার জন্য গোপনীয় শাখার কর্মচারীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে রাখা উচিত বলে মনে করেন বিজি প্রেসের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী। তাঁদের মতে, গোপনীয় শাখায় প্রবেশের বিষয়ে মহাপরিচালক থেকে নৈশ প্রহরী পর্যন্ত সবাইকে তল্লাশির আওতায় আনতে হবে। এমনকি বিজি প্রেসের উপপরিচালক, সহকারী পরিচালক, ম্যানেজার (প্রেস) এবং গোপনীয় শাখার ইনচার্জসহ সবাইকেই নজরদারির আওতায় রাখা যুক্তিসংগত বলে অভিমত দেন বাংলাদেশ ফরম ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আ ল ম আবদুর রহমান এনডিসি।
No comments