পবিত্র কোরআনের আলো-মূর্খরা বিচার-বিবেচনা ছাড়াই তাদের পিতৃপুরুষদের অনুকরণ করতে চায়
১৭০. ওয়া ইযা- ক্বীলা লাহুমুত্ তাবিউ' মা- আনযালাল্লা-হু ক্বালু- বাল নাত্তাবিউ' মা- আলফাইনা- আ'লাইহি আবা-আনা-; আও লাও কানা আবা-উহুম লা-ইয়া'কি্বলুনা শাইয়াওঁয়ালা- ইয়াহতাদূন। ১৭১. ওয়া মাছালুল্লাযীনা কাফারূ কামাছিলিল্লাযী ইয়ানয়ি'ক্বু বিমা- লা-ইয়াছমাউ' ইল্লা- দুআ'আওঁ ওয়া নিদা-আ; ছুম্মুম বুকমুন উ'মইয়ুন ফাহুম লা-ইয়া'কি্বলূন।
১৭২. ইয়া আয়্যুহাল্লাযীনা আ-মানূ কুলূ মিন ত্বায়্যিবা-তিম মা রাযাক্ব্না-কুম ওয়াশকুরূ লিল্লা-হি ইন কুনতুম ইয়্যা-হু তা'বুদূন।
১৭৩। ইন্নামা- হার্রামা আ'লাইকুমুল মাইতা ওয়াদ্দামা ওয়া লাহমাল খিনযীরি ওয়া মা- উহিল্লা বিহী লিগাইরিল্লাহি; ফামানিদ্ তুর্রা গাইরা বা-গিওঁয়ালা- আ'-দিন ফালা- ইছমা আ'লাইহি; ইন্নাল্লা-হা গাফূরুর্ রাহীম। (সুরা বাকারা, আয়াত-১৭০-১৭৩)
অনুবাদ : ১৭০. তাদের যখন বলা হয় আল্লাহ তায়ালা যা নাজিল করেছেন তোমরা তা মেনে চলো, তারা বলে, বরং আমরা আমাদের বাবা-দাদাদের যে পথে চলতে দেখেছি, তাই তো অনুসরণ করব। অথচ তাদের বাপ-দাদারা কিছু জানত না, তারা সুপথগামীও ছিল না।
১৭১. যারা অবাধ্য তাদের উদাহরণ হচ্ছে- যেমন কোনো জন্ত যখন অন্যটিকে ডাক দেয় তখন এর চিৎকার ও কান্নার আওয়াজ ছাড়া আর কিছুই শোনা যায় না; এরা বধির, মূক ও অন্ধ, এরা বোঝেও না।
১৭২. হে মানুষ! তোমরা যারা ইমান এনেছ, আমি সেসব পাক-পবিত্র জিনিস তোমাদের দান করেছি তোমরা তা খাও এবং আল্লাহর কৃতজ্ঞতা আদায় করো, যদি তোমরা হালাল-হারামের ব্যাপারে শুধু তাঁরই আনুগত্য করো।
১৭৩. তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত জন্তুর গোশত, রক্ত ও শূকরের গোশত এবং যা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে জবাই করা হয়েছে, তবে সে ব্যক্তির কথা আলাদা, যাকে বাধ্য করা হয়েছে, যদি এমন হয় যে সে ব্যক্তি সীমালঙ্ঘনকারী নয় বা এতে অভ্যস্তও হয়ে পড়ে না, এমন অবস্থায় তার পাপ হবে না। অবশ্যই আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়ালু।
ব্যাখ্যা : এ চারটি আয়াতেও দুটি প্রসঙ্গে আলোকপাত করা হয়েছে। প্রথম দুটি আয়াতে বর্ণনা করা হয়েছে পথভ্রষ্ট ও জাহেলরা সত্য পথকে অনুসরণ করার বিরুদ্ধে যে অজুহাতটি দাঁড় করায় সে ব্যাপারটি। তাদের যখন কোরআনে বর্ণিত পথে চলার আহ্বান জানানো হয় তখন তারা বলে যে তারা সেই চিরাচরিত পথেই চলতে চায়, যে পথে তাদের বাপ-দাদারা চলেছে। মূর্খ ও পথভ্রষ্ট মানুষদের এটা একটা প্রকৃতিই বটে। তারা বিচার-বৃদ্ধি দিয়ে সত্যকে গ্রহণ করতে চায় না, চিরাচরিত পথে চলতে চায়; যদিও সে পথ সত্য নয়, সুন্দর নয় এবং সাফল্যেরও নয়। আল্লাহ তায়ালা এসব লোকদের জন্য এখানে একটি উদাহরণ উপস্থাপন করেছেন। এখানে এসব লোকের আচরণকে পশুদের আচরণের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
পশুদের যেমন কোনো ভাষা নেই, বুদ্ধি-বিবেচনা নেই, এরাও ঠিক তেমনি। পশুরা শুধু একধরনের আওয়াজ করতে পারে, তবে বুদ্ধি-বিবেক খাটিয়ে কিছু বুঝতে বা বোঝাতে পারে না। এরাও ঠিক তেমনি বধির, মূক এবং কার্যত অন্ধ।
১৭২ ও ১৭৩ নম্বর আয়াত দুটি খাদ্যদ্রব্যের ব্যাপারে হালাল-হারাম ও পবিত্র-অপবিত্র সম্পর্কে আরো সুস্পষ্ট কিছু নির্দেশ জারি করা হয়েছে। এখানে চার ধরনের বস্তুকে হারাম বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এক। মৃত জন্তুর গোশত, দুই। রক্ত; তিন। শূকরের গোশত, চার। আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো কিছুর নামে জবেহ করা বা উৎসর্গ করা প্রাণীর গোশত। এখানে আবার কিন্তু ব্যতিক্রম অবস্থার কথা এ আয়াতে বর্ণনা করা হয়েছে। কেউ কোনো কারণে অক্ষম অবস্থায় পতিত হলে কেবল জীবন রক্ষার জন্য এই নিষিদ্ধ বস্তুগুলোও আহার করতে পারবে। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে এই ব্যতিক্রম যেন অভ্যাসে পরিণত না হয়।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
১৭৩। ইন্নামা- হার্রামা আ'লাইকুমুল মাইতা ওয়াদ্দামা ওয়া লাহমাল খিনযীরি ওয়া মা- উহিল্লা বিহী লিগাইরিল্লাহি; ফামানিদ্ তুর্রা গাইরা বা-গিওঁয়ালা- আ'-দিন ফালা- ইছমা আ'লাইহি; ইন্নাল্লা-হা গাফূরুর্ রাহীম। (সুরা বাকারা, আয়াত-১৭০-১৭৩)
অনুবাদ : ১৭০. তাদের যখন বলা হয় আল্লাহ তায়ালা যা নাজিল করেছেন তোমরা তা মেনে চলো, তারা বলে, বরং আমরা আমাদের বাবা-দাদাদের যে পথে চলতে দেখেছি, তাই তো অনুসরণ করব। অথচ তাদের বাপ-দাদারা কিছু জানত না, তারা সুপথগামীও ছিল না।
১৭১. যারা অবাধ্য তাদের উদাহরণ হচ্ছে- যেমন কোনো জন্ত যখন অন্যটিকে ডাক দেয় তখন এর চিৎকার ও কান্নার আওয়াজ ছাড়া আর কিছুই শোনা যায় না; এরা বধির, মূক ও অন্ধ, এরা বোঝেও না।
১৭২. হে মানুষ! তোমরা যারা ইমান এনেছ, আমি সেসব পাক-পবিত্র জিনিস তোমাদের দান করেছি তোমরা তা খাও এবং আল্লাহর কৃতজ্ঞতা আদায় করো, যদি তোমরা হালাল-হারামের ব্যাপারে শুধু তাঁরই আনুগত্য করো।
১৭৩. তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত জন্তুর গোশত, রক্ত ও শূকরের গোশত এবং যা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে জবাই করা হয়েছে, তবে সে ব্যক্তির কথা আলাদা, যাকে বাধ্য করা হয়েছে, যদি এমন হয় যে সে ব্যক্তি সীমালঙ্ঘনকারী নয় বা এতে অভ্যস্তও হয়ে পড়ে না, এমন অবস্থায় তার পাপ হবে না। অবশ্যই আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়ালু।
ব্যাখ্যা : এ চারটি আয়াতেও দুটি প্রসঙ্গে আলোকপাত করা হয়েছে। প্রথম দুটি আয়াতে বর্ণনা করা হয়েছে পথভ্রষ্ট ও জাহেলরা সত্য পথকে অনুসরণ করার বিরুদ্ধে যে অজুহাতটি দাঁড় করায় সে ব্যাপারটি। তাদের যখন কোরআনে বর্ণিত পথে চলার আহ্বান জানানো হয় তখন তারা বলে যে তারা সেই চিরাচরিত পথেই চলতে চায়, যে পথে তাদের বাপ-দাদারা চলেছে। মূর্খ ও পথভ্রষ্ট মানুষদের এটা একটা প্রকৃতিই বটে। তারা বিচার-বৃদ্ধি দিয়ে সত্যকে গ্রহণ করতে চায় না, চিরাচরিত পথে চলতে চায়; যদিও সে পথ সত্য নয়, সুন্দর নয় এবং সাফল্যেরও নয়। আল্লাহ তায়ালা এসব লোকদের জন্য এখানে একটি উদাহরণ উপস্থাপন করেছেন। এখানে এসব লোকের আচরণকে পশুদের আচরণের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
পশুদের যেমন কোনো ভাষা নেই, বুদ্ধি-বিবেচনা নেই, এরাও ঠিক তেমনি। পশুরা শুধু একধরনের আওয়াজ করতে পারে, তবে বুদ্ধি-বিবেক খাটিয়ে কিছু বুঝতে বা বোঝাতে পারে না। এরাও ঠিক তেমনি বধির, মূক এবং কার্যত অন্ধ।
১৭২ ও ১৭৩ নম্বর আয়াত দুটি খাদ্যদ্রব্যের ব্যাপারে হালাল-হারাম ও পবিত্র-অপবিত্র সম্পর্কে আরো সুস্পষ্ট কিছু নির্দেশ জারি করা হয়েছে। এখানে চার ধরনের বস্তুকে হারাম বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এক। মৃত জন্তুর গোশত, দুই। রক্ত; তিন। শূকরের গোশত, চার। আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো কিছুর নামে জবেহ করা বা উৎসর্গ করা প্রাণীর গোশত। এখানে আবার কিন্তু ব্যতিক্রম অবস্থার কথা এ আয়াতে বর্ণনা করা হয়েছে। কেউ কোনো কারণে অক্ষম অবস্থায় পতিত হলে কেবল জীবন রক্ষার জন্য এই নিষিদ্ধ বস্তুগুলোও আহার করতে পারবে। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে এই ব্যতিক্রম যেন অভ্যাসে পরিণত না হয়।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
No comments