গুলি অপসারণের পর 'শঙ্কামুক্ত' মালালা-* আরো তিন-চার দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে -* সব খরচ দেবে সরকার
পাকিস্তানে নারী শিক্ষার পক্ষে সোচ্চার কর্মী ও ব্লগার মালালা ইউসুফজাইয়ের (১৪) দেহে সফল অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। চিকিৎসকরা সরাসরি কিছু না জানালেও সরকার জানিয়েছে, গুলি অপসারণের পর আপাতত তার অবস্থা শঙ্কামুক্ত। তবে আরো তিন-চার দিন তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি মালালার সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়া হবে। নারী শিক্ষার পক্ষে সরব থাকায় গত মঙ্গলবার মালালাকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা চালায় তালেবান জঙ্গিরা। খবর ছড়িয়ে পড়লে দ্রুত তাকে হেলিকপ্টারে করে পেশোয়ারের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচে) নেওয়া হয়। চিকিৎসকরা সারা রাত চেষ্টা চালিয়ে তাকে মৃত্যুর কোল থেকে ফিরিয়ে আনেন।
মালালার বাড়ি পাকিস্তানের ভূস্বর্গ বলে পরিচিত সোয়াত উপত্যকায়। ২০০৯ সালে তালেবান এ উপত্যকার দখল নেয়। শরিয়া আইনের দোহাই দিয়ে উপত্যকায় মেয়েদের সব স্কুল বন্ধ করে দেয় তারা। পুরুষ অভিভাবক ছাড়া নারীদের একা ঘরের বাইরে যাওয়ার ওপরও জারি করে নিষেধাজ্ঞা। গাড়িতে গান বাজানোর মতো তুচ্ছ ঘটনাও বিধিনিষেধের আওতায় আসে। এমন দম বন্ধ পরিস্থিতিতে ১১ বছরের ছোট্ট মেয়ে মালালা বিবিসি উর্দুতে লিখতে শুরু করে তার স্কুলে না যাওয়ার বেদনা, শুধু মেয়ে হওয়ার 'অপরাধে' চার দেয়ালে বন্দি থাকার দুর্বিষহ কাহিনী। তালেবানের দৃষ্টি এড়াতে 'গুল মাকাই' ছদ্মনামে লিখতে থাকে সে। বিবিসির ব্লগে লেখা সোয়াতের এ শিশুর রোজনামচা দৃষ্টি কাড়ে অনেকের।
এ সময়ই সোয়াতের আকাশে কিছুটা আলোর রেখা দেখা যায়। ২০০৯ সালে সেনাবাহিনী অভিযানে বিতাড়িত হয় জঙ্গিরা। আবারও স্কুল শুরু করে মালালা। এবার বিবিসিতে স্বনামে লিখতে থাকে সে। সরকারেরও দৃষ্টি পড়ে ছোট্ট শিশুটির সাহসিকতার ওপর। গত বছর জাতীয় শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয় তাকে।
তবে সোয়াতে তালেবানের চোরাগোপ্তা হামলা চলছিলই। মঙ্গলবার এমনই এক হামলার শিকার হয় মালালা। বন্ধুদের সঙ্গে বাসায় ফেরার পথে রাস্তায় স্কুলবাস থামিয়ে মেয়েটিকে গুলি করে পালিয়ে যায় তালেবান সদস্যরা। মাথা ও ঘাড়ে গুলিবিদ্ধ মালালাকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল এবং পরে সিএমএইচে নেওয়া হয়। রাত দু'টার দিকে অবস্থার অবনতি ঘটলে জরুরিভিত্তিতে অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকরা। চলে তিন ঘণ্টা। সফলভাবে গুলি বের করা হলেও আগামী তিন-চার দিন তাকে পর্যবেক্ষণের মধ্যে রাখা হবে। ঘটনার পর পরই পাকিস্তানি তালেবান তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) দায় স্বীকার করে। বেঁচে ফিরলে আবারও মালালার ওপর হামলা চালানো হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।
সরকার ইতিমধ্যে মালালার চিকিৎসার সব খরচ বহনের ঘোষণা দিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিক গতকাল বুধবার জানান, মালালা এখন শঙ্কামুক্ত বলে চিকিৎসকরা তাকে নিশ্চিত করেছেন। আপাতত তাকে বিদেশ নেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে পরে চিকিৎসকরা মনে করলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশ পাঠানো হবে। যদিও সংবাদমাধ্যমের কাছে মালালার অবস্থা নিয়ে চিকিৎসকরা কোনো মন্তব্য করেননি।
প্রধানমন্ত্রী রাজা পারভেজ আশরাফ মালালার বাবার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলে দুঃখ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সোয়াত থেকে হেলিকপ্টারে করে মালালাকে পেশোয়ারে আনার নির্দেশ তাঁরই ছিল। সেনাপ্রধান আশফাক পারভেজ কায়ানি গতকাল হাসপাতালে মালালাকে দেখতে যান। মেয়েটিকে দুবাইয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পেশোয়ারের বিমানবন্দরে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স তৈরি রাখা হয়েছে। সূত্র : বিবিসি, এএফপি, এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
মালালার বাড়ি পাকিস্তানের ভূস্বর্গ বলে পরিচিত সোয়াত উপত্যকায়। ২০০৯ সালে তালেবান এ উপত্যকার দখল নেয়। শরিয়া আইনের দোহাই দিয়ে উপত্যকায় মেয়েদের সব স্কুল বন্ধ করে দেয় তারা। পুরুষ অভিভাবক ছাড়া নারীদের একা ঘরের বাইরে যাওয়ার ওপরও জারি করে নিষেধাজ্ঞা। গাড়িতে গান বাজানোর মতো তুচ্ছ ঘটনাও বিধিনিষেধের আওতায় আসে। এমন দম বন্ধ পরিস্থিতিতে ১১ বছরের ছোট্ট মেয়ে মালালা বিবিসি উর্দুতে লিখতে শুরু করে তার স্কুলে না যাওয়ার বেদনা, শুধু মেয়ে হওয়ার 'অপরাধে' চার দেয়ালে বন্দি থাকার দুর্বিষহ কাহিনী। তালেবানের দৃষ্টি এড়াতে 'গুল মাকাই' ছদ্মনামে লিখতে থাকে সে। বিবিসির ব্লগে লেখা সোয়াতের এ শিশুর রোজনামচা দৃষ্টি কাড়ে অনেকের।
এ সময়ই সোয়াতের আকাশে কিছুটা আলোর রেখা দেখা যায়। ২০০৯ সালে সেনাবাহিনী অভিযানে বিতাড়িত হয় জঙ্গিরা। আবারও স্কুল শুরু করে মালালা। এবার বিবিসিতে স্বনামে লিখতে থাকে সে। সরকারেরও দৃষ্টি পড়ে ছোট্ট শিশুটির সাহসিকতার ওপর। গত বছর জাতীয় শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয় তাকে।
তবে সোয়াতে তালেবানের চোরাগোপ্তা হামলা চলছিলই। মঙ্গলবার এমনই এক হামলার শিকার হয় মালালা। বন্ধুদের সঙ্গে বাসায় ফেরার পথে রাস্তায় স্কুলবাস থামিয়ে মেয়েটিকে গুলি করে পালিয়ে যায় তালেবান সদস্যরা। মাথা ও ঘাড়ে গুলিবিদ্ধ মালালাকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল এবং পরে সিএমএইচে নেওয়া হয়। রাত দু'টার দিকে অবস্থার অবনতি ঘটলে জরুরিভিত্তিতে অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকরা। চলে তিন ঘণ্টা। সফলভাবে গুলি বের করা হলেও আগামী তিন-চার দিন তাকে পর্যবেক্ষণের মধ্যে রাখা হবে। ঘটনার পর পরই পাকিস্তানি তালেবান তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) দায় স্বীকার করে। বেঁচে ফিরলে আবারও মালালার ওপর হামলা চালানো হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।
সরকার ইতিমধ্যে মালালার চিকিৎসার সব খরচ বহনের ঘোষণা দিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিক গতকাল বুধবার জানান, মালালা এখন শঙ্কামুক্ত বলে চিকিৎসকরা তাকে নিশ্চিত করেছেন। আপাতত তাকে বিদেশ নেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে পরে চিকিৎসকরা মনে করলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশ পাঠানো হবে। যদিও সংবাদমাধ্যমের কাছে মালালার অবস্থা নিয়ে চিকিৎসকরা কোনো মন্তব্য করেননি।
প্রধানমন্ত্রী রাজা পারভেজ আশরাফ মালালার বাবার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলে দুঃখ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সোয়াত থেকে হেলিকপ্টারে করে মালালাকে পেশোয়ারে আনার নির্দেশ তাঁরই ছিল। সেনাপ্রধান আশফাক পারভেজ কায়ানি গতকাল হাসপাতালে মালালাকে দেখতে যান। মেয়েটিকে দুবাইয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পেশোয়ারের বিমানবন্দরে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স তৈরি রাখা হয়েছে। সূত্র : বিবিসি, এএফপি, এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
No comments