সৌন্দর্যে অনন্য, রাতভর মিষ্টি ঘ্রাণ ছড়ায় ভরে যায় মন- শুভ্র দোলনচাঁপা by মোরসালিন মিজান
চেনা জানাই বটে দোলনচাঁপা। তবে এর চোখ জুড়ানো সৌন্দর্য আর ভীষণ মিষ্টি ঘ্রাণে মুগ্ধ না হয়ে পারা যায় না। নাকের কাছে নিয়েই শুকতে হবে- এমন নয়, বরং অনেক দূর থেকে আসা ফুলের ঘ্রাণে মন ভরে যায়। শুধু কি তাই, কত না কবিতা গানে গল্পে দোলনচাঁপা দোলে!
ইট-পাথরের জঞ্জাল আর দূষণের নগরী ঢাকায়ও দিব্যি আছে দোলনচাঁপা। ঠিক এই মুহূর্তেও ফুলটি নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন পথে ছুটছে কিশোর বিক্রেতারা। অনেক ডাঁটা একত্রিত করে চমৎকার তোড়া তৈরি করছে তারা। দেখে সত্যি মন ভাল হয়ে যায়। তবে গোপন এ খবর হয়ত জানে না মৌসুমী বিক্রেতারা। তাই তেমন দাম হাঁকায় না। এক শ’ টাকা বলে ক্রেতার মুখের দিকে টেনশন নিয়ে তাকায়। আর পঞ্চাশ হলেই খুশি। সঙ্গে সঙ্গে হাসি ফুটে ওঠে মুখে। তবে ফুলের দোকানিরা যথারীতি দাম হাঁকান। কিন্তু ফুল কিনে যে দেউলিয়া হয় না কেউ! তাই বহু মানুষ হাত বাড়িয়ে কোলে তুলে নেয় গাঢ় সবুজ পাতার ভিড়ে উঁকি দেয়া শুভ্র সাদা ফুলটিকে।
তবে ভীষণ প্রিয় দোলনচাঁপার সব খবর সবাই জানেন না। তাঁদের জন্য বলা- দোলনচাঁপা মূলত বর্ষার ফুল। এর পৈত্রিক নিবাস দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। ভারতে আছে বহুকাল। কম দিন হয়নি বাংলাদেশেও। হ্যাঁ, আরও অনেক দেশে দেখা যায়। তবে সব দেশেই দারুণ জনপ্রিয় দোলনচাঁপা। এ ফুল প্রধানত সাদা রঙের হয়। পুরোপুরি ফুটলে ফুলগুলোকে মনে হয় এক একটি সাদা প্রজাপতি। মৃদুমন্দ বাতাসে যখন গাছগুলো হেলে দুলে ওঠে তখন যে কারও মনে হবে, মনের আনন্দে উড়ে বেড়াচ্ছে প্রজাপতির দল। জানা যায়, এ কারণে দোলনচাঁপাকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাটারফ্লাই জিঞ্জার লিলি বলে ডাকা হয়।
তবে দিনের প্রথমভাগে বাটারফ্লাইদের অত দেখা মেলে না। কারণ দোলনচাঁপা ফুল ফোটে বিকেল বা সন্ধ্যার দিকে। রাতে মিষ্টি ঘ্রাণ ছড়ায়। অনেকের ঘুম কেড়ে নেয়। এভাবে বিশেষ প্রিয় হয়ে ওঠে ফুলটি।
বাংলাদেশের ফুল নিয়ে বিভিন্ন সময় গবেষণা করেছেন মৃত্যুঞ্জয় রায়। তিনি জানান, দোলনচাঁপার প্রায় ৪০টির মতো প্রজাতি আছে। কোনটির রং হলদেটে। কোনটি আবার লাল।
দোলনচাঁপার পাতা লেন্স আকৃতির। লম্বায় আট থেকে চব্বিশ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়ে থাকে। চওড়ায় হয় দুই থেকে পাঁচ ইঞ্চি। গ্রীষ্মের মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু করে বসন্ত পর্যন্ত গাছের উপরের অংশে ৬ থেকে ১২ ইঞ্চি পুষ্পমঞ্জরী দেখা দেয়। ফুল ফোটা শেষ হলে কা- শুকিয়ে যায়। তবে গোড়া থেকে আবার নতুন কা- জন্ম নেয়। দোলনচাঁপা গাছ দেখতে অনেকটা আদা বা হলুদ গাছের মতো। এ গাছ তিন ফুটের মতো উঁচু হয়। সূর্যের আলো সরাসরি পড়ে নাÑ এমন জায়গায় ভাল জন্মে। তবে দিনের আলোয় বড় অসহায় দোলনচাঁপা। ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই এ ফুল শুকিয়ে যায়। আর শীতে শুকোয় গোটা গাছ। অবশ্য একই গাছ গ্রীষ্মকালে ফের জেগে ওঠে। আর জেগে ওঠে বলেই রক্ষা! দোলনচাঁপার সঙ্গে সঙ্গে জেগে ওঠে সৌন্দর্যপ্রিয় মানুষের মন।
তবে ভীষণ প্রিয় দোলনচাঁপার সব খবর সবাই জানেন না। তাঁদের জন্য বলা- দোলনচাঁপা মূলত বর্ষার ফুল। এর পৈত্রিক নিবাস দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। ভারতে আছে বহুকাল। কম দিন হয়নি বাংলাদেশেও। হ্যাঁ, আরও অনেক দেশে দেখা যায়। তবে সব দেশেই দারুণ জনপ্রিয় দোলনচাঁপা। এ ফুল প্রধানত সাদা রঙের হয়। পুরোপুরি ফুটলে ফুলগুলোকে মনে হয় এক একটি সাদা প্রজাপতি। মৃদুমন্দ বাতাসে যখন গাছগুলো হেলে দুলে ওঠে তখন যে কারও মনে হবে, মনের আনন্দে উড়ে বেড়াচ্ছে প্রজাপতির দল। জানা যায়, এ কারণে দোলনচাঁপাকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাটারফ্লাই জিঞ্জার লিলি বলে ডাকা হয়।
তবে দিনের প্রথমভাগে বাটারফ্লাইদের অত দেখা মেলে না। কারণ দোলনচাঁপা ফুল ফোটে বিকেল বা সন্ধ্যার দিকে। রাতে মিষ্টি ঘ্রাণ ছড়ায়। অনেকের ঘুম কেড়ে নেয়। এভাবে বিশেষ প্রিয় হয়ে ওঠে ফুলটি।
বাংলাদেশের ফুল নিয়ে বিভিন্ন সময় গবেষণা করেছেন মৃত্যুঞ্জয় রায়। তিনি জানান, দোলনচাঁপার প্রায় ৪০টির মতো প্রজাতি আছে। কোনটির রং হলদেটে। কোনটি আবার লাল।
দোলনচাঁপার পাতা লেন্স আকৃতির। লম্বায় আট থেকে চব্বিশ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়ে থাকে। চওড়ায় হয় দুই থেকে পাঁচ ইঞ্চি। গ্রীষ্মের মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু করে বসন্ত পর্যন্ত গাছের উপরের অংশে ৬ থেকে ১২ ইঞ্চি পুষ্পমঞ্জরী দেখা দেয়। ফুল ফোটা শেষ হলে কা- শুকিয়ে যায়। তবে গোড়া থেকে আবার নতুন কা- জন্ম নেয়। দোলনচাঁপা গাছ দেখতে অনেকটা আদা বা হলুদ গাছের মতো। এ গাছ তিন ফুটের মতো উঁচু হয়। সূর্যের আলো সরাসরি পড়ে নাÑ এমন জায়গায় ভাল জন্মে। তবে দিনের আলোয় বড় অসহায় দোলনচাঁপা। ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই এ ফুল শুকিয়ে যায়। আর শীতে শুকোয় গোটা গাছ। অবশ্য একই গাছ গ্রীষ্মকালে ফের জেগে ওঠে। আর জেগে ওঠে বলেই রক্ষা! দোলনচাঁপার সঙ্গে সঙ্গে জেগে ওঠে সৌন্দর্যপ্রিয় মানুষের মন।
No comments