শতবর্ষী নৌকাটি সংরক্ষণের উদ্যোগ

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে বেড়িয়ে আসা শতবর্ষের পুরনো নৌকাটি সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। আগামী শুকনো মৌসুমে সমুদ্রের পানির উচ্চতা এবং চাপ কমলেই নৌকাটির উদ্ধারকাজ শুরু করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে। নৌকাটি উত্তোলনের পর বৈজ্ঞানিকভাবে সংস্কার করা হবে।

এরপর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কুয়াকাটা, বরিশাল কিংবা জাতীয় জাদুঘরে এটি সংরক্ষণ করা হবে। সৈকতের বালু সরে গিয়ে গত জুন মাসের শেষ সপ্তাহে ৭২ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ২২ ফুট প্রস্থের নৌকাটি জেগে ওঠে। এরপর এ নিয়ে দেশি-বিদেশি মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ হয়। ১০ জুলাই প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর খুলনা বিভাগীয় আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী গবেষক গোলাম ফেরদৌস, একজন সিনিয়র ড্রাফট্সম্যান এবং একজন আলোকচিত্রকরসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা নৌকাটি পর্যবেক্ষণ করেন। নৌকাটি প্রাচীনতম প্রত্নসম্পদ বলে তাঁরা স্বীকার করেন। পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক নৌকাটি পরিদর্শন করে গুরুত্বপূর্ণ নৌকাটির কাছে একটি লাল পতাকা তুলে দিয়ে স্থানীয় পুলিশ সদস্যদের দেখভালের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এরপর গত ৩০ জুন আন্তর্জাতিক নৌযান বিশেষজ্ঞ ইভাস মারে নৌকাটি পরিদর্শনের জন্য কুয়াকাটায় আসেন।
নৌকাটি পরিদর্শন শেষে ইভাস মারে জানিয়েছিলেন, এই নৌকাটি নিঃসন্দেহে প্রাচীনকালের স্মৃতিবিজড়িত। রাখাইনদের ইতিহাসের সঙ্গে এর মিল থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। নৌকাটি শত বছরের বেশি পুরনো। গরান কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে নৌকাটি। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মাধ্যমে সরকারি উদ্যোগে শিগগিরই নৌকাটি বালুর নিচ থেকে পুরোটা উত্তোলন করে কুয়াকাটায় জাদুঘর স্থাপন করে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।

No comments

Powered by Blogger.