পাকিস্তানে সংঘর্ষে পুলিশসহ নিহত ১৫-আবার উত্তাল মুসলিম বিশ্ব
ইসলামবিদ্বেষী চলচ্চিত্র 'ইনোসেন্স অব মুসলিমস'-এর প্রতিবাদে গতকাল শুক্রবার আবারও উত্তাল হয়ে ওঠে মুসলিম বিশ্ব। জুমার দিনটিতে বিক্ষোভ বাড়তে পারে- এমন আশঙ্কায় প্রায় প্রতিটি দেশেই বাড়তি নিরাপত্তাসহ বেশকিছু পদক্ষেপ হাতে নেয় সরকারগুলো।
ফলে বেশির ভাগ দেশেই বিক্ষোভ কিছুটা সহিংস হয়ে উঠলেও বড় ধরনের কোনো অঘটন ঘটেনি। তবে পাকিস্তানে সহিংসতায় দুই পুলিশসহ অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছে। করাচি, লাহোর, পেশোয়ারে ছয়টি সিনেমা হলে ভাঙচুরসহ আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটে।
মুসলিম বিশ্বের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতারা গত কয়েক দিন থেকেই শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের আহ্বান জানিয়ে আসছেন। মিসরের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা মুফতি আলী গোমা ইসলামকে শান্তির ধর্ম অভিহিত করে পাল্টা আঘাত না করার আহ্বান জানান। তার পরও বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নেয়। চলচ্চিত্রটি নিয়ে মুসলিম দেশগুলোয় অস্থিরতা চলছে বেশ কয়েক দিন থেকেই। এরই মধ্যে একটি ফরাসি সাময়িকীতে হজরত মুহাম্মদ (সা.)কে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করা হলে উত্তেজনা আরো বাড়ে।
গতকাল চলচ্চিত্র ও ব্যঙ্গচিত্রের প্রতিবাদ জানিয়ে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মিসর, আফগানিস্তান, ফিলিপাইনে প্রবল বিক্ষোভ হয়। শুক্রবার মুসলিম বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভের আশঙ্কায় আগে থেকেই তা মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়েছিল বিভিন্ন দেশ। ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা ও আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের দূতাবাস বন্ধ রাখা হয়। পাকিস্তান, লিবিয়া ও তিউনিসিয়াসহ অন্য দেশের দূতাবাসগুলোয় সেনা মোতায়েন করা হয়। ফ্রান্স গতকাল অন্তত ২০টি দেশে তাদের দূতাবাস বন্ধ রাখে। তিউনিসিয়া সরকার আগেই শুক্রবারের বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করে। তার পরও দেশটিতে বিক্ষোভ থামানো যায়নি।
সবচেয়ে বেশি সহিংসতা হয়েছে পাকিস্তানে। বিক্ষোভ প্রশমনের লক্ষ্যে আগেই গতকালের দিনটিকে 'মহানবী (সা.)-এর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ দিবস' ঘোষণা করে সরকারি ছুটি দেওয়া হয়। দেশজুড়ে হাজার হাজার লোক বিক্ষোভে অংশ নেয়। বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়লে পুলিশও টিয়ারগ্যাস ছুড়ে তার জবাব দেয়। করাচি, লাহোর, পেশোয়ারে ছয়টি সিনেমা হলে ভাঙচুরসহ আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে। এসব সংঘর্ষে দুই পুলিশসহ অন্তত ১৫ জন নিহত এবং ৭০ জন আহত হয়।
মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব : পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল দেশটিতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত রিচার্ড হোগল্যান্ডকে তলব করে সিনেমাটির তীব্র নিন্দা জানান। তাঁরা অনলাইনের ভিডিও দেখার মাধ্যম ইউটিউব থেকে দ্রুত ভিডিওটি সরিয়ে ফেলতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও আহ্বান জানান।
মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ : পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সহিংসতা রুখতে গতকাল দেশের ১৫টি বড় শহরের মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেওয়া হয়। সন্ধ্যা ছয়টার পর পুনরায় তা চালু হয়।
লিবিয়ার ক্ষমাপ্রার্থনা : বেনগাজিতে যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেটে হামলায় রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টোফার স্টিভেনসের মৃত্যুর ঘটনায় সফররত যুক্তরাষ্ট্রের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম বার্নসের কাছে ক্ষমা চেয়েছে লিবিয়া। ওই হামলায় স্টিভেনসসহ যুক্তরাষ্ট্রের চার নাগরিক নিহত হয়। গত বৃহস্পতিবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশহুর বিন খায়াল ত্রিপোলির পক্ষ থেকে বার্নসের কাছে ক্ষমা চান। সূত্র : এএফপি, ডন, এপি।
বিজ্ঞাপনে ওবামা-হিলারি
উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে পাকিস্তানের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে বিজ্ঞাপন প্রচার শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিজ্ঞাপনে প্রেসিডেন্ট ওবামা ও পরারষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনকে সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সিনেমাটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে তাদের অপারগতা প্রকাশ করতে দেখা যায়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ কাজে তারা প্রায় ৭০ হাজার ডলার দিয়েছে চ্যানেলগুলোকে। এ ছাড়া অতিপ্রয়োজনীয় নয়- এমন সফরে পাকিস্তানে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের
মুসলিম বিশ্বের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতারা গত কয়েক দিন থেকেই শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের আহ্বান জানিয়ে আসছেন। মিসরের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা মুফতি আলী গোমা ইসলামকে শান্তির ধর্ম অভিহিত করে পাল্টা আঘাত না করার আহ্বান জানান। তার পরও বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নেয়। চলচ্চিত্রটি নিয়ে মুসলিম দেশগুলোয় অস্থিরতা চলছে বেশ কয়েক দিন থেকেই। এরই মধ্যে একটি ফরাসি সাময়িকীতে হজরত মুহাম্মদ (সা.)কে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করা হলে উত্তেজনা আরো বাড়ে।
গতকাল চলচ্চিত্র ও ব্যঙ্গচিত্রের প্রতিবাদ জানিয়ে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মিসর, আফগানিস্তান, ফিলিপাইনে প্রবল বিক্ষোভ হয়। শুক্রবার মুসলিম বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভের আশঙ্কায় আগে থেকেই তা মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়েছিল বিভিন্ন দেশ। ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা ও আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের দূতাবাস বন্ধ রাখা হয়। পাকিস্তান, লিবিয়া ও তিউনিসিয়াসহ অন্য দেশের দূতাবাসগুলোয় সেনা মোতায়েন করা হয়। ফ্রান্স গতকাল অন্তত ২০টি দেশে তাদের দূতাবাস বন্ধ রাখে। তিউনিসিয়া সরকার আগেই শুক্রবারের বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করে। তার পরও দেশটিতে বিক্ষোভ থামানো যায়নি।
সবচেয়ে বেশি সহিংসতা হয়েছে পাকিস্তানে। বিক্ষোভ প্রশমনের লক্ষ্যে আগেই গতকালের দিনটিকে 'মহানবী (সা.)-এর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ দিবস' ঘোষণা করে সরকারি ছুটি দেওয়া হয়। দেশজুড়ে হাজার হাজার লোক বিক্ষোভে অংশ নেয়। বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়লে পুলিশও টিয়ারগ্যাস ছুড়ে তার জবাব দেয়। করাচি, লাহোর, পেশোয়ারে ছয়টি সিনেমা হলে ভাঙচুরসহ আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে। এসব সংঘর্ষে দুই পুলিশসহ অন্তত ১৫ জন নিহত এবং ৭০ জন আহত হয়।
মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব : পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল দেশটিতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত রিচার্ড হোগল্যান্ডকে তলব করে সিনেমাটির তীব্র নিন্দা জানান। তাঁরা অনলাইনের ভিডিও দেখার মাধ্যম ইউটিউব থেকে দ্রুত ভিডিওটি সরিয়ে ফেলতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও আহ্বান জানান।
মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ : পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সহিংসতা রুখতে গতকাল দেশের ১৫টি বড় শহরের মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেওয়া হয়। সন্ধ্যা ছয়টার পর পুনরায় তা চালু হয়।
লিবিয়ার ক্ষমাপ্রার্থনা : বেনগাজিতে যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেটে হামলায় রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টোফার স্টিভেনসের মৃত্যুর ঘটনায় সফররত যুক্তরাষ্ট্রের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম বার্নসের কাছে ক্ষমা চেয়েছে লিবিয়া। ওই হামলায় স্টিভেনসসহ যুক্তরাষ্ট্রের চার নাগরিক নিহত হয়। গত বৃহস্পতিবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশহুর বিন খায়াল ত্রিপোলির পক্ষ থেকে বার্নসের কাছে ক্ষমা চান। সূত্র : এএফপি, ডন, এপি।
বিজ্ঞাপনে ওবামা-হিলারি
উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে পাকিস্তানের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে বিজ্ঞাপন প্রচার শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিজ্ঞাপনে প্রেসিডেন্ট ওবামা ও পরারষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনকে সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সিনেমাটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে তাদের অপারগতা প্রকাশ করতে দেখা যায়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ কাজে তারা প্রায় ৭০ হাজার ডলার দিয়েছে চ্যানেলগুলোকে। এ ছাড়া অতিপ্রয়োজনীয় নয়- এমন সফরে পাকিস্তানে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের
No comments