তৃণমূল মন্ত্রীদের পদত্যাগ

শুক্রবার ভারতের ক্ষমতাসীন ইউপিএ সরকারের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন মমতা ব্যানার্জীর তৃণমূল কংগ্রেসের ছয় মন্ত্রী। এর মধ্য দিয়ে ইউপিএ সরকারের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পর্ক ছিন্ন করলেন মমতা। ভারতে ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি,


রান্নার গ্যাসের ওপর থেকে ভর্তুকি প্রত্যাহার এবং খুচরা ব্যবসায় বিদেশী বিনিয়োগ (এফডিআই) অনুমোদনের কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী তারা পদত্যাগ করলেন। এর আগে সরকারের উক্ত সিদ্বান্তের প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতার নেতৃত্বাধীন এই দল গত ১৮ সেপ্টেম্বর ইউপিএ সরকার থেকে তাদের সমর্থন প্রত্যাহার করে। খবর এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের।
রাজধানী নয়াদিল্লীতে এদিন বিকেল সাড়ে ৩টায় কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী মুকুল রায়ের বাসভবনে জড়ো হন তৃণমূলের মন্ত্রীরা। সেখান থেকে বিকেল ৪টার দিকে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাসভবনে এসে উপস্থিত হন তাঁরা। এরপর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেথা করে তাঁর হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দেন রেলমন্ত্রী মুকুল রায়, নগর উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সৌগত রায়, গ্রামোন্নয়ন বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শিশির অধিকারী, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী সুদীপ ব্যানার্জী, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী চৌধুরী মোহন জাটুয়া এবং পর্যটন প্রতিমন্ত্রী সুলতান আহমেদ।
এদিকে পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেন, এই ঘটনায় তিনি দুঃখিত। মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে সৌজন্য বৈঠক শেষে তাঁর হাতে পদত্যাগপত্র হস্তান্তর করে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীর সঙ্গে সাক্ষাত করেন পদত্যাগকারী তৃণমূল মন্ত্রীরা এ সময় রাষ্ট্রপতির হাতে ইউপিএ সরকারের ওপর থেকে তৃণমূলের সমর্থন প্রত্যাহারের চিঠি তুলে দেয়া হয়।
এদিকে মমতা ব্যানার্জীর ঘোষণা অনুযায়ী কেন্দ্রের সংস্কার কর্মসূচীর প্রতিবাদে রাজ্যের পাশাপাশি দিল্লীতেও কিছু কর্মসূচী আহ্বান করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের কারণ জনগণের সামনে উপস্থাপনের পাশাপাশি তৃণমূলের সাংসদরা কেন্দ্রের গৃহীত সংস্কার কর্মসূচীর বিরুদ্ধে সংসদের বাইরেও বিক্ষোভ দেখাবেন ।
পদত্যাগের পর মুকুল রায় তাঁর প্রতিক্রিয়ায় এফডিআই নিয়ে ফের কেন্দ্রীয় সরকারকে অভিযুক্ত করে বলেন, সংখ্যালঘু ইউপিএ সরকার খুচরা ব্যবসায় প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ নিয়ে তড়িঘড়ি করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শরিকদের সঙ্গে আলোচনা না করে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ অনৈতিক বলে অভিযোগ করেন তিনি। মুকুল রায় আরও বলেন, সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে আস্থা ভোট চায় না তৃণমূল। বরং খুচরা ব্যবসায় সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগের বিষয়টির ওপর পার্লামেন্টে ভোট চায় তারা।

No comments

Powered by Blogger.