আরব বসন্ত শুধু নৈরাজ্যই এনেছে : আসাদ
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ বলেছেন, আরব বসন্তের কারণেই তাঁর দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে। 'সমীকরণের উভয় পাশই' সমান। তাই আলোচনাই সংকট সমাধানের একমাত্র পথ। মিসরীয় সাময়িকী আল আহরাম আল-আরাবিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
সিরিয়ার সংঘাতে বিদ্রোহীরা কখনই জয়ী হতে পারবে না বলেও মত দেন তিনি।
সিরিয়ায় সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ যখন নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, তারই মধ্যে প্রেসিডেন্ট আসাদের সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হলো। ব্রিটেনভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আরকৌব জেলার কাছের হানানু সেনা ব্যারাকে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ হয়েছে। সেনাবাহিনী হেলিকপ্টার গানশিপ নিয়ে বিদ্রোহীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে আরকৌবের কাছের শহর শাকৌর ও মধ্যাঞ্চলীয় শহর বুস্তান আল-কাসোরেও রাতভর সরকারি বাহিনীর হামলা চলেছে। সংগঠনটির হিসাব মতে, গত বৃহস্পতিবার সিরিয়ায় অন্তত ২২৫ জন মারা গেছে। এর মধ্যে ১৪০ জন বেসামরিক নাগরিক, ৩৯ বিদ্রোহী ও সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর ৪৬ সদস্য রয়েছে। নিহতদের মধ্যে অন্তত ৫০ জন তুরস্ক সীমান্তবর্তী রাকা প্রদেশের একটি পেট্রল স্টেশনে সরকারি বাহিনীর বিমান হামলায় মারা গেছে।
সাক্ষাৎকারে আসাদ বলেন, 'সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো সরকারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ চর্চা করছে। সিরিয়ান সমাজে তারা জনপ্রিয় নয়। সংঘাত শেষ হলেও তারা জয়ী হবে না।' বিদেশি হস্তক্ষেপ বা নেতাদের সরিয়ে দেওয়ার পরও তাঁর সরকারের পতন হবে না বলে দৃঢ়তা প্রকাশ করেন আসাদ। তিনি বলেন, 'আরব বসন্তের মাধ্যমে সরকার পতনের পরও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র বা সামাজিক অবিচারের অবসান হয়নি। বরং গণ-আন্দোলনের কারণে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। তিনি আরো বলেন, 'সমীকরণের উভয় পাশই সমান। তাই রাজনৈতিক আলোচনাই সংকট সমাধানের একমাত্র উপায়।' তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, 'সহিংসতা সহ্য করা হবে না। যারা আমাদের দিকে অস্ত্র তাক করেছে, তাদের সঙ্গে সরকার কখনই হাত মেলাবে না।' সিরিয়ার বিদ্রোহীদের প্রতি সমর্থন জোগানোর জন্য আসাদ সৌদি আরব ও কাতারের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, 'দীর্ঘদিন গরিব থাকার পর হঠাৎ করেই এই দেশগুলো ধনী হয়ে গেছে। সম্পদ ব্যবহার করে তারা ভৌগোলিক, ইতিহাসগত ও আঞ্চলিক শক্তি কেনার কথা ভাবছে।' সূত্র : বিবিসি, দ্য নিউজ।
সিরিয়ায় সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ যখন নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, তারই মধ্যে প্রেসিডেন্ট আসাদের সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হলো। ব্রিটেনভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আরকৌব জেলার কাছের হানানু সেনা ব্যারাকে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ হয়েছে। সেনাবাহিনী হেলিকপ্টার গানশিপ নিয়ে বিদ্রোহীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে আরকৌবের কাছের শহর শাকৌর ও মধ্যাঞ্চলীয় শহর বুস্তান আল-কাসোরেও রাতভর সরকারি বাহিনীর হামলা চলেছে। সংগঠনটির হিসাব মতে, গত বৃহস্পতিবার সিরিয়ায় অন্তত ২২৫ জন মারা গেছে। এর মধ্যে ১৪০ জন বেসামরিক নাগরিক, ৩৯ বিদ্রোহী ও সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর ৪৬ সদস্য রয়েছে। নিহতদের মধ্যে অন্তত ৫০ জন তুরস্ক সীমান্তবর্তী রাকা প্রদেশের একটি পেট্রল স্টেশনে সরকারি বাহিনীর বিমান হামলায় মারা গেছে।
সাক্ষাৎকারে আসাদ বলেন, 'সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো সরকারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ চর্চা করছে। সিরিয়ান সমাজে তারা জনপ্রিয় নয়। সংঘাত শেষ হলেও তারা জয়ী হবে না।' বিদেশি হস্তক্ষেপ বা নেতাদের সরিয়ে দেওয়ার পরও তাঁর সরকারের পতন হবে না বলে দৃঢ়তা প্রকাশ করেন আসাদ। তিনি বলেন, 'আরব বসন্তের মাধ্যমে সরকার পতনের পরও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র বা সামাজিক অবিচারের অবসান হয়নি। বরং গণ-আন্দোলনের কারণে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। তিনি আরো বলেন, 'সমীকরণের উভয় পাশই সমান। তাই রাজনৈতিক আলোচনাই সংকট সমাধানের একমাত্র উপায়।' তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, 'সহিংসতা সহ্য করা হবে না। যারা আমাদের দিকে অস্ত্র তাক করেছে, তাদের সঙ্গে সরকার কখনই হাত মেলাবে না।' সিরিয়ার বিদ্রোহীদের প্রতি সমর্থন জোগানোর জন্য আসাদ সৌদি আরব ও কাতারের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, 'দীর্ঘদিন গরিব থাকার পর হঠাৎ করেই এই দেশগুলো ধনী হয়ে গেছে। সম্পদ ব্যবহার করে তারা ভৌগোলিক, ইতিহাসগত ও আঞ্চলিক শক্তি কেনার কথা ভাবছে।' সূত্র : বিবিসি, দ্য নিউজ।
No comments