জাতি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চায় ॥ বি. চৌধুরী
বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুুুরী বলেছেন, জাতি দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়। এমন একটা সময় আসবে যখন প্রধানমন্ত্রীও এই গণদাবি মেনে নিতে বাধ্য হবেন।
শুক্রবার রাজধানীর কাফরুলে বিকল্প ধারার কর্মী সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। কাফরুল থানা বিকল্প ধারার সভাপতি নূর মোহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিকল্প ধারার মহাসচিব মেজর (অব) আব্দুল মান্নান, মনজুর রাসেদ, কমান্ডার (অব) শহিদুর রহমান, মাহবুব আলী, স্থপতি মাহফুজুর রহমান টিটু, নাজমুল করিম বাচ্চু, মুজিবর রহমান চৌধুরী, শেখ শহিদুজ্জামান, আসাদুজ্জামান বাচ্চু ও মাওলানা কবির হোসেন।
আরও দুই মেয়াদে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে পারে এ বিষয়টি সুপ্রীম কোর্টের প্রাথমিক রায়ে থাকলেও পূর্ণাঙ্গ রায়ে এই অংশটির অস্পষ্ট ব্যাখ্যার কথা উল্লেখ করে বি. চৌধুরী বলেন, ‘তবে কোন বিচারপতি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হবেন না।’ রায়ে এ কথাটির উল্লেখ প্রকারন্তরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যু যে পরিত্যক্ত হয়নি তারই প্রমাণ বহন করে।
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এটিএম শামসুল হুদাকে উদ্ধৃত করে বি. চৌধুরী বলেন, এই সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনারও কয়েক সপ্তাহ আগে বলেছেন, দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। আর সরকার যদি তাদের অধীনে কোন নির্বাচন করার চেষ্টা করে তা হলে শুধু দেশে-বিদেশে তা গ্রহণযোগ্য হবে না, তাই নয় বরং তা গণতন্ত্রকে নিশ্চিত বিপন্ন করবে।
বি. চৌধুরী বলেন, এই সরকার দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ হয়েছে। দুর্নীতি, হত্যা-গুমেরও সকল রেকর্ড এই আমলে ভঙ্গ হয়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হলেও অপরাধীরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। একমাত্র ধানের মূল্য ছাড়া সব জিনিসের দামের রেকর্ডও ভঙ্গ হয়েছে। সরকার বাস ভাড়া, জাহাজ ভাড়া এবং ছয়বার বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ পর্যায়ে নিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, মাত্র দুই-তিনজন ‘অনুগত’ মানুষের স্বার্থ বিবেচনা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজকে প্রশ্নবোধক করে ফেলেছেন। সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা লোপাটকে কেলেঙ্কারীর পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। বিশ্বব্যাংক ঋণ চুক্তি বহাল করায় তিনি বিশ্বব্যাংককে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বিশ্বব্যাংকের শর্ত পূরণ করে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু নিয়ে তার সরকারের দুর্নীতির বিষয়টি স্বীকার করে নিলেন।
আরও দুই মেয়াদে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে পারে এ বিষয়টি সুপ্রীম কোর্টের প্রাথমিক রায়ে থাকলেও পূর্ণাঙ্গ রায়ে এই অংশটির অস্পষ্ট ব্যাখ্যার কথা উল্লেখ করে বি. চৌধুরী বলেন, ‘তবে কোন বিচারপতি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হবেন না।’ রায়ে এ কথাটির উল্লেখ প্রকারন্তরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যু যে পরিত্যক্ত হয়নি তারই প্রমাণ বহন করে।
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এটিএম শামসুল হুদাকে উদ্ধৃত করে বি. চৌধুরী বলেন, এই সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনারও কয়েক সপ্তাহ আগে বলেছেন, দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। আর সরকার যদি তাদের অধীনে কোন নির্বাচন করার চেষ্টা করে তা হলে শুধু দেশে-বিদেশে তা গ্রহণযোগ্য হবে না, তাই নয় বরং তা গণতন্ত্রকে নিশ্চিত বিপন্ন করবে।
বি. চৌধুরী বলেন, এই সরকার দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ হয়েছে। দুর্নীতি, হত্যা-গুমেরও সকল রেকর্ড এই আমলে ভঙ্গ হয়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হলেও অপরাধীরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। একমাত্র ধানের মূল্য ছাড়া সব জিনিসের দামের রেকর্ডও ভঙ্গ হয়েছে। সরকার বাস ভাড়া, জাহাজ ভাড়া এবং ছয়বার বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ পর্যায়ে নিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, মাত্র দুই-তিনজন ‘অনুগত’ মানুষের স্বার্থ বিবেচনা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজকে প্রশ্নবোধক করে ফেলেছেন। সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা লোপাটকে কেলেঙ্কারীর পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। বিশ্বব্যাংক ঋণ চুক্তি বহাল করায় তিনি বিশ্বব্যাংককে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বিশ্বব্যাংকের শর্ত পূরণ করে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু নিয়ে তার সরকারের দুর্নীতির বিষয়টি স্বীকার করে নিলেন।
No comments